উইলেম ডে সিটার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
অ বট বানান ঠিক করেছে |
||
৩০ নং লাইন:
== জীবনের প্রথম ভাগ ==
ডে সিটারের বাবা এবং মায়ের নাম যথাক্রমে Lamoraal Ulbo de Sitter ও Catharine Theodore Wilhelmine Bertling। তার বাবা ছিলেন আইনজীবী এবং তাদের পরিবারে আইনজীবী হওয়াটা এক ধরনের প্রথায় পরিণত হয়েছিল। কিন্তু গণিত ও বিজ্ঞানে বিশেষ আগ্রহের কারণে তিনি ভিন্ন পেশা গ্রহণে উৎসাহিত হন। তিনি মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন নেদারল্যান্ডের Arnhem শহরে, স্কুলের নাম ছিল Arnhem জিমনেসিয়াম। স্কুলের পাঠ শেষে [[ইউনিভার্সিটি অফ খ্রোনিঙেন|ইউনিভার্সিটি অফ খ্রোনিঙেনে]] ভর্তি হয়েছিলেন গণিত বিষয়ে পড়ার জন্য। স্নাতক ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে গণিতে আগ্রহের পাশাপাশি তার মধ্যে প্রত্যক্ষ পরীক্ষা-নীরিক্ষার আগ্রহও জেগে উঠে। এই আগ্রহের কারণেই একসময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক Hermanus Haga-এর অধীনে পরিচালিত পরীক্ষণগুলোতে অংশ নেয়ার
এই গবেষণাগারেই তখন অধ্যাপক [[ইয়াকোবুস কাপ্টাইন]] অনেকগুলো আলোকচিত্র প্লেট পরিমাপ করছিলেন। কেপটাউন মানমন্দিরে দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশের তারা জরিপের অংশ হিসেবে এই প্লেটে ছবিগুলো তুলেছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী [[ডেভিড গিল]]। কাপ্টাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক হলেও জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণাগারের কাজে সাহায্য করছিলেন কারণ পর্যবেক্ষণের জন্য তার নিজের কোন মানমন্দির ছিল না।
৪৭ নং লাইন:
১৮৭২ সাল থেকে ইউনিভার্সিটি অফ লেইডেনের মানমন্দিরের পরিচালক এবং সেখানে জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন Hendricus Gerardus van de Sande Bakhuyzen, ১৯০৮ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর তার পদের দায়িত্বকে দুই ভাগ করা হয়, জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং মানমন্দিরের পরিচালক দুটি কাজের জন্য দুটি আলাদা পদ চালু করা হয়। তখনই উইলেম ডে সিটারকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রধান অধ্যাপক এবং Ernest-Frederich van de Sande Bakhuyzen কে মানমন্দিরের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পদ গ্রহণের পর ডে সিটার তার প্রথম লেকচার দিয়েছিলেন The New Methods in Celestial Mechanics বিষয়ে। ১৯১৮ সালে van de Sande Bakhuyzen মারা যাওয়ার পর অধ্যাপনার পাশাপাশি লেইডেন মানমন্দিরের পরিচালক পদটিও গ্রহণ করতে হয় ডে সিটারকে।<ref name="mactutor"/>
পরিচালক হওয়ার পর তিনি লেইডেনের জ্যোতির্বিজ্ঞান
১৯১৩ সালে ডে সিটার যুগল তারা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে [[আলোর বেগ]] উৎসের বেগের উপর নির্ভর করে না। এর আগে অনেকেই আলোর নিঃসরণ বিষয়ে এমন একটি তত্ত্ব প্রণয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন যা উৎসের উপর নির্ভর করে কিন্তু পরীক্ষণমূলক অন্যান্য ফলাফলের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। যে সিটারের এই পর্যবেক্ষণমূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেই চেষ্টায় ইতি টানতে বাধ্য হন সবাই।
== বিশ্বতত্ত্বে অবদান ==
১৯১৬ সালে [[পল এরেনফেস্ট]]-এর সাথে একসাথে কাজ করে যে সিটার প্রস্তাব করেন যে একটি চতুর্মাত্রিক স্থান-কাল ব্যবস্থা সাধারণ আপেক্ষিকতার উপর ভিত্তি করে নির্মীত বিশ্বতাত্ত্বিক মডেলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। ১৯১৬-১৭ সালে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর [[আলবার্ট আইনস্টাইন|আইনস্টাইনের]] [[সাধারণ আপেক্ষিকতা]] তত্ত্বের প্রভাব বিষয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তিনি পদার্থের
ডে সিটারের গবেষণা ১৯১৯ সালে [[আর্থার এডিংটন|আর্থার এডিংটনের]] বিখ্যাত [[মহাকর্ষীয় লেন্সিং]] পরীক্ষাকে প্রভাবিত করেছিল। আইনস্টাইনের আগেই ডে সিটার মনে করতেন আপেক্ষিকতার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হচ্ছে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ। আইনস্টাইন নিজে প্রথমে এটা বিশ্বাস করেননি, কিন্তু পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটাই সত্য প্রমাণিত হওয়ার পর মেনে নিতে বাধ্য হন। এমনকি প্রমাণিত হওয়ার আগে মহাবিশ্বকে স্থির করার জন্য আইনস্টাইন তার সমীকরণে একটি [[মহাজাগতিক ধ্রুবক]] অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, উদ্দেশ্য ছিল নিউটনের সময় থেকে চলে আসা সমস্যাটির সমাধান- মহাবিশ্ব কেন নিজের ভরে ধ্সে পড়ে না? কিন্তু মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে জানার পর আইনস্টাইন সেই ধ্রুবককে তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বলে আখ্যায়িত করেন। ডে সিটার ১৯১৯ সালেই বলেছিলেন যে, এই ধ্রুবক আইনস্টাইনের অত্যন্ত সুন্দর সূত্রটির প্রতিসাম্য ও এলিগেন্স নষ্ট করে দিচ্ছে, যেখানে সূত্রটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল তা নতুন কোন অণুকল্প বা পরীক্ষণমূলক ধ্রুবক প্রবর্তন না করেই অনেক কিছু ব্যাখ্যা করতে পারে। ১৯৯০-এর দশকে অবশ্য [[মহাবিশ্বের ত্বরণ]] ঘটছে জানার পর আবার মহাজাগতিক ধ্রুবকের প্রয়োজন দেখা দেয়।
|