অর্জুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১ নং লাইন:
[[চিত্র:arjuna statue.JPG|thumb|300px|বালির রাজপথে অর্জুনের মূর্তি]]
'''অর্জুন''' ([[দেবনাগরী]]: अर्जुन) ''[[মহাভারত]]'' মহাকাব্যের একটি চরিত্র। তিনি [[পাণ্ডব|পঞ্চপাণ্ডবের]] অন্যতম। 'অর্জুন' শব্দের অর্থ 'উজ্জ্বল', 'জাজ্বল্যমান', 'সাদা' অথবা 'রূপালি'।<ref>Maharishi Mahesh Yogi on the Bhagavad-Gita, a New Translation and Commentary, Chapter 1-6. Penguin Books, 1969, p 31 (v 4)</ref> তিনি একজন অব্যর্থ ধনুর্বিদ। তাকে পার্থ এবং ধনঞ্জয় নামেও ডাকা হয়। [[অর্জুন]] এর আরো বেশ কিছু নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু নাম হল – অরিমর্দন, কপিকেতন, কপিধ্বজ, কিরীটী, কৃষ্ণসখ, কৃষ্ণসারথি, কৌন্তেয়, গাণ্ডিবধন্বা, গাণ্ডিবী, গুড়াকেশগুঁড়াকেশ, চিত্রযোধী, জিষ্ণু, তৃতীয় পাণ্ডব, ধনঞ্জয়, পার্থ, ফল্গুন, ফাল্গুনি, বিজয়, বীভৎসু, শব্দবেধী, শব্দভেদী, শুভ্র, শ্বেতবাহ, শ্বেতবাহন, সব্যসাচী।<ref>[[[[অর্জুন|অর্জুনের]] নাম]]</ref> তার মা কুন্তি তাকে মন্ত্রবলে দেবরাজ ইন্দ্রের নিকট হতে লাভ করেন। তিনি [[দ্রোণাচার্য]] হতে ধনুবিদ্যা লাভ করেন। পাণ্ডব ভ্রাতৃগণের মধ্যে তাঁর স্থান তৃতীয়। অর্জুন [[পাণ্ডু]] ও তাঁর জ্যৈষ্ঠা মহিষী [[কুন্তী|কুন্তীর]] পুত্র। অর্জুনকে [[নারায়ণ|নারায়ণের]] কনিষ্ঠ ভ্রাতা [[নর-নারায়ণ|নর-নারায়ণের]] [[অবতার]] মনে করা হয়।<ref>[[Mahābhārata]], [http://www.sacred-texts.com/hin/m01/m01002.htm Adi Parva, Section I]</ref><ref>[[Devi Bhagawatam]], [http://www.sacred-texts.com/hin/db/bk04ch22.htm fourth book, chapter XXII]</ref> মহাভারতে তাঁকে 'চতুর্থ কৃষ্ণ' বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।<ref>{{cite book |author=Hiltebeitel, Alf |title=The ritual of battle: Krishna in the Mahābhārata |publisher=State University of New York Press |location=Albany, N.Y |year=1990 |pages= |isbn=0-7914-0249-5 |oclc= |doi= |accessdate=}} [http://books.google.ie/books?id=vwWGX08JAx8C&pg=PA61 p61]</ref> [[কৃষ্ণ]] ছিলেন তাঁর প্রিয় বন্ধু তথা শ্যালক। [[কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ|কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের]] সূচনাপর্বে কৃষ্ণ তাঁকে যে উপদেশাবলি প্রদান করেন তাই [[ভগবদ্গীতা]] নামে পরিচিত।
==জন্ম==
[[অর্জুন|অর্জুনের]] পিতার নাম [[পান্ডু]] ও মাতার নাম [[কুন্তি]]। [[পান্ডু]] রাজা কিন্দিম মুণিকে হত্যার কারনে কোনদিন কোন স্ত্রী লোকের সাথে সহবাস করতে পারবেন না অভিশাপ পান। তাই তিনি বনবাসে গেলেন তার দুই স্ত্রীকে নিয়ে। সেখানে একদিন [[পান্ডু]] রাজার প্রথম স্ত্রী বলেন তিনি ঋষি দুর্বাসার কাছ থেকে এমন বর পেয়েছিলেন যে [[কুন্তি]] একটা মন্রের দ্বারা যেকোন দেবতাকে আহ্বান করতে পারবেন এবং তার কাছে থেকে একটি সন্তান লাভ করতে পারবেন। সেই বর দান সুরূপ [[পান্ডু]] রাজা এবং [[কুন্তি]] ভগবান [[ইন্দ্র|ইন্দ্রের]] কাছ থেকে তার মত বলবান এবং তেজস্বী একটি ছেলে প্রথনা করেন। [[ইন্দ্র]] এর বর দান স্বরূপ তারা [[অর্জুন]] কে বর দেন।
