মৌলিক পদার্থ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৫৪ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
[[চিত্র:Periodic table.svg|500px|thumbnail|right|রাসায়নিক মৌলসমূহের পর্যায় সারণী]]
প্রাচীনকালে মনে করা হতো সমস্ত কিছু চারটি মৌলিক উপাদান থেকে এসেছে; মাটি, পানি, বায়ু ও আগুন। গ্রীক দার্শনিক [[প্লেটো|প্লেটো]] এই মতামতকে সমর্থন করতেন। আরেক গ্রীক দার্শনিক [[এরিস্টটল]] এগুলোর পাশাপাশি ইথার নামক আরও একটি মৌলিক উপাদানের ধারণা দেন এবং মনে করতেন স্বর্গ তা দ্বারা তৈরী। ১৭৮৯ সালে মৌলসমূহের প্রথম আধুনিক তালিকা দেন বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়ে।ল্যাভয়সিঁয়ে। তার তালিকায় তেত্রিশটি মৌল স্থান পায়, যার মধ্যে [[আলো]] এবং ক্যালরিক নামক এক বিশেষ পদার্থেরও উল্লেখ ছিল।
 
পরবর্তীতে, ১৮১৮ সালে বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াস ঊনপঞ্চাশটি মৌলের একটি তালিকা প্রদান করেন। তবে, এরূপ তালিকার মাইলফলক আসে ১৮৬৯ সালে, যখন রাশিয়ান বিজ্ঞানী দিমিত্রি মেন্দেলিভ মৌলসমূহকে তাদের পারমানবিক ভরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে তৈরী করেন প্রথম [[পর্যায় সারণী]] যেখানে উঠে আসেসেখানে ষেষট্টিটি মৌলের নাম।নাম মৌলসমূহকেউল্লেখ তাদের পারমানবিক ভরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে এই সারণীটি তৈরী করা হয়।ছিল। এরপর, ১৮৭১ সালে তিনি আরও পরিমার্জিত একটি তালিকা দেন এবং বেশ কিছু মৌলের ব্যাপারে বিষদভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। পরে, ১৯১৩ সালে পারমানিক সংখ্যার ক্রমানুসারে মৌলসমূহকে পর্যায় সারণীতে সজ্জিত করা হয়। ১৯১৪ সালের মধ্যে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বাহাত্তরটি মৌলের সন্ধান মেলে এবং কৃত্রিমভাবেও বেশ কিছু মৌল তৈরী করা হয়। ১৯৫৫ সালে ১০১তম মৌলটি আবিষ্কৃত হয় এবং পর্যায় সারণী তৈরীতে দিমিত্রি মেন্দেলিভের অবদানের জন্য তার নামানুসারে মৌলটির নাম রাখা হয় মেন্দেলিভিয়াম। সর্বশেষ ২০১০ সালে বিজ্ঞানীরা ১১৭তম মৌলটি কৃত্রিমভাবে তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে ২০০৬ সালে ১১৮তম মৌলটি কৃত্রিমভাবে তৈরী করা হয়।
 
কার্বন, তামা, সোনা, রূপা, লোহা, গন্ধক, [[সীসা]], [[পারদ]], [[টিন]] ও [[দস্তা]], এই দশটি মৌলের ব্যবহার চলে আসছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে। ১৫০০ সালের দিকে আরও তিনটি মৌলপদার্থ, [[আর্সেনিক]], [[অ্যান্টিমনি]] ও [[বিসমাথ|বিসমাথকে]] মৌল হিসাবে সনাক্ত করা হয়। এরপর, ১৭৫০ সালের দিকে আবিষ্কৃত হয় [[ফসফরাস]], [[কোবাল্ট]] ও [[প্লাটিনাম]]। ১৯০০ সালের মধ্যে আবিষ্কৃত হয় মৌলিক গ্যাসসমূহ (হাইড্রোজেন, আক্সিজেন, হিলিয়াম, [[নিয়ন]], আর্গন), হ্যালোজেনসমূহ ([[ফ্লোরিন]], [[ক্লোরিন]], [[ব্রোমিন]] ও [[আয়োডিন]]), কিছু তেজষ্ক্রিয় মৌল ([[ইউরেনিয়াম]], [[থোরিয়াম]], [[রেডিয়াম]] ও [[রেডন]]), কিছু বিরল মৃত্তিকা মৌল (সেরিয়াম, নিওডাইমিয়াম, ল্যান্থানাম ইত্যাদি), [[লিথিয়াম]], [[সোডিয়াম]], পটাশিয়াম, [[ক্যালসিয়াম]], ম্যাগনেসিয়াম, [[অ্যালুমিনিয়াম]], সিলিকন, [[ক্রোমিয়াম]], নিকেল, [[টাংস্টেন]] ইত্যাদি। ১৯০০ সালের পর আবিষ্কৃত হয় [[ফ্রান্সিয়াম]], [[প্লুটোনিয়াম]], [[নেপচুনিয়াম]], হাফনিয়াম, অ্যাস্টেটিন ইত্যাদি। পরে, একবিংশ শতাব্দীতে কৃত্রিমভাবে অনেকগুলো মৌল তৈরী হয়েছে। যেমন, ২০০৬ সালের অক্টোবরে রাশিয়ায় তৈরী হয়েছে ১১৮তম মৌল, ২০০৯ সালে তৈরী হয়েছে ১১২তম মৌল যা ২০১০ সালে কোপারনিসিয়াম নামে স্বীকৃতি পায়, ২০১১ সালে ১১৪ ও ১১৬তম মৌলদ্বয় আবিষ্কৃত হয় এবং ২০১২ সালে তাদেরকে যথাক্রমে ফ্লেরোভিয়াম ও লিভারমোরিয়াম নামে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ১১৩, ১১৫, ১১৭ ও ১১৮তম মৌলগুলোকে চিহ্নিত করা হয়, যদিও এগুলো এখনও অনুমোদিত নয়।
 
== আরও দেখুন ==