ওয়াসিম বারি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আরও দেখুন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্মাননা - অনুচ্ছেদ
৪১ নং লাইন:
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
২৭ আগস্ট, ১৯৬৭ তারিখে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। [[কলিন মিলবার্ন]] তাঁর প্রথম ডিসমিসালে পরিণত হয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ইনিংস প্রতি ১৫.৮৮ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করে অপরাজিত ৬০ রান তোলেন ও [[ওয়াসিম রাজা|ওয়াসিম রাজা’র]] সাথে শেষ উইকেটে ১৩৩ সংগ্রহ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক হয়। [[১৯৭৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|১৯৭৯]] ও ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অবতীর্ণ পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/engine/records/averages/batting_bowling_by_team.html?id=547;team=7;type=tournament Cricinfo 1979 World Cup stats for Pakistan]</ref>
 
১৯৭১ সালে লিডসে এক টেস্টে ৮ ক্যাচ নিয়ে তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড গড়েন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে ৪ ব্যাটসম্যানকে স্ট্যাম্পিং করে পুণরায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। ১৯৭৯ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ৮ ব্যাটসম্যানের ৭ জনই তাঁর ক্যাচে পরিণত হয়। ২৭টি স্ট্যাম্পিংসহ ২২৮টি ডিসমিসাল নিয়ে তাঁর বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।<ref>{{cite news |url=http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283791.html|publisher=Cricinfo | date=2 March 2013|title=Wicketkeeping Records most Test Match dismissals in a career}}</ref> ঐ সময়ে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশী ডিসমিসালের অধিকারী ছিলেন। তাঁর চেয়ে কেবলমাত্র [[মহেন্দ্র সিং ধোনি|এম এস ধোনি]] সবচেয়ে বেশী টেস্ট ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিংয়ের অধিকারী।
 
[[ক্যারিছয় প্যাকার|ক্যারিটেস্টে প্যাকারের]]পাকিস্তান সিরিজেরদলকে প্রেক্ষিতেনেতৃত্ব শূন্যস্থানদেন। পূরণেতন্মধ্যে, পাকিস্তান১৯৭৭-৭৮ দলেমৌসুমে সংক্ষিপ্তকালেরস্বদেশে জন্যসিরিজ অধিনায়কেরড্র দায়িত্বহলেও পালনফিরতি করেন।সফরে ১৯৭৮ সালে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত সিরিজে অধিনায়কত্ব করে ড্র রাখতে সক্ষম হন। কিন্তু ইংল্যান্ড সফরে দুই টেস্টে পরাজিত হয় তাঁর দল ও বৃষ্টির কারণে তৃতীয় টেস্ট ড্রয়ে পরিণত হয়। [[ক্যারি প্যাকার|ক্যারি প্যাকারের]] সিরিজের প্রেক্ষিতে শূন্যস্থান পূরণে পাকিস্তান দলে সংক্ষিপ্তকালের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
 
== মূল্যায়ণ ==
নীচের সারিতে ব্যাটিং করে তাঁর ব্যাটিং শক্তিমত্তার সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯-বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত আসেন যা পাকিস্তানের রেকর্ডবিশেষ।<ref name="Cricinfoprofile" /> তাস্বত্ত্বেও ১১২ ইনিংসে ১,৩৬৬ রান তুলেছেন। তন্মধ্যে ৫০-ঊর্ধ্ব ইনিংস ছিল ছয়টি।
 
উচ্চমানের গ্লাভসম্যান হওয়া স্বত্ত্বেও সেরাদের কাতারে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। [[রডনি মার্শ]] কিংবা [[জেফ্রি ডুজন|জেফ্রি ডুজনের]] ন্যায় দর্শনীয় ভঙ্গীমার অধিকারী না হওয়া স্বত্ত্বেও তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, বারি তাঁর সময়কালের অন্যতম সেরা উইকেট-কিপারের ভূমিকায় ছিলেন।
৫৫ নং লাইন:
 
অধিনায়ক ও দলের একমাত্র প্রকৃত ফাস্ট বোলার [[ইমরান খান]] বারির কর্মক্ষমতার উপর পরিপূর্ণভাবে আস্থা পোষণ করতেন। ইমরান তাঁকে ইংল্যান্ডের [[অ্যালান নট|অ্যালান নটের]] তুলনায়ও এগিয়ে রাখতেন। তাস্বত্ত্বেও বেশ কয়েকবার তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়। গ্লাভস খুলে রাখার পরও দুই দশকের অধিককাল টেস্টে অংশগ্রহণ ও স্ট্যাম্পের পিছনের থাকার অবদান অক্ষত ছিল।
 
== সম্মাননা ==
১৯৯৭ সালে দেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে [[পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড|পিসিবি]] কর্তৃক আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন। স্ট্যাম্পের পিছনে কিংবা সামনে থেকে তুলনামূলকভাবে কম সফলতা পেলেও ৭০ ও ৮০-এর দশকে দলের অর্জনকে সমসাময়িক ক্রিকেটের তুলনায় সেরা ছিল। অবসর পরবর্তীকালে পাকিস্তানের দল নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পিসিবির সদস্য থাকাবস্থায় বিভিন্ন ধরণের দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৬ সালের সিরিজে দলীয় ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করে। তিনি এ মাসে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়া [[ইন্তিখাব আলম|ইন্তিখাব আলমের]] স্থলাভিষিক্ত হবেন।
 
== তথ্যসূত্র ==