৭ নং লাইন:
[[অর্জুন]] যুদ্ধ শিক্ষা লাভ করেন গুরু দ্রৌণাচার্যের কাছে। গুরু দ্রোণ [[অর্জুন]] এবং তার একমাত্র ছেলে [[অশ্বত্থামা|অশ্বত্থামাকে]] বেশ যত্ন এর সাথে ধনু বিদ্যা শিখিয়েছেন। সেই সময় [[অর্জুন]] তাদের মধ্যে সবার শ্রেষ্ঠ ছিলেন। [[অর্জুন]] ছিলেন কৌরব ও পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের প্রিয়তম শিষ্য। গুরুদক্ষিণা স্বরূপ দ্রোণাচার্য যখন পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের বন্দিত্ব চান,তখন মূলত অর্জুনের বীরত্বতেই তা সম্ভব হয়। পাণ্ডবদের শৌর্যবীর্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ধৃতরাষ্ট্র ও তাঁর পুত্ররা ওঁদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন জেনে পাণ্ডবরা বেশ কিছুদিন ছদ্মবেশে ছিলেন।<ref>অমর সাহিত্যঃ মহা ভারত</ref>
==বিয়ে==
[[অর্জুন]] ও তার চার ভাই তাদের মাতার সাথে বনবাসে গেলে সেখানে তারা ঘটনাক্রমে দ্রৌপদ রাজার একমাত্র কন্যা [[দ্রৌপদী|দ্রৌপদীর ]] স্বয়ম্বরসভায় ছদ্মবেশে উপস্থিত হন। আর সেখানে অন্য সব রাজকুমারদের সাথে [[দুর্যোধন]], তার মামা শকুনি এবং [[কর্ণ]] উপস্থিত থাকেন। সেখানে দ্রৌপদ রাজার এক অন্য রকম স্বয়ম্বরসভার আয়োজন করেন। আর সেটা বলেন তার একমাত্র পুত্র ধৃষ্টদ্যুম্ন। আর সেই নিয়ম হল চক্রমধ্য-মৎস্যকে বিদ্ধ করতে হবে। সেখানে যে ধনুক ছিল তার ভার বহন করা এত সম্ভব ছিল না। তাদের মধ্যে [[কর্ণ]] সেই ধনুক উঠাতে পারতেন। কিন্থু [[দ্রৌপদী]] কোন সুত পুত্রকে বিবাহ করবেন না বলে জানান। আর সেই কারনে [[কর্ণ]] এই ধনুক উঠালেন না। তারপরে [[শ্রীকৃষ্ণ]] এর অনুরোধেঅণুরোধে থাকা সেখানে ব্রাক্ষ্মনদের সেই ধনুক উঠানোর জন্য অনুরোধঅণুরোধ করেন ধৃষ্টদ্যুম্ন। আর তখন ছদ্মবেশে থাকে [[অর্জুন]] সেই চক্রমধ্য-মৎস্যকে বিদ্ধ করতে সক্ষম হন এবং পরে [[দ্রৌপদী|দ্রৌপদীকে]] বিয়ে করেন। কিন্তু পরে তারা পাঁচ ভাই একসাথে এলে তাদের মাতা [[কুন্তি]] তখন ধ্যানে ছিলেন। আর তখন [[ভীম]] বলেন তারা কি এনেছেন। [[কুন্তি]] কিছু না দেখে বলেন '''যা এনেছো তা তোমরা পাঁচ ভাই মিলে ভাগ করে নাও'''। তার এই কথার সাথে শেষ পর্যন্ত মহামুনি ব্যাসদেব এর কথা অনুসারেঅণুসারে তারা পাঁচ ভাই মিলে [[দ্রৌপদী|দ্রৌপদীকে ]] বিয়ে করেন। পরে [[নারদ]] আরো একটা সমাধান করে দেন, আর তা হল [[দ্রৌপদী]] যে সময়ে এক ভ্রাতার সঙ্গে থাকছেন, সেই সময় অন্য কোনও ভ্রাতা তাঁদের শয়ন-গৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না। তারপরেও অবশ্য [[অর্জুন]] আরও তিনজনকে বিবাহ করেছিলেন। এঁরা হলেন - কৌরব্যনাগের কন্যা উলুপী (ইনি পূর্ব-বিবাহিতা ছিলেন), মণিপুররাজ চিত্রবাহনের কন্যা চিত্রাঙ্গদা এবং কৃষ্ণ ভগিনী সুভদ্রা। তার চার পুত্রের নাম হল শ্রুতকীর্তি (কৃষ্ণার গর্ভজাত), ইরাবান্ (উলুপীর গর্ভজাত), বভ্রুবাহন (চিত্রাঙ্গদার গর্ভজাত) ও [[অভিমন্যু]] (সুভদ্রার গর্ভজাত)।<ref>অভিমন্যু</ref>
 
==বনবাস==