রাজমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hrishikes (আলোচনা | অবদান)
Moheen (আলোচনা | অবদান)
self-promotion
৫২ নং লাইন:
== কৈলাস সিংহের রাজমালা ==
 
কৈলাসচন্দ্র সিংহের (১৮৫১-১৯১৪) ''রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস'' প্রকাশিত হয় ১৮৯৬ সালে। নাম রাজমালা হলেও এটি রাজকীয় রাজমালা থেকে আলাদা। কৈলাসচন্দ্র বিশ বছর ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ঠাকুর্দা ও বাবা ত্রিপুরা রাজসরকারে যথাক্রমে মোক্তার ও সেরেস্তাদার ছিলেন।<ref name="Indrani">[https://books.google.co.in/books?id=OoqKCzXM2TAC&pg=PA108 Genealogy, History and the Law: The Case of the Rajmala], ইন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায়, ''History and the Present'', সম্পাঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অঞ্জন ঘোষ, ২০০২</ref> ফলে বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত ত্রিপুরা-সম্পর্কিত জ্ঞান এবং ব্যাপক পুরাতাত্ত্বিক গবেষণার অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে, বহু আকরগ্রন্থের পর্যালোচনাক্রমে (যথা আলেকজান্ডার ম্যাকেঞ্জির ''History of the Relations of the Government with the Hill Tribes of the North East Frontier of Bengal'', টমাস হারবার্ট লেউইনের ''Hill Tracts of Chittagong'', হান্টারের ''Statistical Accounts of Bengal'', ষষ্ঠ খন্ড, এবং সদ্যপ্রকাশিত জনগণনা ও অন্যান্য সরকারি দস্তাবেজ), কৈলাসচন্দ্র তাঁর গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইতিহাস গবেষণায় পরবর্তীকালের বিভিন্ন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল থিসিসের পূর্বসূরী। এত পার্থক্য সত্ত্বেও রাজমালা নাম রাখার কারণ? গ্রন্থের ভূমিকায় কৈলাসচন্দ্র জানিয়েছিলেন যে তৎকালীন ত্রিপুরারাজ (বীরচন্দ্র মাণিক্য) রাজরত্নাকর নামে একটি সংস্কৃত ইতিহাস প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়ায় এবং এই নতুন বই ত্রিপুরার ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারে আশঙ্কা করে প্রাচীন রাজমালার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য তিনিও এই নাম রাখেন। এই বইটি ২০০৯ সালে তপন বাগচী ও আলী হোসেন চৌধুরীর সম্পাদনায় বৃহত্তর কুমিল্লার ইতিহাস উপ-শিরোনাম সহ ঢাকা থেকে পুনঃপ্রকাশিত হয়।
 
তবে কৈলাসচন্দ্রের গবেষণালব্ধ তথ্যগুলি তখনকার রাজন্যভিত্তিক পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশিত, যার সঙ্গে এখনকার প্রজাতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির অনেক সময়ই ব্যাপক ফারাক দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ভূপেন্দ্র চক্রবর্তীর রাজমালায় তাঁর বইয়ের উপর আধারিত [[s:রাজমালা (ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্তী)/চতুর্থ পরিচ্ছেদ/১৫|সমসের গাজি]] অধ্যায় এবং আধুনিক সূত্র-ভিত্তিক উইকিপিডিয়ার [[শমসের গাজী]] নিবন্ধটি তুলনা করলেই এ ব্যাপারটি বোঝা যাবে।