মাহেশের রথযাত্রা, শ্রীরামপুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
অনুলিপি সম্পাদনা (অনুল্লেখ্য)
৪০ নং লাইন:
| footnotes =
}}
'''মাহেশের রথযাত্রা'''([[English language|English]]: [[Rathayatra|Rathayatra of Mahesh]]) ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং বাংলার প্রাচীনতম রথযাত্রা উৎসব।<ref>{{cite news |title=Rathayatra celebrated in West Bengal |url=http://www.hindu.com/thehindu/holnus/004200807041757.htm |work=[[The Hindu]] |date=4 July 2008 |accessdate=2008-10-18 }}</ref> এই উৎসব ১৩৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।<ref>{{cite news |title=Bengal celebrates Rathayatra festival |url=http://www.monstersandcritics.com/news/india/news/article_1330596.php/Bengal_celebrates_Rathayatra_festival |work=Monsters and Critics |date=16 July 2007 |accessdate=2008-10-18 }}</ref> এটি [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[শ্রীরামপুর, পশ্চিমবঙ্গ|শ্রীরামপুর]] শহরের মাহেশে হয়। রথযাত্রার সময় মাহেশে এক মাস ধরে মেলা চলে। [[শ্রীরামপুর, পশ্চিমবঙ্গ|শ্রীরামপুরের]] মাহেশ জগন্নাথ দেবের মূল মন্দির থেকে মাহেশেরই গুন্ডিচা মন্দির (মাসীরবাড়ী) অবধি [[জগন্নাথ]], [[বলরাম]] ও [[সুভদ্রা]]র বিশাল রথটি টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্টোরথের দিন আবার রথটিকে জগন্নাথ মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়।
[[চিত্র:Mahesh Rath, Serampore 712202, Bengal, India.jpg|left|thumb|শ্রীরামপুরের মাহেশের রথে শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা]]
মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও রথযাত্রা উৎসবের পিছনে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। সেটি হল: চতুর্দশ শতকে ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক বাঙালি সাধু পুরীতে তীর্থ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছা হয়েছিল যে তিনি জগন্নাথদেবকে নিজের হাতে ভোগ রেঁধে খাওয়াবেন। কিন্তু পুরীর মন্দিরের পাণ্ডারা বাধ সাধায় তিনি তা করতে পারলেন না। তখন দুঃখিত হয়ে তিনি আমরণ অনশনে বসলেন। তিন দিন পরে জগন্নাথদেব তাঁকে দেখা দিয়ে বললেন, "ধ্রুবানন্দ, বঙ্গদেশে ফিরে যাও। সেখানে ভাগীরথী নদীর তীরে মাহেশ নামেতে এক গ্রাম আছে। সেখানে যাও। আমি সেখানে একটি বিরাট দারুব্রহ্ম (নিম গাছের কাণ্ড) পাঠিয়ে দেবো। সেই কাঠে বলরাম, সুভদ্রা আর আমার মূর্তি গড়ে পূজা করো। আমি তোমার হাতে ভোগ খাওয়ার জন্য উদগ্রীব।" এই স্বপ্ন দেখে ধ্রুবানন্দ মাহেশে এসে সাধনা শুরু করলেন। তারপর এক বর্ষার দিনে মাহেশ ঘাটে একটি নিমকাঠ ভেসে এল। তিনি জল থেকে সেই কাঠ তুলে তিন দেবতার মূর্তি বানিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.aajkaal.in/enewspaper/bistaritakhabar/4/9245|title=Latest Bengali News {{!}} Breaking Bangla News - Aajkaal|website=Aajkaal|language=en-US|access-date=2016-08-08}}</ref>
 
পরবর্তীকালে ১৭৫৫-এ কলকাতার নয়নচাঁদ মল্লিক মাহেশে জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি করেছিলেন যা আজও রয়েছে। বর্তমান রথটি প্রায় ১২৯ বছরের পুরনো। সে যুগে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে শ্যামবাজারের বসু পরিবারের সদস্য হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু রথটি তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন। রথটিতে রয়েছে মোট ১২টি লোহার চাকা এবং দু'টি তামার ঘোড়া। ইতিহাস বলে সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্ন পেয়ে গঙ্গায় ভেসে আসা নিমকাঠ দিয়ে দারুমূর্তি তৈরি করেন। প্রতি বছর রথের আগে বিগ্রহের অঙ্গরাগ হয়ে থাকে। রথের দিন জিটি রোড দিয়েই রথ টানা হয়। এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে আজও বসে মেলা। বিশেষ উল্লেখযোগ্য, [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]-এর ''''রাধারানি'''<nowiki/>' উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছিল এই [[মাহেশের রথযাত্রা]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://m.dailyhunt.in/news/india/bangla/anandabazar-patrika-epaper-abp/aitihyer-path-dharei-aajao-ghurache-rather-chaka-newsid-55205457|title=ঐতিহ্যের পথ ধরেই আজও ঘুরছে রথের চাকা - Aamar aanandabajar patrika {{!}} DailyHunt|access-date=2016-08-06}}</ref>
====== রথযাত্রার স্থান ======
[[গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড|জিটি রোড,]] মাহেশ, শ্রীরামপুর - ৭১২২০২
 
