শ্রীরামপুর, পশ্চিমবঙ্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নিবন্ধ সম্প্রসারণ অনুলিপি সম্পাদনা (অনুল্লেখ্য)
দিগদর্শন নিবন্ধ সম্প্রসারণ
১৫৭ নং লাইন:
=== সড়কপথ ===
[[চিত্র:বটতলা,শ্রীরামপুর~2~2.jpg|thumb|[[গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড]] (জিটি রোড), বটতলা পাঁচ মাথার মোড়]]
শ্রীরামপুরে পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে জি টি রোড ও পশ্চিমে যাওয়ার জন্য [[গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড|জি টি রোডেররোড]]-এর ওপর ''''''শহিদ গোপীনাথ সাহা'''''<nowiki/>' উড়ালপুল রয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.anandabazar.com/district/dhaksinbanga/howrah-hoogly/panic-in-sreerampore-people-after-the-flyover-incident-demand-for-repair-1.347797|title=পোস্তার ঘটনায় শঙ্কিত শ্রীরামপুর দাবি তুলল উড়ালপুল সংস্কারের|last=পাল|first=প্রকাশ|access-date=2016-08-24}}</ref> কলকাতা-দিল্লি রোড এই শহরের পশ্চিমপ্রান্তে উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর বিস্তৃত। এই দিল্লি রোড এবং [[শ্রীরামপুর রেল স্টেশন|শ্রীরামপুর টাউন রেল স্টেশন]] ও শ্রীরামপুর কোর্ট(আদালত) থেকে বিভিন্ন রুটের বাস আছে যেমন- [[শ্রীরামপুর রেল স্টেশন|শ্রীরামপুর টাউন রেল স্টেশন]] থেকে কলকাতাকলকাতার বাগবাজার, সল্টলেক, ডানলপ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://www.facebook.com/seramporehooghly/|title=Serampore, Hooghly {{!}} Facebook|website=www.facebook.com|access-date=2016-08-24}}</ref> আর কোর্ট থেকে কলকাতা সল্টলেক(করুণাময়ী), হাওড়া(ভায়া জিটি রোড)। এছাড়াও কোর্ট থেকে পান্ডুয়া, চণ্ডীতলা, জঙ্গীপাড়া, তারকেশ্বর, আউশবালি, বিরশিবপুর, ডোমজুড় -এ বাস চলাচল করে(ভায়া দিল্লি রোড)। পশ্চিম শ্রীরামপুরের মল্লিকপাড়ায় জিটি রোডের ধারে ৫ বিঘা জায়গা জুড়ে রয়েছে ''''শ্রীরামপুর মহকুমা বাস-মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'''<nowiki/>' নামে একটি বাসটার্মিনাস। এতে প্রায় ৩০ টি রুটের ২৫০ টি বাস দাঁড়াতে পারে। এর ফলে শহর থেকে রাজ্যের এবং রাজ্যের বাইরের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যায়। এছাড়াও শহরের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটের অটো এবং টোটো ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের সংখ্যাও প্রচুর।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.anandabazar.com/district/dhaksinbanga/%E0%A6%9F-%E0%A6%9F-%E0%A6%85%E0%A6%9F-%E0%A6%A6-%E0%A6%AC-%E0%A6%B0%E0%A6%A5-%E0%A6%A8-%E0%A6%9C-%E0%A6%B9-%E0%A6%B2-%E0%A6%AF-%E0%A6%A4-%E0%A6%B0-%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%B8-%E0%A6%A4%E0%A6%95-%E0%A6%B7-%E0%A6%AA-%E0%A6%9A-%E0%A7%9F-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%B6-%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B0-1.32086|title=টোটো-অটো দ্বৈরথে নাজেহাল যাত্রীরা হস্তক্ষেপ চায় প্রশাসনের - Anandabazar|website=www.anandabazar.com|access-date=2016-08-24}}</ref>
* [[শ্রীরামপুর রেল স্টেশন]] - [[বাগবাজার|কলকাতা বাগবাজার]] ও [[বিধাননগর|কলকাতা সল্টলেক]]
* [[শ্রীরামপুর রেল স্টেশন]] - [[দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি|দক্ষিণেশ্বর]] ডানলপ
১৭৯ নং লাইন:
 
