আলপনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করেছে
৩ নং লাইন:
[[চিত্র:Rangoli of Lights.jpg|thumb|হিন্দু উৎসব [[দীপাবলি]] বা দেওয়ালিতে অঙ্কিত রঙিন আলপনা বা রঙ্গোলি।]]
 
'''আল্পনা''' বা '''আলপনা''' বা '''আলিপনা''' হল লেপন করে করা কারুকার্য; সাধারণত একটি (বা দুটি) রঙের সহজ বিমূর্ত(abstract) রেখাচিত্র। বাড়ির চৌকাঠে, আঙিনায়, বিয়ের পিঁড়িতে, হিন্দু পূজা মণ্ডপে ইত্যাদি জায়গায় সাদা আল্পনার খুব চল আছে। এটি মূলত ক্ষণস্থায়ী [[লোকশিল্প]]। সমাজজীবনে প্রচলিত নানাবিধ অণুষ্ঠানঅনুষ্ঠান ও গৃহসজ্জার জন্য আলপনা অঙ্কন করা হয়।
 
== প্রকার ==
[[চিত্র:Rangoli1.jpg|thumb|কাঠগুঁড়ো দিয়ে তৈরি রঙ্গোলীতে বেলেপাথরের যুগল মূর্তির প্রতিকৃতি]]
বাংলার আলপনায় চিরাচরিতভাবে ভিজে চালগুঁড়া সাদা রং হিসাবে ব্যবহার হয়। এছাড়া তেল-সিঁদুর লাল, এবং হলুদবাটা হলদে রং হিসাবে ব্যবহার হতে পারে। সাধারণত চালের গুঁড়ার পিটালীর মধ্যে ছোট এক টুকরো কাপড় কিংবা পাটের টুকরো ভিজিয়ে নিয়ে অনামিকা দিয়ে আলপনা আঁকা হয়। আলপনার ছবিগুলো পুরু রেখায় তৈরি ও দ্বিমাত্রিক। সাধারণত মেঝের উপরই আলপনা করা হয়। স্মরণাতীত কাল থেকেই বাংলার মহিলারা ধর্মীয় ও সামাজিক অণুষ্ঠানাদিরঅনুষ্ঠানাদির উদ্দেশ্যেই আলপনার অণুশীলনঅনুশীলন করে আসছেন। মোটিফ হিসেবে আলপনায় আঁকা হয় পদ্ম, ধানের গুচ্ছ, বৃত্তায়িত রেখা, সূর্য, মই, [[লক্ষ্মী|লক্ষ্মীর]] পদচিহ্ন, মাছ, পান, শঙ্খলতা ইত্যাদি। বর্তমান যুগে মুসলমানেরাও বিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অণুষ্ঠানেঅনুষ্ঠানে আলপনা অঙ্কন করে থাকেন।
 
অনেক পন্ডিতই ব্রত ও পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলপনাকে প্রাক-আর্য সময়কালর উৎপত্তি বলে চিহ্নিত করেন। একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় [[শহীদ মিনার]] ও মিনার সংলগ্ন সড়কগুলিতে আলপনা করা হয়। প্রচলিত রীতির আওতার মধ্যে থেকেও অণুষ্ঠানঅনুষ্ঠান, পটভূমি ও শৈল্পিক কারুকার্যে আলপনার রূপভেদ লক্ষ করা যায়। আধুনিক আলপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিমূর্ত, আলংকরিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
 
== তথ্যসূত্র ==