উইলিয়াম রক্সবার্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৩২ নং লাইন:
 
== মাদ্রাজের জীবন ==
১৭৭৬ সালে তিনি মাদ্রাজ জেনারেল হাসপাতালে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।<ref name=noltie>Noltie, H.J. (1999) Indian botanical drawings 1793-1868. ISBN 1-872291-23-6</ref> সেখানেই তিনি [[লিনিয়াসের]] (Linnaeus) এক বিশিষ্ট ছাত্র [[যোহান জেরহার্ড কোয়েনিগ]] (Johan Gerhard Koenig, ১৭২৮-১৭৮৫) কর্তৃক উদ্ভিদবিজ্ঞান চর্চায় বিশেষভাবে অনুপ্রাণিতঅণুপ্রাণিত হন। ১৭৮০ সালে রক্সবার্গ সার্জন হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। এ সময়ে তাঁর চাকরির প্রথম ভাগ অতিবাহিতঅতীবাহিত হয় মাদ্রাজ থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে [[সামালকোট]]-এর (Samalkot) গ্যারিসন ˆস্টশন (garrison station) বা সেনা কেন্দ্রে। সামালকোটে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে এক উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে [[কফি]], [[মরিচ]] , [[দারচিনি]], [[নীল]] এবং [[ব্রেডফ্রুট]] (breadfruit) চাষ করেন এবং সে সঙ্গে লাক্ষাজাতীয়লাক্ষাজাতিয় পতঙ্গের (cochineal insect) পোষক উদ্ভিদ Opuntia-এর ওপর পরীক্ষা পরিচালনা করেন। ১৭৯০ সালে তিনি এবারডীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডি ডিগি্র লাভ করেন এবং এডিনবার্গের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস (Royal College of Physicians, Edinburgh)-এর ফেলো নির্বাচিত হন। রক্সবার্গ ভারতের কয়েকজন চিত্রশিল্পীকে উদ্ভিদের চিত্র আঁকার প্রশিক্ষণ দেন। এসব শিল্পী স্থানীয় গাছপালার প্রায় ৫০০টি চিত্র আঁকেন। তাঁদের চিত্রের সঙ্গে সংযোজিত হয় প্রতিটি উদ্ভিদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, ব্যবহার এবং আনুষঙ্গিক তথ্যাদি। রক্সবার্গের এ কাজগুলি পরবর্তীতে Plants of the Coast of Coromandel নামে নিজ দেশের কোম্পানি কর্তৃক ১৭৯৫, ১৮০২ এবং ১৮১৯ সালে কয়েকটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
 
== কলকাতার জীবন ==
[[File:Roxburgh Building - Indian Botanic Garden - Howrah 2013-03-31 5722.JPG|thumb|রক্সবার্গ
কুঠী, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বটানিক্যাল গার্ডেন. ]]
[[কলকাতা বটানিক্যাল গার্ডেন|কলকাতা বটানিক্যাল গার্ডেনের]] প্রতিষ্ঠাতা [[রবার্ট কিড]] (Robert Kyd, ১৭৪৬-১৭৯৩)-এর মৃত্যুর পর রক্সবার্গ ১৭৯৩ সালের নভেম্বর মাসে এ উদ্যানের সুপাররিনটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অদম্য উৎসাহ এবং নিরলস প্রচেষ্টায় বোটানিক গার্ডেন অল্প দিনের মধ্যেই এক বিশিষ্ট উদ্যানরূপে গড়ে ওঠে।রক্সবার্গ তাঁর এই নতুন পদ ও দায়িত্বকে এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন। উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সেগুন , বেঙ্গল হেম্প (Bengal hemp), ভার্জিনিয়া তামাক (Virginia tobacco), অ্যারাবিয়ান কফি (Arabian coffee) এবং নীলের (indigo) চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে তিনি বাগানে চাষাবাদ শুরু করেন। ১৭৯৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তিনি ২০০০-এর বেশি চারা অথবা বীজ ভারতের বিভিন্ন স্থানে, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সেন্ট হেলেনায় পাঠান। যেসব বিদেশী নতুন গাছপালা তিনি কলকাতার বাগানে জন্মাবার চেষ্টা করেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেঞ্চ ওলিভ (French olive) এবং জ্যামাইকার মসলা (Jamaican spice)। এছাড়া তিনি ফসল উৎপাদনের জন্য মাত্র গুটিকয়েক শস্যজাতের ওপর সাধারণ কৃষকের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালান। ১৭৯৭ সালের অক্টোবর মাসে রক্সবার্গ জায়ফলের (nutmeg) কয়েকটি চারা নমুনা হিসেবে আদালত প্রাঙ্গনেপ্রাঙ্গণে রোপণ করেন যা দীর্ঘদিন টিকে ছিল। নভেম্বরে তিনি প্রায় ১৭০টি উদ্ভিদের চারা এবং প্রায় ১২০টি উদ্ভিদ প্রজাতির বীজ রোপণের জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন। পরীক্ষামূলকভাবে উদ্ভিদ জন্মাবার প্রচেষ্টার মধ্যে ভারতীয় শন (Indian hemp), তিসি এবং আঁশবিশিষ্ট আরও কয়েকটি ফসল উল্লেখযোগ্য।এসব উৎসাহী এবং গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ [[ইংল্যান্ডের সোসাইটি অব আর্টস]] (Society of Arts) তিন বার তাঁকে স্বর্ণপদক প্রদান করে।
 
== কর্মকান্ড ==