ডায়োড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rejuan Hakim (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Rejuan Hakim (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৭ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
উনিশ শতকের শেষের দিকে তড়িৎ প্রবাহ একমুখীকরণ বা রেকটিফিকেশনের দুই ধরণের কৌশল আবষ্কৃত হয় -- থার্মায়োনিক ডায়োড(ভ্যাকুয়াম টিউব) ও ক্রিস্টাল ডায়োড। যদিও ভ্যাকুয়াম টিউব অর্ধপরিবাহী ক্রিস্টাল ডায়োডের পূর্বে প্রায়োগিক সাফল্য লাভ করে, এ দুই ধরণের গঠন একই সাথে বিকশিত হয়েছিল। ১৮৭৩ সালে ফ্রেডিক গাথরি প্রথম থার্মিয়োনিক ডায়োডের মূলনীতি আবিষ্কার করেন। <ref>http://nobelprize.org/physics/laureates/1928/richardson-lecture.pdf</ref> তিনি দেখেন যে ভূমিতে (Ground) সংযুক্ত এক টুকরো সাদা গরম লোহাকে একটি ধনাত্নক চার্জ বিশিষ্ট ইলেকট্রোস্কোপের কাছাকাছি নিয়ে আসা হলে কোন স্পর্শ বা সংযোগ ছাড়াই তা চার্জশূণ্য হয়ে যায়। কিন্তু ইলেক্ট্রোস্কপে ঋণাত্মক চার্জ দেওয়া হলে প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি ঘটে না। অর্থাৎ এ প্রক্রিয়ায় তড়িৎ প্রবাহ বিভব পার্থক্যের সাপেক্ষে একমুখী। ১৮৮০ সালে বৈদ্যুতিক বাতির ফিলামেন্ট নিয়ে কাজ করার সময় তত্ত্বটি স্বতন্ত্রভাবে পুনঃআবিষ্কার করেন [[টমাস আলভা এডিসন]]। তিনি একটি বদ্ধ বায়ুশূণ্য কাচের পাত্রে একটি কার্বন ফিলামেন্ট ও একটি ধনাত্মকভাবে চার্জিত ধাতব পাত নিয়ে পরীক্ষণ চালান এবং দেখতে পান যে ফিলামেন্ট থেকে ভ্যাকুয়ামের মধ্য দিয়ে চার্জের নির্গমন ঘটছে এবং ধাতব পাতে সঞ্চিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি করছে। এডিসনএ ঘটনার নাম দেন এডিসন ইফেক্ট এবং এর উপর ভিত্তি করে বিভব পার্থক্য মাপার যন্ত্র ভোল্টমিটারের উন্নয়ন ঘটান। ১৮৮৪ সালে এডিসন তার আবিষ্কৃত যন্ত্রটি পেটেন্ট করেন<ref>Thomas A. Edison "Electrical Meter"{{US patent|307030}}Issue date: Oct 21, 1884</ref>। এর বছর বিশেক পরে মার্কোনি কোম্পানির [[বিজ্ঞান]] উপদেষ্টা ও এডিসন কোম্পানির প্রাক্তন কর্মচারী জন এমব্রোস ফ্লেমিং [[রেডিও]] সংকেতের মর্মোদ্ধারে এডিসন ইফেক্টের গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং ১৯০৪ সালে ব্রিটেন<ref>{{cite web|url=http://www.jmargolin.com/history/trans.htm |title=Road to the Transistor |publisher=Jmargolin.com |accessdate=2008-09-22}}</ref> ও ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে<ref>Instrument for converting alternating electric currents into continuous currents. {{US patent|803684}}Nov 7, 1905</ref> এ ব্যাপারে দুইটি পেটেন্ট লাভ করেন। এ আবিষ্কারের পর থেকে রেকটিফিকেশনের কাজে [[ভ্যাকুয়াম টিউব|ভ্যাকুয়াম টিউবের]] ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়।
 
অন্যদিকে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ফার্দিনান্দ ব্রাউন ১৮৭৪ সালে ক্রিস্টালের রেকটিফাই করার ধর্মকে আবিষ্কার করেন। ১৯০৬ সালে খনিজ ক্রিস্টাল গ্যালেনা (লেড সালফাইড) থেকে প্রথম অর্ধ পরিবাহী ডায়োড সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ক্রিস্টালটিকে বর্তনীতে সংযুক্ত করা হত অত্যন্ত সরু ধাতব তার ব্যবহার করে, গঠনগত সাদৃশ্যের কারণে যার নাম দেওয়া হয় ক্যাটস হুইস্কার বা বেড়ালের গোঁফ। ১৮৯৪ সালে [[বাঙালি]] বিজ্ঞানী [[জগদীশচন্দ্র বসু]] ক্রিস্টাল ডায়োড ব্যবহার করে রেডিও সংকেত পুনরুদ্ধার করতে সক্ষন হন<ref>Sarkar, Tapan K. (2006). [http://books.google.com/books?id=NBLEAA6QKYkC&pg=PA291#v=onepage&q&f=false|History of wireless.] USA: John Wiley and Sons. pp. 94, 291–308. ISBN 0-471-71814-9.</ref>। ১৯০৩ সালে সিলিকন ক্রিস্টাল ডায়োড-ভিত্তিক রেডিও গ্রাহকের প্রায়োগিক রূপ দেন গ্রিনলিফ উইটিয়ার পিকার্ড, যা তিনি ১৯০৬ সালে পেটেন্ট করেন<ref>Pickard, Greenleaf Whittier "Means for receiving intelligence communicated by electric waves"{{US patent|836531}} Issued: August 30, 1906</ref>। তবে অর্ধপরিবাহী ক্রিস্টালের বিশুদ্ধতা আশানুরূপ না থাকায় তা জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি।