রিপাবলিকান পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র সংযুক্তিকরণ।
সঠিকভাবে লিঙ্ক সংযুক্তিকরণ।
৫০ নং লাইন:
| country = [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]]
}}
'''রিপাবলিকান পার্টি''' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল। এই দলকে জিওপি (GOP) বা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ঐতিহাসিকভাবেই এই দলের প্রতিদ্বন্দী হলো [[ডেমোক্রেটিক পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)|ডেমোক্রেটিক পার্টি)]]।
 
এ পর্যন্ত ১৮ জন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে আছেন রিপাবলিকান দল থেকে প্রথম নির্বাচিত হওয়া ১৬ তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি [[আব্রাহাম লিংকন|অ্যাব্রাহাম লিংকন]] যিনি ১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সালে আততায়ীর হাতে খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োজিত ছিলেন। রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত হওয়া সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি ছিলেন [[জর্জ বুশ |জর্জ ডব্লিউ. বুশ]], যিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে আসীন ছিলেন। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যাক্তিত্ব [[ডোনাল্ড ট্রাম্প]] বর্তমানে ২০১৬ সালের আসন্ন মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।<ref>{{cite web|url=http://www.cnn.com/2016/05/03/politics/indiana-primary-highlights/index.html|title=Donald Trump: Presumptive GOP nominee|first=Stephen Collinson|last=CNN|publisher=}}</ref>
 
প্রজাতন্ত্রের (রিপাবলিকানিজম) নামানুসারে এবং মার্কিন বিপ্লবের মূল্যবোধ থেকেই রিপাবলকান পার্টির নামকরণ করা হয়। মূলত দাস-প্রথা বিরোধী সক্রিয় কর্মী, [[হুইগ পার্টির|হুইগ পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)|হুইগ পার্টির]] (১৯ দশকের একটি মার্কিন রাজনৈতিক দল) ও [[ফ্রি সয়েল পার্টি|ফ্রি সয়েল পার্টির]] (১৮৪৮ সাল থেকে ১৮৫২ পর্যন্ত স্বল্প-স্থায়ী একটি মার্কিন রাজনৈতিক দল) প্রাক্তন নেতা-কর্মীদের দ্বারা গঠিত রিপাবলিকান দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক পার্টি। ১৮৬০ থেকে ১৯৩২ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে উত্তরের অঙ্গরাজ্যগুলো রিপাবলিকান দল কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলো।
 
রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান ভাবাদর্শ হলো [[মার্কিন রক্ষণশীলতা]]<ref name="egrigsby">{{cite book |last=Grigsby |first=Ellen|title=Analyzing Politics: An Introduction to Political Science |publisher=Cengage Learning |year=2008 |location=Florence |isbn=0-495-50112-3 |pages = 106–7 |quote=In the United States, the Democratic Party represents itself as the liberal alternative to the Republicans, but its liberalism is for the most the later version of liberalism—modern liberalism.}}</ref><ref name="sarnold">{{cite book |last=Arnold |first=N. Scott |title=Imposing values: an essay on liberalism and regulation |publisher=Oxford University Press |year=2009 |location=Florence |isbn=0-495-50112-3 | page = 3 |quote=Modern liberalism occupies the left-of-center in the traditional political spectrum and is represented by the Democratic Party in the United States.}}</ref><ref name="jlevy">{{cite book |last=Levy |first= Jonah |title=The state after statism: new state activities in the age of liberalization |publisher=Harvard University Press |year=2006 |location=Florence |isbn=0-495-50112-3 |page = 198 |quote=In the corporate governance area, the center-left repositioned itself to press for reform.}}</ref> নীতি। এই নীতি রিপাবলিকান দলের চির প্রতিদ্বন্দ্বী [[ডেমোক্রেটিক পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)|ডেমোক্রেটিক পার্টির]] [[উদারতাবাদ|উদারপন্থা]] মতবাদ বিরোধী। রিপাবলিকান দলের কর্মপন্থা মূলত [[মুক্ত বাজার]] [[পুঁজিবাদ]], শক্তিশালী প্রতিরক্ষা নীতি, [[বিনিয়ন্ত্রণ]] (অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্যসমূহের আইন লঘু করার পদ্ধতি) নীতি, সামাজিক রক্ষণশীল নীতি (বিশেষভাবে [[গর্ভপাত]] এবং সমকামীদের বিবাহ বিরোধীতা) এবং ঐতিহ্যগত মার্কিন মূল্যবোধ সমর্থিত। অতীতে এই দলের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ([[কানেটিকাট|কানেক্টিকাট]], [[মেইন]], [[ম্যাসাচুসেট্‌স]], [[নিউ হ্যাম্প্‌শায়ার]], [[নিউ জার্সি]], [[পেন্সিল্‌ভেনিয়া]], [[নিউ ইয়র্ক]], [[রোড আইল্যান্ড]], [[ভার্মন্ট]]) এবং মধ্য-পশ্চিম ([[মিশিগান]], [[ইন্ডিয়ানা]], [[ক্যান্সাস]], [[মিসৌরি]], [[উইসকনসিন]], [[আইওয়া]], [[ইলিনয়]], [[নর্থ ডাকোটা]], [[নেব্রাস্কা]], [[ওহাইও]], [[সাউথ ডাকোটা]] এবং [[মিনেসোটা]]) রাজ্যগুলোতে জুড়ে থাকলেও বর্তমানে দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলো (ফ্লোরিডা, টেনেসী, আর্কানসাস, লুইজিয়ানা, [[ডেলাওয়্যার]], [[কেন্টাকি|ক্যান্টাকি]], [[নর্থ ক্যারোলাইনা]], [[ভার্জিনিয়া]], [[সাউথ ক্যারোলাইনা]], [[আলাবামা|অ্যালাবামা]], [[ম্যারিল্যান্ড]], [[মিসিসিপি (অঙ্গরাজ্য)|মিসিসিপি]] এবং [[পশ্চিম ভার্জিনিয়া]]) এবং মাউন্টেন অঙ্গরাজ্যসমূহে ([[আইডাহো]], [[ওয়াইওমিংওয়াইয়োমিং]], [[অ্যারিজোনা]], [[কলোরাডো]], [[নিউ ম্যাক্সিকোমেক্সিকো]], [[নেভাডা]]উটাহ্‌[[ইউটা]]) রিপাবলিকানদের সমর্থন বিস্তৃত। [[ক্যাথলিক|ক্যাথলিক চার্চ|ক্যাথলিক]]<ref>{{cite book |last=Prendergast |first=William B. |date=1999 |title=The Catholic Voter in American Politics. The Passing of the Democratic Monolith |location=Washington, DC |url= |publisher=Georgetown University |page= |isbn=978-0-87840-724-8}}</ref><ref>{{cite book |last=Marlin |first=George J. |date=2004 |title=The American Catholic Voter. 200 Years of Political Impact |url= |location=South Bend, Indiana |publisher=St. Augustine |page= |isbn=978-1-58731-029-4}}</ref><ref>{{cite journal |last=Martini |first=Francesco |date=2015 |title=I cattolici nella storia politica americana |url= |journal=Studia Patavina |publisher= |volume=62 |issue=1 |pages=135–49 |doi= |access-date=}}</ref> এবং ইভাঞ্জিলিক্যাল খৃষ্টানরাই রিপাবলিকানদের সিংহভাগ সমর্থনকারি।
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভ এবং সিনেটে রিপাবলিকান দলের সর্বাধিক আসন সংখ্যা রয়েছে। ৯৮ টি রাজ্যের মধ্যে ৬৮ রাজ্যের বিধানসভায় রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে।<ref name=legislatures>{{cite news|url=http://www.realclearpolitics.com/articles/2014/11/11/the_other_gop_wave_state_legislatures__124626.html|title=The Other GOP Wave: State Legislatures|publisher=[[RealClearPolitics]]|accessdate=April 29, 2015|date=November 11, 2014|first=David|last=Byler}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.ncsl.org/blog/2014/11/06/republican-wave-capsizes-democrats.aspx|title=Republican Wave Capsizes Democrats > National Conference of State Legislatures|publisher=}}</ref>
৬৪ নং লাইন:
===প্রতিষ্ঠা এবং ঊনবিংশ শতাব্দী===
[[File:Abraham Lincoln head on shoulders photo portrait.jpg|thumb|upright|left|[[আব্রাহাম লিংকন|অ্যাব্রাহাম লিংকন]], মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম রাষ্ট্রপতি (১৮৬১–১৮৬৫) এবং প্রথম রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি]]
১৮৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরের রাজ্যগুলোতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই রিপাবলিকান পার্টি [[ডেমোক্রেটিক দলের|ডেমোক্রেটিক পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)|ডেমোক্রেটিক দলের|]] অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে। মূলত সেই সময় এই দুই দলের দ্বন্দ্বের মূল কারণ ছিল রিপাবলিকান পার্টির [[ক্যান্সাস-নেব্রাস্কা চুক্তির]ক্যান্সাস-নেব্রাস্কা চুক্তি]] বিরোধীতা, যেটি [[মিসৌরি সমঝোতাকে|মিসৌরি সমঝোতা]] [[ক্যান্সাসের|ক্যান্সাস]] বাইরে দাসপ্রথা রোহিত করার ব্যাপার নিয়ে নাকচ করে আসছিলো। কেননা উত্তরের রিপাবলিকানরা সেই সময় দাসপ্রথার সম্প্রসারণকে অশুভ হিসেবেই বিবেচনা করতো। নেব্রাস্কা আন্দোলনের বিরোধীতা করে ১৮৫৪ সালের ২০ মার্চ [[উইসকনসিন রাজ্যের|উইসকনসিন রাজ্যের]] রিপন শহরে<ref>{{cite web |url=http://content.wisconsinhistory.org/cdm4/document.php?CISOROOT=/tp&CISOPTR=46379&CISOSHOW=46363 |title=''The Origin of the Republican Party'', A. F. Gilman, Ripon College, 1914 |publisher=Content.wisconsinhistory.org |date= |accessdate=2012-01-17}}</ref> দাসপ্রথা বিরোধী কর্মীরা একটি গণ-মিলনায়তনের আয়োজন করে। আর সেই সময় দাসপ্রথা বিরোধী এই পার্টির নাম রাখা হয় <nowiki>"রিপাবলিকান দল"</nowiki>। আর সেই থেকে এই দলের নাম নির্ধারিত রিপাবলিকান পার্টি।
 
