অরসন ওয়েলস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করেছে
২৪ নং লাইন:
| signature = Orson Welles signature.svg
}}
'''জর্জ অরসন ওয়েলস''' ({{lang-en|George Orson Welles}}) (৬ই মে, [[১৯১৫]] - ১০ই অক্টোবর, [[১৯৮৫]]) ছিলেন বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক এবং প্রযোজক। তিনি মঞ্চ নাটক, রেডিও এবং চলচ্চিত্রে প্রায় সমান তালে কাজ করেছেন। তিনটি মিডিয়াতেই অনন্য এবং উদ্ভাবনী কাজের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। তার ব্রডওয়েতে মঞ্চায়িত নাটক ''সিজার'' (১৯৩৭) বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছিল এবং এখনও এটি [[উইলিয়াম শেক্সপিয়ার|শেকসপিয়রের]] জুলিয়াস সিজার নাটকের অন্যতম উৎকৃষ্ট মঞ্চায়ন হিসেবে স্বীকৃত। এই নাটকের মাধ্যমেই মার্কারি থিয়েটার যাত্রা শুরু করেছিল। তার বেতার অণুষ্ঠানঅনুষ্ঠান ''দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস'' যুক্তরাষ্ট্রের বেতার সম্প্রচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত অণুষ্ঠানঅনুষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর তার [[সিটিজেন কেইন]] (১৯৪১) সিনেমাকে অনেক সমালোচক ও পণ্ডিত সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
 
সিজার ছাড়াও যুবক বয়সে অনেকগুলো অতি উঁচু মানের সফল মঞ্চ নাটক পরিচালনা করেছিলেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ-এর একটি অভিনব মঞ্চায়ন এবং ''দ্য ক্র্যাডল উইল রক''। ১৯৩৮ সালে [[এইচ জি ওয়েলস]]-এর ''দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস'' উপন্যাস অবলম্বনে করা বেতার অণুষ্ঠানঅনুষ্ঠান দিয়েই নিজের দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে পরিচিত হয়ে উঠেন। আসলে তার প্রতিষ্ঠিত মার্কারি থিয়েটারের বিভিন্ন নাটক সরাসরি রেডিওতে সম্প্রচার করা হতো ''মার্কারি থিয়েটার অন দি এয়ার'' নামে। এই ধারাবাহিকেরই একটি পর্ব ছিল ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস। সম্প্রচারের পর কেউ কেউ রিপোর্ট করেছিলেন এই অণুষ্ঠানঅনুষ্ঠান নাকি অনেক স্থানে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে কারণ শ্রোতারা ভেবে বসেছিলেন আসলেই ভিনগ্রহের অধিবাসীরা পৃথিবী আক্রমণ করেছে। প্রচারণাটি অতিরঞ্জিত হলেও এর কারণে অরসন ওয়েলসের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।<ref name="McFarland">{{cite book|url=http://books.google.com/books?id=GeWm-zM3NEoC&lpg=PP1&dq=Little%20Green%20Men%2C%20Meowing%20Nuns%20and%20Head-Hunting%20Panics%3A&pg=PA219#v=onepage&q&f=false |title= Little green men, meowing nuns, and head-hunting panics |publisher=McFarland |accessdate=March 30, 2010}}</ref>
 
ওয়েলসের প্রথম সিনেমাই ছিল সিটিজেন কেইন যার সহলেখক, প্রযোজক, পরিচালক এবং প্রধান অভিনেতা সবই তিনি নিজে। সিনেমায় তার চরিত্রের নাম ছিল চার্লস ফস্টার কেইন। প্রথম সিনেমাই সর্বকালের সেরা সিনেমা হিসেবে স্বীকৃত হলেও ওয়েলস জীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই চলচ্চিত্র স্টুডিওতে একজন বহিরাগত ছিলেন। জীবনে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করেছেন মাত্র ১৩ টি। স্টুডিওর বিরুদ্ধে শৈল্পিক স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে খুব বেশি সফলতা পাননি কারণ তার অধিকাংশ সিনেমাই স্টুডিওতে অনেক সম্পাদনার শিকার হয়েছে এবং কিছু আবার কখনোই প্রেক্ষাগৃহের মুখ দেখতে পায়নি। তার অনন্য পরিচালনার পদ্ধতির মধ্যে ছিল লেয়ারভিত্তিক ও অরৈখিক গড়ন, আলোকসজ্জার খুব উদ্ভাবনী ব্যবহার, ক্যামেরার প্রথাবিরুদ্ধ অ্যাংগেল, বেতার থেকে ধার করা শব্দ সংযোগ, ডিপ ফোকাস শট এবং লং টেক। তাঁকে সৃজনশীলতার প্রবাদপুরুষ এবং সিনেমার ইতিহাসে সেরা ওটার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।<ref>Rosenbaum, Jonathan. ''[http://books.google.com/books?id=95c3YFDncFYC&printsec=frontcover&dq=discovering+orson+welles&hl=en&ei=HOPeS9n_KIWKlwfqm6H7BA&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=1&ved=0CDQQ6AEwAA#v=onepage&q&f=false Discovering Orson Welles]''. Berkeley and Los Angeles, California: University of California Press. 2007. Pp. 6.</ref> সিটিজেন কেইনের পর করা তার অন্যান্য বহুল প্রশংসিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ''দ্য ম্যাগণিফিসেন্ট অ্যাম্বারসনস'' (১৯৪২), ''টাচ অফ ইভিল'' (১৯৫৮) ইত্যাদি।