ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২৯ নং লাইন:
 
===গৃহযুদ্ধ এবং পুনর্গঠন (১৮৬১-১৮৯১)<ref>Hollis, Daniel Walker (1956). University of South Carolina II. University of South Carolina Press.</ref>===
১৮৬২ সালের ২৫শে জুন রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমেঅণুমতিক্রমে কনফেডারেট সরকার কলেজ ভবনগুলো অধিগ্রহণ করে এবং হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। কলেজের ছাত্রেরা সেনাবাহিনীতে যোগদান করলে কলেজটি ছাত্র-স্বল্পতার সম্মুখীন হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৮৬৩ সালের ২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
[[Image:South Carolina College Horseshoe 1850.jpg|left|thumb|১৮৫০ সালের সাউথ ক্যারোলাইনা কলেজ]]
১৮৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনিয়ন সেনাবাহিনী কলাম্বিয়া এসে পৌঁছায় এবং ২৪শে মে কলেজটি অধিগ্রহণ করে। অনিশ্চিত ভবিষ্যত সত্ত্বেও ১৯শে জুন ইউনিয়ন বাহিনীর জেনারেল জন পোর্টার হ্যাচ কলেজটি যথাশীঘ্র পুনরায় চালু করার আহবান জানিয়ে এর প্রাক্তন অধ্যাপকদের চিঠি দেন। ৩০শে জুন সাউথ ক্যারোলাইনার ভারপ্রাপ্ত গভর্নর হয়ে আসেন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন পেরি, যিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে পুনর্বহাল করেন। সাউথ ক্যারোলাইনার দারিদ্র্যমোচনের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন এবং রাজ্যসভার প্রতিনিধিদের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেন। ১৮৬৫ সালের ১৯শে ডিসেম্বর রাজ্যের সাধারণ সভায় ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা প্রতিষ্ঠার জন্যে বিল পাশ হয়।
৪১ নং লাইন:
এলাকার কৃষিজীবী জনগণের চাপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কৃষিবিদ্যা কলেজে রূপান্তরিত করা হলেও তা প্রত্যাশিত সাফল্যের মুখ দেখেনি। ১৮৭৭ সালে পুনরায় কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় উন্নীত করা হয়, যদিও ছাত্র-স্বল্পতার কারণে কয়েক বছরের মধ্যেই, ১৮৯১ সালে, আবারও তাকে কলেজের স্তরে নামিয়ে আনা হয়। তৎকালীন গভর্নর বেন টিলম্যানের অসহযোগিতা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটায়। সকল বিপর্যয় সত্ত্বেও ১৮৯৩ সালে কলেজে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য বিল পাশ হয়। ১৮৯৪ সালে কলেজের পাঠক্রমে ইঞ্জিনিয়ারিং বা [[প্রকৌশল]] বিভাগ যুক্ত হয়।
 
১৯০২ সালের গভর্নর ইলেকশনে জয়লাভ করে ডানকান ক্লিঞ্চ হেওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়টি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেন। ১৯০৬ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে রাজ্য সরকার ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যকার টানাপোড়েনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বেগ পেতে হয়। ১৯১৭ সালে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা সাউথ ক্যারোলাইনার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে Southern Association of Colleges and Schoolsএর অনুমোদনঅণুমোদন (Accreditation) লাভ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কা সামলে বিশ্ববিদ্যালয়টি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সাময়িকভাবে নৈবাহিনীর একটি কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। তবে কলেজের পড়ালেখা ও অন্যান্য কার্যকলাপে নৌ-সেনাদের অংশগ্রহণ ক্যাম্পাসের নতুন আকর্ষণ হয়ে দাঁড়ায়।
 
===পূর্ণাংগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৪৪ - বর্তমান)===
৪৮ নং লাইন:
১৯৫৭ সালে ফ্লোরেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পরিবর্ধিত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৯ সালে বোফোর্ট, ল্যাংকাস্টার ও কনওয়েতে এবং ১৯৬১ সালে আইক্যানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো ৫টি পরিবর্ধিত ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে।
 
ষাটের দশকের শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বর্ণবৈষম্য দূর করার দাবি উঠতে থাকে। দক্ষিণের আরো ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ক্লেমসন, আলাবামা ও মিসিসিপি) পদাংক অনুসরণঅণুসরণ করে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা ১৯৬৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তিনজন কালো ছাত্রকে ভর্তি করে। ক্রমশ আরো ছাত্র যোগ হয় ও দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বর্ণবৈষম্যের অবসান ঘটে।
 
সত্তরের দশকে আয়ালেন্ডেল, স্পার্টানবার্গ, ইউনিয়ন ও ওয়াল্টারবোরো'তে ইউএসসি'র পরিবর্ধিত ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে। এ ছাড়াও ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামটার ক্যাম্পাসটি অধিগ্রহণ করে। ১৯৭৭ সালে জেমস হোল্ডারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার 'ক্যারোলাইনা প্ল্যান' ১ এবং ২ পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্বনিদ্যালয়টিকে একটি পূর্ণাংগ, আন্তর্জাতিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়। এ সময় আন্তর্জাতিক নেতা ও পন্ডিতদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয় মুখর হয়ে ওঠে<ref> A 'diplomat' puts University of South Carolina on the map, By Daniel Southerland, Staff writer of The Christian Science Monitor, October 29, 1984[http://www.csmonitor.com/1984/1029/102937.html]</ref>। তবে হোল্ডারম্যান-এর বিদায় প্রীতিকর হয়নি। সাংবাদিকতার ছাত্র পল পারকিন্স বিদেশাগত খন্ডকালীন অধ্যাপক জেহান সাদাতের (মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের স্ত্রী) পারিশ্রমিক জানতে চাইলে হোল্ডারম্যান অপারগতা প্রকাশ করেন। এর জের ধরে সাংবাদিকদের তদন্তে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের সংবাদ বেরিয়ে এলে, ১৯৯০ সালে, হোল্ডারম্যান পদত্যাগ করেন <ref>Henry H. Lesesne, A History of the University of South Carolina, 1940-2000, p. 210, Univ of South Carolina Press (February 2002)ISBN 978-1-57003-444-2</ref>।
 