=== জলপথ ===
[[চিত্র:Ferry ghat at Srirampur.jpg|thumb|223x223px|শ্রীরামপুরের '''''যুগল আড্ডিআঢ্য খেয়াঘাটফেরিঘাট''''' (পূর্বে ডেনিশদের বাণিজ্যিক বন্দর)]]
শ্রীরামপুর শহরটি [[হুগলী নদী|হুগলী নদীর]] পশ্চিমে অবস্থিত। এটি গঙ্গার অপর পাড়ের [[ব্যারাকপুর]] শহর ও [[টিটাগড়|টিটাগড়ের]] সাথে ফেরিসার্ভিসের মাধ্যমে যুক্ত। প্রধান ফেরী সার্ভিসগুলো হলোঃ (সকাল ৬ঃ৩০ থেকে রাত ১০ঃ০০)-
* মাহেশ ঘাট - [[টিটাগড়]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://www.google.co.in/maps/place/Lakhi+Ghat+ferry/@22.7343932,88.3585145,17.67z/data=!4m5!3m4!1s0x0:0x6287b2cf78eac3c9!8m2!3d22.7337298!4d88.3581662|title=Mahesh Jagannath ghat, Serampore - 712202 to Titagarh Laxmighat, Kolkata - 700119|last=to Titagarh Laxmighat, Kolkata - 700119|first=Mahesh Jagannath ghat, Serampore - 712202|date=|website=|publisher=|access-date=}}</ref>
২৬৫ নং লাইন:
মাহেশ জগন্নাথ মন্দির ১৩৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। বাংলার ১৫ শতকে শ্রীচৈতন্য বৈষ্ণবধর্মের নেতৃত্বে এখানে এলে, এসব স্থানে একটি হিন্দু তীর্থ কেন্দ্র হিসেবে অগ্রগণ্য ওঠে।
[[চিত্র:SeramporeJT.jpg|left|thumb|223x223px|দে ঘাট, [[উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরি রোড]], বটতলা]]
রাজা মনোহর রায় '''উত্তর শ্রীরামপুরের''' শেওড়াফুলি এর জমিদা্র ১৭৫৩ সালে শ্রীপুর রাম-সীতার মন্দির তৈরী করলেন আর তার ছেলে রামচন্দ্র রায় পরে দেবতার সেবা '''''দেবোত্তর ভূমি''''' হিসাবে শ্রীপুর, গোপীনাথপুর ও মনোহরপুর গ্রামের নিবেদন করেন। পরবর্তীকালে রাজা নির্মল চন্দ্র ঘোষ এবং '''শেওড়াফুলি রাজ দেবোত্তর এস্টেট, শ্রীরামপুর''' -এর দ্বারা মন্দির যত্ন নেয়া হয়। বর্তমান কালে, মন্দির ও তার প্রাঙ্গন '''শেওড়াফুলি রাজবাড়ী''' নজরদারির আওতায়।
 
==নামকরণের উৎস==
৩১৩ নং লাইন:
 
সে যুগে হিন্দুসমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের মধ্যে উল্লেখ্য সাগরে শিশু বিসর্জন, সতীদাহ প্রথা, কুষ্ঠরোগী হত্যা, গঙ্গাজলি, বাণবিদ্ধ অবস্থায় চড়কে ঘোরা,রথের চাকায় প্রাণদান প্রভৃতি কুপ্রথা প্রতিরোধের জন্য বিরামহীন সংগ্রাম চালান কেরী। হিন্দুসমাজ উন্নয়নে শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকায় গ্রামের দরিদ্র, পীড়িতদের মধ্যে ওষুধ বিতরণ, '''কেরীর রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০২ সালে আইন করে সাগরে শিশু বিসর্জন নিষিদ্ধ করেন''' এবং ১৮২৯ সালে [[রামমোহন রায়]] এবং [[উইলিয়াম কেরি|উইলিয়াম কেরির]] সহযোগিতায় লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক [[সতীদাহ প্রথা]] নিষিদ্ধ করেন। কেরীরই উদ্যোগে কলকাতায় কুষ্ঠরোগীদের হাসপাতাল স্থাপন হয়। ১৮১৯ সালে '''শ্রীরামপুর সঞ্চয় ব্যাঙ্ক''' প্রতিষ্ঠা, শ্রীরামপুরে সাধারণ হাসপাতাল স্থাপনের প্রচেষ্টা প্রভৃতি জনহিতকর কর্মে কেরীর নেতৃত্ব তুলনাহীন।
[[চিত্র:Digdarshan1818.jpg|thumb|১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে [[শ্রীরামপুর মিশন প্রেস]] থেকে প্রকাশিত [[দিগদর্শন|''দিগদর্শন'']] পত্রিকার একটি পাতা।]]
 
তবে এই মিশনারিরা যদি '''ডেনিশ শ্রীরামপুরে''' আশ্রয় না পেতেন ও ধর্মপ্রচারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতেন, যদি [[পঞ্চানন কর্মকার]] সদলবল মিশনের সাথে যোগ না দিতেন, যদি কেরী [[কলকাতার]] [[ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ|ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে]] যোগ না দিতেন, [[রামরাম বসু|রামরাম বসুর]] সাথে যদি দেখা না হতো, ভাষাশেখা, মুদ্রণ, অনুবাদ, বাংলাসাহিত্যের বিকাশ, এমনকি সমাজসংস্কারমূলক কাজও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হত। তাহলে আঞ্চলিক ইতিহাস যে কেমন হত তা সহজেই অনুমান করা যায়।
 
৫৯৬ নং লাইন:
* [[শ্রীরামপুর রেল স্টেশন]]
* [[শ্রীরামপুর মিশন প্রেস]]
* [[সমাচার দর্পণ]]
* [[দিগদর্শন]]
* [[উইলিয়াম কেরি]]
* [[জন ক্লার্ক মার্শম্যান]]