পাগলা কানাই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→শিক্ষাজীবন: Fmt |
→বাউলজীবন: Fmt |
||
৪৪ নং লাইন:
তৎকালীন সময়ে কবিত্ব প্রতিভায় লালনের পরেই তাঁর স্থান নিরূপণ করা যায়। পুঁথিগত বিদ্যা না থাকলেও আধ্যাত্নিক চেতনায় জ্ঞানান্বিত হয়ে অপরূপ সৃষ্টি সম্ভার নিয়ে গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে দোতারা হাতে ঘুরে ফিরেছেন তিনি। তাঁর কণ্ঠের একটি গান আজও উচ্চারিত হয় মানুষের মুখে মুখে।
{{cquote|
তারপর সালাম করি নবীজীরে
যিনি শোয়া আছেন মদিনায়
ওরে সালাম করি ওস্তাদের আর সালাম পিতা-মাতায়
অধম আমি পাগলা কানাই এল্যাম চাঁদ সভায়
আল্লাহ তরাও হে আমায়।</poem>}}
পাগলা কানাই ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণ অনুসারী ছিলেন এবং ইসলাম ধর্মের বিধি বিধানগুলি সঠিকভাবে মেনে চলতেন। তাঁর বিভিন্ন গানের মধ্য দিয়ে তাঁর এই অভিব্যক্তি পরিস্ফুটিত হয়েছে।
{{cquote|
বেলা গেল হেলা করি বসে রয়েছো
গা তোল্ গা তেল্
মাগরেবের ওয়াক্ত হয়েছে, এই সময় নামাজ পড়।</poem>}}
যশোর জেলার কেশবপুরের রসুলপুর গ্রামের নয়ন ফকিরকে তাঁর ওস্তাদ বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এই স্বভাব কবির সর্বাপেক্ষা পদচারণা ছিল ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। পরবর্তীতে তিনি ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। পাবনার বিখ্যাত ভাবুক কবি ফকির আলীমুদ্দীনের সাথে তাঁর আন্তরিক সখ্যতা গড়ে ওঠে।
৬৩ ⟶ ৬৫ নং লাইন:
এ সকল অঞ্চলের বিভিন্ন আসরে গান বেঁধে বিভিন্ন ভঙ্গীতে পরিবেশন করে হাজার হাজার শ্রোতাকুলকে ঘন্টার পর ঘন্টা সম্মোহিত করে রাখতেন পাগলা কানাই। তাঁর কন্ঠস্বর ছিল অত্যন্ত জোরালো মধুর। ৩০/৩৫ হাজার স্রোতা তার গান মাইক ছাড়াই শুনতে পেত। তাঁর জনপ্রিয় আধ্যাত্নিক গানের কয়েকটি লাইন।<ref name="যশোর.ইনফো"/>
{{cquote|
<poem>গেলো দিন শুন মুসলমান মোমিন
পড় রব্বিল আলামিন
দিন গেলে কি পাবি ওরে দিন
দীনের মধ্যে প্রধান হলো মোহাম্মদের দীন”।</poem>}}
== পরলোক গমন ==
|