অ্যানিমে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2A03:2880:3010:7FF2:FACE:B00C:0:1-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Parvezahmed-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সং...
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২ নং লাইন:
'''আনিমে''' ([[জাপানি ভাষা|জাপানি]]: アニメ ''আনিমে'', [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Anime ''অ্যানিমেই'' [[আ-ধ্ব-ব]]: /ˈænɪmeɪ/) ইংরেজি [[অ্যানিমেশন]] শব্দের সমার্থক। সাধারণভাবে [[জাপান|জাপানি]] অ্যানিমেশন চিত্রকেই আনিমে বলা হয়। জাপানের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আনিমে বলতে জাপানে নির্মিত অ্যানিমেশনকেই বোঝায়। তবে পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গিতে সব জাপানি অ্যানিমেশনই আনিমে হিসেবে আখ্যায়িত হতে পারে না। এক কথায় আনিমেকে অ্যানিমেশনের একটি উপসেট ধরে নেয়া যেতে পারে।
 
প্রথাগতভাবে আনিমেগুলো হাতে নির্মিত হয়, তথাপি বর্তমানে অন্যান্য অ্যানিমেশন চিত্রের মতো আনিমে নির্মাণেও কম্পিউটার সফ্‌টওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। আনিমের কাহিনী যেকোনও ধরণেরধরনের সাহিত্য বা মিডিয়ার মত হতে পারে। চলচ্চিত্র, নাটক বা কল্পকাহিনীর যেকোনটি নিয়েই আনিমে নির্মাণ করা যেতে পারে। অন্যান্য মিডিয়ার মতোই [[ডিভিডি]], টেলিভিশন সম্প্রচার, [[ভিডিও গেম্‌স]], [[বিজ্ঞাপন]], ভিএইচএস বা ভিসিডির মাধ্যমে আনিমে প্রচারিত এবং বণ্টিত হয়ে থাকে।
 
আনিমে বা [[মাঙ্গা]] জাপানে খুবই জনপ্রিয় এবং তা বিশ্বব্যপী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। আনিমে [[জাপান]], [[চীন]], [[দক্ষিণ কোরিয়া]], [[তাইওয়ান]], [[সিঙ্গাপুর]], এবং [[ইন্দোনেশিয়া]] এসকল এশীয় দেশগুলোতে অত্যধিক জনপ্রিয়। অধিকন্তু [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]], [[যুক্তরাজ্য]], [[কানাডা]], [[ফ্রান্স]], [[নরওয়ে]], [[রাশিয়া]], [[সুইডেন]] সহ এসকল পাশ্চাত্য দেশগুলোতে অধিক প্রসারিত হয়েছে।
১২ নং লাইন:
{{cite web|url=http://www.associatedcontent.com/article/291539/a_brief_history_of_anime.html|title=A Brief History of Anime|date=2007-07-28|accessdate=2007-08-14|work=Allen Butler}}</ref>
 
[[১৯৩০]]-এর দশকে জাপানের তুলনামূলকভাবে অনুন্নতঅণুন্নত লাইভ-অ্যাকশন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবর্তে আনিমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রকাশের বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কম খরচে যেকোনও ধরণেরধরনের কাহিনী চিত্রায়িত করার এ ভিন্ন কোনও উপায় ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো জাপানের লাইভ-অ্যাকশন ইন্ডাস্ট্রি অর্থানুকূল্য পায় নি। সেখানে অর্থাভাব, বাজেট সমস্যা, স্থান সংকট এবং চরিত্র নির্মাণে সমস্যা ছিল। তাই এই বাজারটিও ছিল বেশ ছোট আকারের। জাপানে পশ্চিমা গড়নের কোনও মানুষ না থাকায় জাপান থেকে [[ইউরোপ]], [[যুক্তরাষ্ট্র]] বা জাপানবিহীন কাল্পনিক বিশ্বের রূপায়ণ এক প্রকার অসম্ভব ছিল। তাই অ্যানিমেশন চিত্র শিল্পীদেরকে যেকোনও ধরণেরধরনের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।<ref name="manga characters look white">{{cite web|title=Do Manga Characters Look "White"?|url=http://web.archive.org/web/20060517194357sh_re_/www.matt-thorn.com/mangagaku/faceoftheother.html <!-- ([[Internet Archive]] backup)--> | accessmonthday = 11 December | accessyear = 2005 }}</ref>
 
