ঈদুল ফিতর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shish Rahman Sayem (আলোচনা | অবদান)
→‎ঈদের নামায: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১৪ নং লাইন:
|date2015 = 17 July (± 1 day)<ref name="atraveltrip.com"/>
|date2016 = 8 July (± 1 day)
|celebrations = পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে ভ্রমণ, চিরাচরিত মিষ্টি খাবার, সুগন্ধিসুগণ্ধি ব্যবহার, নতুন জামাকাপড় পরা, [[Eidi (gift)|উপহার দেওয়া]], ইত্যাদি
|observances = [[যাকাত উল ফিতর]] [[যাকাত]], [[ঈদের নামাজ]]
|relatedto = [[রমযান]], [[ঈদুল আযহা]]
২৩ নং লাইন:
 
== তারিখ ==
[[হিজরি বর্ষপঞ্জী]] অনুসারেঅণুসারে [[রমজান]] মাসের শেষে [[শাওয়াল]] মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। তবে এই পঞ্জিকা অনুসারেঅণুসারে কোনও অবস্থাতে রমজান মাস ৩০ দিনের বেশি দীর্ঘ হবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজানের সমাপ্তিতে শাওয়ালের প্রারম্ভ গণনা করা হয়। ঈদের আগের রাতটিকে ইসলামী পরিভাষায় ‍‍লাইলাতুল জায়জা‌ (অর্থ: পুরস্কার রজনী) এবং চলতি ভাষায় "চাঁদ রাত" বলা হয়। শাওয়াল মাসের চাঁদ অর্থাৎ সূর্যাস্তে একফালি নতুন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদ হয়, এই কথা থেকেই চাঁদ রাত কথাটির উদ্ভব। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান। আধুনিক কালে অনেক দেশে গাণিতিক হিসাবে ঈদের দিন নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশে ঈদের দিন নির্ধারিত হয় দেশের কোথাও না-কোথাও চাঁদ দর্শনের ওপর ভিত্তি করে জাতীয়জাতিয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে।অণুসারে। দেশের কোনো স্থানে স্থানীয় ভাবে চাঁদ দেখা গেলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে ঈদের দিন ঠিক করা হয়। মুসলমানদের জন্য ঈদের পূর্বে পুরো [[রমজান]] মাস [[রোজা]] রাখা হলেও ঈদের দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ বা [[হারাম]]।
 
== ঈদের নামায ==
[[চিত্র:Eid Prayers at Barashalghar, Debidwar, Comilla.jpg|thumbnail|left|270px|বাংলাদেশের একটি অঞ্চলের ঈদের নামায আদায়ের দৃশ্য]]
ঈদের দিন ভোরে মুসলমানরা আল্লাহর ইবাদত করে থাকে। ইসলামিক বিধান অনুসারেঅণুসারে ২ রাকাত ঈদের [[নামাজ]] ৬ তাকবিরের সাথে ময়দান বা বড় [[মসজিদ|মসজিদে]] পড়া হয়। ফযরের নামাযের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ঈদুল ফিতরের নামাযের সময় হয়। এই নামায আদায় করা মুসলমানদের জন্য [[ওয়াজিব]]। ইমাম কর্তৃক শুক্রবারে জুম্মার নামাজের পূর্বে খুৎবা (ইসলামিক বক্তব্য) প্রদানের বিধান থাকলেও ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে তা নামাজের পরে প্রদান করার নিয়ম ইসলামে রয়েছে। ইসলামের বর্ননা অনুযায়ীঅণুযায়ী ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে খুৎবা প্রদান ইমামের জন্য [[সুন্নত]] ; তা শ্রবণ করা নামাযীর জন্য [[ওয়াজিব]]। সাধারণত: ঈদের নামাজের পরে মুসলমানরা সমবেতভাবে মুনাজাত করে থাকে এবং একে অন্যের সাথে [[কোলাকুলি]] করে ঈদের সম্ভাষণ বিনিময় করে থাকে। ঈদের বিশেষ শুভেচ্ছাসূচক সম্ভাষণটি হলো, "ঈদ মুবারাক"। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিতঅণুষ্ঠিত হয় [[কিশোরগঞ্জ|কিশোরগঞ্জের]] [[শোলাকিয়া]] নামক স্থানে।
 