রিপাবলিকান পার্টির প্রথম অফিশিয়াল অধিবেশনের আয়োজন করা হয় ১৮৫৪ সালের জুলাই মাসের ৬ তারিখ [[মিশিগান অঙ্গরাজ্যের|মিশিগান অঙ্গরাজ্যের]] জ্যাকসন শহরে।<ref>{{cite news |title=Birth of Republicanism |date=July 7, 1879 |newspaper=The New York Times |url=http://query.nytimes.com/mem/archive-free/pdf?res=9A06E5D81E3FE63BBC4F53DFB1668382669FDE |accessdate=December 11, 2014}}</ref> ১৮৫৮ সালের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টি উত্তরের সব অঙ্গরাজ্যগুলোতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। ১৮৬৯ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি প্রথম ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে [[আব্রাহাম লিংকন|অ্যাব্রাহাম লিংকন]] ক্ষমতায় আসীন হন। ক্ষমতায় আসার পরেই রিপাবলিকান দল তাদের দলের ঐক্যাবস্থান সংরক্ষণ, দাস-প্রথার সমাপ্তিকরণ, [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধে]] অংশগ্রহণকারী সকল যোদ্ধাদের দেখাশোনা এবং গৃহযুদ্ধবিদ্ধস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুনঃনির্মাণের প্রতি মনোনিবেশ করে।<ref name=Gould2003>Gould</ref>
 
 
৮১ নং লাইন:
রিপাবলিকান পার্টির গোড়ার দিকের আদর্শের পরিচয় পাওয়া যায় তাদের ১৮৫৬ সালের স্লোগান <nowiki>"মুক্ত শ্রম, মুক্ত ভূমি, মুক্ত লোক সরবরাহ"</nowiki> থেকে।<ref name=Gienapp1989>{{cite book |last=Gienapp|first=W|title=The Origins of the Republican Party|page=168|publisher=|location=|year=1989|url=}}</ref> <nowiki>"মুক্ত শ্রম"</nowiki> বলতে এখানে রিপাবলিকান দলের দাস-প্রথা বিরোধী মনোভাব এবং শিল্পী কারিগর ও ব্যবসায়ীদের কর্মের স্বাধীনতা বুঝায়। <nowiki>"মুক্ত ভূমি"</nowiki> বলতে এখানে প্রকৃত কৃষকদের তাদের ভূমি ফেরত দেওয়া এবং দাস-মালিকদের চাষাবাদের ভূমি কেনা থেকে তাদের বাধা দেওয়াকে বুঝায় যাতে করে দাস-মালিকরা যেন দাস দিয়ে তাদের আবাদি জমির চাষাবাদ করতে না পারে। রিপাবলিকান পার্টি সেই সময় দাস-প্রথার সম্প্রসারণ রোহিত করার জন্য আপ্রাণ সংগ্রাম করেছিলো। ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্রে দাস-প্রথার মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়ে এবং নীরিহ দাস-দাসীদের ব্যাক্তিস্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়ে মানুষ হয়ে তারা আবার বাঁচতে শুরু করে।<ref name=Foner>{{cite web |title=Free soil, free labor, free men|work=|publisher=|location=|year=1970|url=|accessdate=2011-09-05}}</ref>
 
