আব্দুল জলিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সংস্কার
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৪ নং লাইন:
| caption =
| full_name = মোহাম্মদ আব্দুল জলিল
| office = [[জাতীয়জাতিয় সংসদ]]
| constituency_MP2 = নওগাঁ-৫ ([[নওগাঁ সদর উপজেলা|নওগাঁ সদর]])
| order =
৩৫ নং লাইন:
}}
 
'''মোহাম্মদ আব্দুল জলিল''' ([[২১ জানুয়ারি]] [[১৯৩৯]] - [[৬ মার্চ]] [[২০১৩]]<ref>[http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=9b1717069994ffb3daadb3f6d86f3afe&nttl=06032013179485 বাংলানিউজ ২৪ ডট কম]</ref>) ছিলেন একজন বাংলাদেশী [[রাজনীতিবিদ]] এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশ সরকারের]] প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও ছিলেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।<ref>{{cite web|url=http://albd.org/index.php?option=com_content&view=article&id=184&Itemid=79|title=উপদেষ্টা পরিষদ|publisher=Bangladesh Awami League|accessdate=১০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ২০০৮ সালের জাতীয়জাতিয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নওগাঁ-৫ আসন থেকে বিজয়ী হন।<ref>[http://www.parliament.gov.bd/mp_list_9th.htm "৯ম জাতীয়জাতিয় সংসদের সদস্যদের তালিকা". Parliament.gov.bd. সংগ্রহকাল: ১১ জানুয়ারি, ২০১৩]</ref> ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনি কয়েক বছর সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
== জীবন ও শিক্ষা ==
৪৪ নং লাইন:
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের শেষ ভাগে। ছাত্রজীবনেই তিনি তৎকালীন বিভিন্ন আন্দোলন অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] ঘনিষ্ঠ সহচর। তাঁর অন্যতম পরিচয় ছিল '''‘নওগাঁর জলিল’''' হিসাবে। আব্দুল জলিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ নং সেক্টরের প্রধান সংগঠক ও যোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে তিনি নওগাঁ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, [[বাকশাল]] গঠিত হলে তাঁকে নওগাঁর গভর্নরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ৪ বছর পর ১৯৭৯ সালে তিনি মুক্তিলাভ করেন। ১৯৮১ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়। ১৯৮২ সালে সামরিক শ্বাসন জারি করা হলে তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। ১৯৮৩ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধরণসাধরন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮৪ এবং ১৯৮৮ সালে তিনি পরপর দু’বার নওগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মত নওগাঁ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০’র দশকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সে সময় থেকেই বিবিসি রেডিও এবং ভয়েজ অব আমেরিকায় নিয়মিতভাবে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে তার কণ্ঠস্বর শোনা যেত।
 
১৯৯৩ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ জাতীয়জাতিয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে ১৯৯৮ সালে তাঁকে টেকনোক্র্যাট কোটায় বানিজ্যবাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০১ এবং ২০০৮ এর জাতীয়জাতিয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
 
=== ট্রাম্পকার্ড ===
৫৩ নং লাইন:
 
=== ২০০৭-০৮ সালের ভূমিকা ===
২০০৭ সালে ক্ষমতা দখলের পর সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার কিছু প্রশ্নযোগ্য সংস্কার-উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর মধ্যে একটি ছিল “মাইনাস টু ফর্মুলা”, যার লক্ষ্য ছিল প্রধান দুই জননেত্রীর অপসারণের মাধ্যমে জাতির বিরাজনীতিকরণ। এই সময় আওয়ামী লীগের যারা সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের কার্যক্রমকে সমর্থন দেননি তাদের একজন আব্দুল জলিল। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কারাগারে থাকার সময় তিনি একটি চিঠিতে দলীয় সভানেত্রী [[শেখ হাসিনা]]কে নিয়ে কটূক্তি করায় সমালোচনার মুখে পড়েন, ফলে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ছন্দপতন ঘটতে শুরু করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠানেরঅণুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কাউন্সিলে তাঁকে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য করা হয়। ২০০৮-এর নির্বাচনে বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও জ্যেষ্ঠ দলীয় নেতা আব্দুল জলিলকে মন্ত্রী সভায় নেয়া হয় নি। এই বঞ্চনার মনোঃকষ্ট নিয়েই তাঁকে মৃত্যুবধি সময় কাটাতে হয়েছে।
 
== মৃত্যু ==