=== প্রস্তুতি ===
মুসলমানদের বিধান অনুযায়ীঅণুযায়ী ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার আগে একটি খেজুর কিংবা খোরমা অথবা মিষ্টান্ন খেয়ে রওনা হওয়া সওয়াবের (পূন্যের) কাজ। ঈদুল ফিতরের ব্যাপারে ইসলামী নির্দেশসমূহের মধ্যে রয়েছে গোসল করা, মিসওয়াক করা, আতর-সুরমা লাগানো, এক রাস্তা দিয়ে ঈদের মাঠে গমন এবং নামাজ-শেষে ভিন্ন পথে গৃহে প্রত্যাবর্তন। এছাড়া সর্বাগ্রে অযু-গোসলের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার বিধানও রয়েছে। ইসলামে নতুন পোশাক পরিধান করার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিভিন্ন দেশে তা বহুল প্রচলিত একটি রীতিতে পরিনত হয়েছে।
 
== ফিৎরা ==
 
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের রমযান মাসের রোযার ভুলত্রুটির দূর করার জন্যে ঈদের দিন অভাবী বা দুঃস্থদের কাছে অর্থ প্রদান করা হয়, যেটিকে ফিৎরা বলা হয়ে থাকে। এটি প্রদান করা মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিৎরা আদায় করার বিধান রয়েছে। তবে ভুলক্রমে নামাজ পড়া হয়ে গেলেও ফিৎরা আদায় করার নির্দেশ ইসলামে রয়েছে। ফিৎরার ন্যূনতম পরিমাণ ইসলামী বিধান অনুযায়ীঅণুযায়ী নির্দ্দিষ্ট। সাধারণত ফিৎরা নির্র্দিষ্ট পরিমাণ আটা বা অন্য শস্যের (যেমনঃ [[যব]], [[কিসমিস]]) মূল্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। সচরাচর আড়াই [[সের]] আটার স্থানীয় মূল্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম ফিৎরার পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। স্বীয় [[ক্রীতদাস|গোলাম]]-এর ওপর মালিক কর্তৃক ফিৎরা আদায়যোগ্য হলেও বাসার চাকর/চাকরানি অর্থাৎ কাজের লোকের ওপর ফিৎরা আদায়যোগ্য নয় ; বরং তাকে ফিৎরা দেয়া যেতে পারে। ইসলামে নিয়ম অনুযায়ীঅণুযায়ী, [[যাকাত]] পাওয়ার যোগ্যরাই ফিৎরা লাভের যোগ্য।
 
== ঈদ উৎসব ==
 
ঈদের দিনে সকালে প্রথম আনুষ্ঠানিকতা হল নতুন জামা-কাপড় পরে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া। ঈদের নামাজ শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য। নামাজের পর সবাই একসাথে হওয়া, দেখা করা। এসময় বাংলাদেশে ছোটরা বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করে এবং [[সালামি]] গ্রহনগ্রহণ করে। ঈদের দিনে সালামি গ্রহনগ্রহণ করা প্রায় সব দেশেই রীতি আছে। তবে এর ধর্মিয় কোন বাধ্যবাধকতা বা রীতি নেই।
 
ঈদের দিনে [[সেমাই]] সবচেয়ে প্রচলিত খাবার। এবং বিশেষ আরো অনেক ধরনের খাবার ধনি গরীবগরিব সকলের ঘরে তৈরী করা হয়।
এ উৎসবের আরো একটি রীতি হল আশেপাশের সব বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। এবং প্রত্যেক বাড়িতেই হালকা কিছু খাওয়া। এ রীতি বাংলাদেশে সবাইই মেনে থাকে।
 
বাংলাদেশ সহ অন্যান্য মুসলিম-প্রধান দেশে ঈদুল ফিতরই হলো বৃহত্তম বাৎসরিক উৎসব। বাংলাদেশে ঈদ উপলক্ষে সারা রমজান মাস ধরে সন্ধ্যাবেলা কেনাকাটা চলে। অধিকাংশ পরিবারে ঈদের সময়েই নতুন পোশাক কেনা হয়। পত্র-পত্রিকাগুলো ঈদ উপলক্ষে ''ঈদ সংখ্যা'' নামে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে থাকে। ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালাঅণুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে। ঈদের দিন ঘরে ঘরে সাধ্যমত বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। ঈদের দিনে [[সেমাই]] বা অন্যান্য মিষ্টি নাস্তা তৈরি করার চল রয়েছে। বাংলাদেশের শহরগুলো হতে ঈদের ছুটিতে প্রচুর লোক নিজেদের আদি নিবাসে বেড়াতে যায়। এ কারণে ঈদের সময়ে রেল, সড়ক, ও নৌপথে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়।
 
== ঈদের গান ==