আকিরা কুরোসাওয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
||
২২ নং লাইন:
আকিরা কুরোসাওয়া [[১৯১০]] সালের [[২৩শে মার্চ]] জাপানের রাজধানী [[টোকিও|টোকিওর]] শিনাগাওয়া উপশহর অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। ইসামু কুরোসাওয়া ও শিমা কুরোসাওয়া আট সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর জন্মের সময় তাঁর বাবার বয়স ছিল ৪৫ আর মায়ের বয়স ছিল ৪০। তাঁর তিন ভাই এবং চার বোন ছিল। ভাইদের মধ্যে একজন তাঁর জন্মের আগেই মারা যান এবং একজন তাঁর জন্মের সময়ই কাজের সন্ধানে শহরে চলে যান। বোনদের মধ্যেও একজনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তাঁর জন্মের আগে। কুরোসাওয়ার ঠিক বড় যে বোন ছিলেন তাঁকে তিনি "ছোট আপা" বলে ডাকতেন। দশ বছর বয়সে তাঁর এই বোনটিও রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
কুরোসাওয়া পরিবার প্রাক্তন সামুরাইদের বংশধারা বহন করে আসছিল। তাঁর বাবা জাপানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি জুনিয়র হাই স্কুলের পরিচালকের দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলেন। এই পরিবারের অর্থাভাব কোনও কালেই ছিল না। বাবা ইসামু কুরোসাওয়া পশ্চিমা সংস্কৃতির অনেক কিছুই পালন করতেন, যেমন স্কুলে পরিচালিত অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতা ও সপরিবারে সিনেমা দেখতে যাওয়া। উল্লেখ্য জাপানি নাট্যাঙ্গণে এই সিনেমাগুলো তখন কেবলমাত্র আসতে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে জাপানি সংস্কৃতি যখন পশ্চিমা চলচ্চিত্রের প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠে তখন ইসামু মনে করতেন, চলচ্চিত্র এক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকিরার এক শিক্ষক তাঁকে আঁকতে উৎসাহ দিতেন। তিনি আকিরার মেধা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন এবং তাঁকে চোখে চোখে রাখতেন। তাঁর উপর তাঁর বড় ভাই হেইগোর বিশাল প্রভাব ছিল। হেইগো খুব মেধাবী ছিলেন এবং স্কুলের অনেক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। অবশ্য চরিত্রের দিক দিয়ে তিনি একটু নৈরাশ্যবাদী ছিলেন। [[১৯২৩]] সালে [[১৯২৩ সালের কান্তো ভূমিকম্প|কান্তো ভূমিকম্পে]] টোকিওর এক লক্ষ মানুষ মারা যায়। ভূমিকম্পের পর ১৭ বছর বয়সী হেইগো ও ১৩ বছর বয়সী আকিরা হেঁটে হেঁটে
হেইগো এক সময় টোকিও চলচ্চিত্র থিয়েটারে [[বেনশি]] হিসেবে কাজ করা শুরু করে। বেনশিরা নির্বাক চলচ্চিত্রের দর্শকদের জন্য পেছন থেকে কাহিনী ও কথোপকথন বর্ণনা করত। এই বিষয়টা নির্বাক চলচ্চিত্রে জাপানিদের বিশেষ সংযোজন হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেছিল। কিন্তু সবাক চলচ্চিত্রের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে জাপান জুড়ে বেনশিরা চাকরি হারাতে থাকে। হেইগো একটা বেনশি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ সময় আকিরা শ্রমিক ব্যবস্থাপনা আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং একটি পত্রিকায় এ নিয়ে লেখালেখি করেন। একই সাথে চিত্রকর এবং সাহিত্য পাঠক হিসেবে তাঁর দক্ষতার ভিত গড়ে উঠতে থাকে। জীবনে বেশ কিছু কাজে প্রতিফলিত হলেও আকিরা কখনও নিজেকে [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদী]] বলেন নি।
৩৩ নং লাইন:
১৯৩৬ সালে কুরোসাওয়া জাপানের একটি মূলধারার চলচ্চিত্র স্টুডিওতে পরিচালনার জন্য আয়োজিত একটি শিক্ষানবিশি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। ''পিসিএল'' নামের এই স্টুডিওটি পরবর্তীতে [[তোহো]] নামে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। পরিচালক [[কাজিরো ইয়ামামোতো]] তাঁকে সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আকিরা তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেন যার নাম ছিল [[সানশিরো সুগাতা]]। এর পর তাঁর করা সব ছবিই যুদ্ধকালীন জাপানি সরকার খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখত। এ কারণে এ সময়ের ছবিগুলোতে জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা উঠে এসেছে। যেমন তাঁর "দ্য মোস্ট বিউটিফুল" নামের ছবিটি সামরিক অপটিক্সের কারখানায় কাজ করে এমন এক নারীর জীবন নিয়ে করা। "জুডো সাগা ২" ছবিতে জাপানি জুডোকে পশ্চিমা তথা মার্কিন বক্সিং থেকে উত্তম হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
যুদ্ধের পর তাঁর করা প্রথম ছবিতে এ
== পরিচালক হিসেবে আকিরা ==
|