পরবর্তী দুই দশকে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা শিক্ষা ও গবেষনায়গবেষণায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছয়।
 
==ক্যাম্পাস==
[[File:Williams-BriceStadium-1998.JPEG|thumb|ককপিট। উইলিয়ামস-ব্রাইস স্টেডিয়ামে খেলার মধ্য-বিরতিতে আর্মড ফোর্স এপ্রিসিয়েশন ডে উদযাপন (১৯৯৮)]]
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা ক্যাম্পাস সুদৃশ ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নানান স্থাপনায় সজ্জিত। ক্যাম্পাসের আদি অবস্থান, যা হর্সশু নামে পরিচিত, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়জাতিয় ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর তালিকা National Register of Historic Places-এ জায়গা করে নিয়েছে। ক্যাম্পাসের আরো এগারোটি ভবন গৃহযুদ্ধের সময় থেকে আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
[[Image:University of South Carolina Colonial Life Arena.jpg|left|thumb|২০০২ সালে স্থাপিত কলোনিয়াল লাইফ এরেনা। ১৮,০০০ আসনে সজ্জিত এ মিলনায়তন সাউথ ক্যারোলাইনার বৃহত্তম]]
বর্তমান ক্যাম্পাসের উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে লংস্ট্রিট থিয়েটার, থমাস কুপার লাইব্রেরি, রাসেল হাউজ, ক্যারোলাইনা কলিজিয়াম (মিলনায়তন), স্ট্রম থার্মন্ড ওয়েলনেস এন্ড ফিটনেস সেন্টার (ব্যায়ামাগার), কোগার সেন্টার ফর আর্টস, গ্রীকপল্লী, কলোনিয়াল লাইফ এরেনা, ম্যাককিসিক জাদুঘর, ২৪টি আবাসিক হল, এবং অসংখ্য একাডেমিক ভবন ও গবেষণাগার। ক্যাম্পাস থেকে এক মেইল দূরত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মাঠ, উইলিয়ামস-ব্রাইস স্টেডিয়াম, যা ভক্তদের কাছে ককপিট নামে পরিচিত। এ ছাড়াও খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে আবাসিক সুবিধা, আরো বেশ কয়েকটি মাঠ ও ব্যায়ামাগার। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-সমস্যা লাঘবের জন্য রয়েছে একটি আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র, থমসন হেলথ সেন্টার।
৬৩ নং লাইন:
 
==গবেষণা==
'কার্নেগি ফাউন্ডেশন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অফ টিচিং' যুক্তরাষ্ট্রের যে ৬২ টি সরকারি ও ৩২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে 'অত্যন্ত গবেষণা-প্রবণ' (Research institution with very high reserach activity) বলে চিহ্ণিত করেছে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা তার একটি। ২০১৩ অর্থবছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় ২২০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের গবেষণা অনুদানঅণুদান লাভ করে<ref>সাউথ ক্যারলাইনায় গবেষণা[https://giving.sc.edu/areastosupport/research.aspx]</ref>।
 
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনার গবেষণা কার্যক্রমকে মোটা দাগে চারটি অংশে ভাগ করা যায়-- স্বাস্থ্যবিজ্ঞান (Health sciences), উন্নত বস্তুবিদ্যা (Advanced materials), শক্তি(Energy), এবং পরিবেশ ও সংরক্ষণ (Environment and Sustainability). গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এখানে ১২৫ টি গবেষণা ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম একাধারে আঞ্চলিক ও জাতীয়জাতিয় উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে।
 
==শিক্ষার্থী-বৃত্তান্ত==
৭৬ নং লাইন:
==খেলাধুলা==
[[File:Cocky.jpg|thumb|upright|ভক্তদের সাথে সাউথ ক্যারোলাইনা মাসকট ককি (২০০৭)]]
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা ক্লাব, অন্তঃ ও আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় আন্তঃ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগে (Southeast Conference, SEC) অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি দল রয়েছে। এ দলগুলো [[বেসবল]], [[বাস্কেটবল]], [[ফুটবল]], [[টেনিস]], [[গল্‌ফ]], [[সাঁতার]] ও ঘোড়দৌড়সহ নানা ধরণেরধরনের খেলায় অংশ নিয়ে থাকে। এ দলগুলোকে সাউথ ক্যারোলাইনা গেমককস (Gamecocks) বা 'লড়াকু মোরগ' বলে ডাকা হয়। এ নামটি আমেরিকান বিপ্লবের সাউথ ক্যারোলাইনা অঞ্চলের কুশলী যোদ্ধা থমাস সামটারের স্মৃতিবহন করে, প্রতিপক্ষ বৃটিশদের কাছে যার ডাকনামডাকণাম ছিল গেমকক। গেমককস এ যাবতকালের মধ্যে (২০১৪) আটটি দলগত জাতীয়জাতিয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও ব্যক্তি পর্যায়ে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয়জাতিয় চ্যাম্পিয়নশিপগুলোর মধ্যে ২০১০ ও ২০১১-এর বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য<ref>South Carolina wins second baseball national title (USA TODAY), ০৬-৩০-২০১১[http://usatoday30.usatoday.com/sports/college/baseball/2011-06-28-south-carolina-florida-world-series-final_n.htm]</ref>।
 
এ ছাড়াও ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনার খেলোয়াড়েরা অলিম্পিকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য --