====== কমলাকার পিপলাই ======
কমলাকার পিপলাই, ছিলেন যেমন আগেই উল্লেখ করা হয়, শ্রীচৈতন্য দ্বাদশ গোপালদের মধ্যে পঞ্চম। তিনি সুন্দরবনে খালিঝুলি-র জমিদারের পুত্র। তিনি যুক্তিবিজ্ঞান অধ্যয়ন করে নবদ্বীপের কাছে এলেন। পরে তিনি মহাপ্রভুর একটি প্রিয় শীষ্য হয়ে ওঠেন এবং তার মন্ত্রণালয় যোগদান করেন। তিনি ৬৪ মহন্তের প্রথম। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে ভার গ্রহণ করার পর, তিনি থাকে এবং তিনিই বিখ্যাত রথ উৎসব অধিক ৬২০ বছর আগে শুরু করেন।
 
তাঁর উত্তরাধিকারী্রা এখনো সেবাইত বা মন্দির 'অধিকারী' হিসেবে মাহেশে বসবাস করেন।
 
====== রথযাত্রা ও মেলা ======
নেই শুধু এই উৎসব প্রাচীনতম কিন্তু বাংলায় সর্ববৃহৎ রথযাত্রা হয়। প্রায় ২-৪ লাখ মানুষ মাসব্যাপী মেলা দেখতে আসে। প্রভু মাহেশ গুন্ডিচা বাটী (মাহেশ মাসীর বাড়ী) মন্দিরে যায় এবং হিসাবে এটি জনপ্রিয় বাংলায় পরিচিত রথ পুনযাত্রা বা উল্টোরথ পর্যন্ত সেখানে রয়ে যায়।
[[চিত্র:Rishi Bankim Chandra Chattopadhyay.jpg|left|thumb|[[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]- এর বিখ্যাত উপন্যাস '''<nowiki/>'রাধারাণী'''' মাহেশ রথযাত্রায় বিস্ময়কর বিবরণ নিয়ে গঠিত]]
 
====== মাহেশ এবং ' '''রাধারাণী '''<nowiki/>' ======
[[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]]- এর বিখ্যাত উপন্যাস 'রাধারাণী' মাহেশ রথযাত্রায় বিস্ময়কর বিবরণ নিয়ে গঠিত। রাধারানী, উপন্যাসের বীরাঙ্গনা মেলায় হারিয়ে এবং তারপর তার ভবিষ্যত প্রেমিকা দ্বারা পাওয়া গিয়েছে। বঙ্কিম -এর বর্ণনা না শুধুমাত্র উৎসবের একটি প্রাণবন্ত ছবি দেয় কিন্তু এটা ন্যায্য একটি রোমান্টিক সাহিত্য কবজ দিলেন না।দিলেন। কথিত আছে যে, আজও এক ভগ্নান্তঃকরণ মেয়েটির দুঃখ বোধ করতে পারে।
 
====== বিখ্যাত মানুষ যাঁরা মাহেশে এসেছিলেন ======
[[রামকৃষ্ণ পরমহংস|রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব]], তার স্ত্রী [[সারদা দেবী|মা সারদা দেবী]], নাট্যকার [[গিরিশচন্দ্র ঘোষ]], [[বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]] ইত্যাদি অনেক মানুষ রথের বিখ্যাত মেলা পরিদর্শনে আসেন।
 
====== রথ পরিবর্তন ======
আধুনিক মন্দির ১৭৫৫ সালে নির্মাণ করা হয়। [[কলকাতা]] নিবাসী নয়নচাঁদ মল্লিক এর খরচ দেন। সময়ের সঙ্গে সেই রথ জীর্ণ হয়ে পড়ে। কৃষ্ণরামের ছেলে গুরুপ্রসাদ ১৭৯৮ সালে নয় চূড়াবিশিষ্ট নতুন রথ বানিয়ে দেন। ১৮৮৪ সালে রথযাত্রার দিন '''বল্লভপুরে গুন্ডিচাবাটিতে সেই রথটি আগুনে পুড়ে যায়'''। তখন বসু পরিবারেরই কর্তা কৃষ্ণচন্দ্রবাবু বর্তমান লোহার রথটি তৈরি করিয়ে দেন। '''মার্টিন বার্ন কোম্পানি''' রথটি তৈরি করে। সেই সময়েই এর দাম পড়েছিল ২০ লক্ষ টাকা। ১৮৮৫ সাল থেকে ওই রথে টান শুরু হয়। সেই থেকে এক ভাবে ওই রথ চলছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://www.facebook.com/MyCitySerampore/photos/a.141222942752588.1073741826.141098666098349/247408738800674|title=Amar sohor serampore আমার শহর শ্রীরামপুর - সময়ক্রম {{!}} Facebook|website=www.facebook.com|access-date=2016-08-07}}</ref>
 
====== বর্তমান রথ ======
৫০ ফুট রথ ১২টি লোহার চাকা হয়েছে। রথ ঐতিহ্যগত বাংলা '''নবরত্ন''' শৈলী, এতে ৯ টি চূড়া রয়েছে (কিছু বছর পূর্বে ছিল ১৩ টি)।