[[স্নো হোয়াইট]] নির্মাণের মাধ্যমে [[ওয়াল্ট ডিজনি]] অ্যানিমেশন চিত্রের মাধ্যমে যেকোনও ধরণেরধরনের মিডিয়া নির্মাণকে জনপ্রিয় করে তোলেন। ডিজনির জনপ্রিয়তা ও সফলতা দেখে জাপানের অ্যানিমেশন শিল্পীরা উৎসাহিত হন।<ref>{{cite web|url=http://www.corneredangel.com/amwess/papers/history.html|title=A Brief History of Anime|date=1999|accessdate=2007-09-11|work=Michael O'Connell, Otakon 1999 Program Book}}</ref> [[ওসামু তেজুকা]] ডিজনির অনেকগুলো অ্যানিমেশন কাহিনী জাপানি প্রেক্ষাপটে রূপায়িত করে সেখানে খরচের পরিমাণ বেশ কমিয়ে এনেছিলেন। অবশ্য তাকে অনেকটা অদক্ষ শিল্পী ও কুশলী নিয়ে প্রতি সপ্তাহে আনিমের একটি করে পর্ব নির্মাণ করতে হত। সে সময় বেশ কয়েকজন অ্যানিমেশন শিল্পী ডিজনি বা তেজুকা ধরণেরধরনের প্রচীন পদ্ধতি থেকে খানিকটা সরে গিয়ে নতুনত্ব আনেন এবং এভাবে নির্মাণ খরচ সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসেন।
 
[[১৯৭০]]-এর দশকে জাপানে [[মাঙ্গা]] শিল্প ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইংরেজি কমিক বইয়েরই জাপানি নাম মাঙ্গা। এই মাঙ্গাগুলোর কাহিনী নিয়েই তখন আনিমে নির্মিত হতে থাকে। বিশেষত ওআমু তেজুকার মাঙ্গাগুলো চিত্রায়িত হয়েছিল। তেজুকাকে জাপানের অন্যতম কিংবদন্তি হিসেবে মেনে নেয়া হয় এবং তাকে বলা হয় "মাঙ্গার প্রভু"।<ref>{{cite web| url = http://www.asahi.com/english/Herald-asahi/TKY200605110157.html| title = 5 missing manga pieces by Osamu Tezuka found in U.S.| accessdate = 2006-08-29| last = Ohara| first = Atsushi| authorlink = | coauthors = [[Asahi Shimbun]]| date = [[May 11]], [[2006]]| publisher = Asahi.com| language = English|archiveurl=http://web.archive.org/20060520053910/www.asahi.com/english/Herald-asahi/TKY200605110157.html|archivedate=2006-05-20}}</ref> তেজুকাসহ অন্যান্যদের চেষ্টায় আনিমের মধ্যে বৈশিষ্ট্যময়তা এবং সঠিক চরিত্রের পরিস্ফুটন সম্ভব হয়ে ওঠে। এ সময় জায়ান্ট রোবট ধরণেরধরনের আনিমে এই শিল্পে বিপ্লব আনে। তেজুকা এই ধরণেরধরনের আনিমে নির্মাণ করেন যার মধ্যে রয়েছে [[গো নাগি]] এবং অন্যান্য। জাপানের বাইরে জায়ান্ট রোবট ধরণটি ''মেকা'' নামে পরিচিত। সেই দশকের শেষ দিকে [[ইওশিয়ুকি তোমিনো]] এই ধরণটিকে সফলতার পর্যায়ে নিয়ে যান। ৮০'র দশকে [[গুনডাম]] এবং [[মাকরস|মাকরসের]] মতো রোবট আনিমে সিরিজগুলো চিরায়ত শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। জাপান এবং বহির্বিশ্বে এখনও রোবট ধরণটি সবচেয়ে কঠিন। ১৯৮০'র দশকে আনিমে জাপানের মূলধারার শিল্পে স্থান করে নেয় এবং তখন থেকেই এর নির্মাণ শিল্পে প্রভূত সফলতা আসে। উল্লেখ্য আনিমের আগেই মাঙ্গা জাপানের মূলধারায় স্থান করে নিয়েছিল। বিশ্ববাজারে ৯০ এবং ২০০০'র দশকে আনিমের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
== কার্য বিভক্তিকরণ ==
২২ নং লাইন:
== পারিপার্শ্বিক বস্তু ==
== জাপানি অ্যানিমেশনসমূহের শ্রেণীবিভাগ ==
জাপানি আনিমের ধরণেরধরনের মধ্যে রয়েছে একশন, কমেডি, রোমান্স, সাধারণ জীবনী, স্কুল লাইফ, হরর, সাইকোলজিক্যাল, ইরোটিক, ফ্যান্টাসি ইত্যাদি।
 
== জাপানি অ্যানিমেশন স্টুডিওসমূহের তালিকা ==
৫৪ নং লাইন:
* ডেট এ লাইভ (Date A Live)
* ফ্রুট বাস্কেট (Fruits Basket)
* ড্রাগনড্রাগণ বল জেড (Dragon Ball Z)
* ইজ দিস এ জম্বি (Is this a Zombie)
* স্পাইস এন্ড ওলফ (Spice & Wolf)