রিপাবলিকান পার্টি হচ্ছে ব্যবসায় বান্ধব রাজনৈতিক দল। তারা সেই সময় স্বর্ণের মানদন্ডে অর্থ-ব্যবস্থা এবং উচ্চ শুল্ক ব্যবস্থা আরোপে বিশ্বাসী ছিলো যাতে করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উচ্চ মজুরী এবং উচ্চ মুনাফা অর্জন করা সম্ভবপর হয়। এছাড়াও রিপাবলিকান পার্টি মার্কিন সৈনিকদের উত্তর বেতনের (পেনশন) ব্যবস্থা এবং [[হাওয়াই অঙ্গরাজ্যকে|হাওয়াই অঙ্গরাজ্যকে]] সাফ্যলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত করেছিলো।
 
===একবিংশ শতাব্দি===
{{multiple image|footer = <center>পিতা এবং পুত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি</center>|image1 = George H. W. Bush, President of the United States, 1989 official portrait.jpg|width1 = 200|caption1 = <center>[[জর্জ হারবার্ট ওয়াকার বুশ]], মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম রাষ্ট্রপতি (১৯৮৯–১৯৯৩)</center>|image2 = George-W-Bush.jpeg|width2 = 174|caption2 = <center>[[জর্জ ডব্লিউ. বুশ]], মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ তম রাষ্ট্রপতি (২০০১–২০০৯)</center>}}
২০০৮ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে [[অ্যারিজোনার|অ্যারিজোনা|অ্যারিজোনার]] সিনেটর [[জন ম্যাককেইন]] রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং [[আলাস্কা|অ্যালাস্কার|অ্যালাস্কা]] গভর্ণর [[সারাহ প্যালিন]] ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান দল থেকে প্রার্থীতা অর্জন করেন। কিন্তু শেষ অব্দি নির্বাচনী দৌড়ে তারা [[ইলিনয় রাজ্যের|ইলিনয় রাজ্যের]] তৎকালীন সিনেটর [[বারাক ওবামা]] এবং [[ড্যালাওয়ারডেলাওয়্যার]] রাজ্যের সিনেটর [[জো বাইডেনেরবাইডেন|জো বাইডেনবাইডেনের]] কাছে হেরে যায়। তবে ২০০৯ সালে রিপাবলিকান দল থেকে [[ক্রিস ক্রিসটি]] এবং [[বব ম্যাকডোনেল]] [[নিউ জার্সি]] এবং [[ভার্জিনিয়া]] রাজ্যে নির্বাচনে জয় লাভ করে গভর্ণর পদে নিযুক্ত হয়।
 
২০১০ সাল ছিলো রিপাবলিকান দলের জন্য একটি সাফল্যমন্ডিত নির্বাচনী বছর, যেখানে রিপাবলিকান দল থেকে [[স্কট ব্রাউন]] [[ম্যাসাচুসেট্‌স]] অঙ্গরাজ্যের সিনেট নির্বাচনে জয় লাভ করে। রিপাবলিকান দলের জন্য এই জয় বিশেষভাবে গৌরবাণ্বিত ছিলো কেননা পদটিতে [[ডেমোক্রেটিক পার্টির|ডেমোক্রেটিক পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)|ডেমোক্রেটিক পার্টির]] কেনেডি-ভ্রাতারা কয়েক দশক ধরে ঐ পদে আসীন ছিলো। সেই বছর নভেম্বরের জাতীয় কংগ্রেশনাল নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভে তাদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পুনর্দখল, সিনেটে তাদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ এবং গভর্ণরশিপে তাদের দলের সংখ্যাধিক্যতা অর্জন করে।<ref>Donald T. Critchlow, ''The Conservative Ascendancy: How the Republican Right Rose to Power in Modern America'' (2011) pp. 280–312</ref> পাশাপাশি, রিপাবলিকান দল [[ডেমোক্রেটিক পার্টি|ডেমোক্রেটিক পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)|ডেমোক্রেটিক পার্টি]] শাসিত অন্তত ১৯ টি অঙ্গরাজ্যের আইনসভার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দখল করে।<ref>Khan. Huma. [http://abcnews.go.com/Politics/republicans-historic-win-state-legislatures-vote-2010-election/story?id=12049040#.T4eD_NnhdeM "Will Redistricting Be a Bloodbath for Democrats?"]. ABCNews.com. 2010-11-04. Retrieved 2012-04-13.</ref>
 
২০১২ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতা দেওয়া হয় [[ম্যাসাচুসেট্‌স]] অঙ্গরাজ্যের প্রাক্তন গভর্ণর [[মিট রমনি]] এবং উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতা দেওয়া হয় [[উইসকনসিন]] অঙ্গরাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি [[পল রায়ানকে|পল রায়ান]]। আর সেই নির্বাচনে [[ডেমোক্রেটিক পার্টি|ডেমোক্রেটিক পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)|ডেমোক্রেটিক পার্টি]] থেকে পূর্বের [[বারাক ওবামা]] আর [[জো বাইডেন]] নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা পায়। ২০১২ সালের সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি এফোর্ড্যাবল কেয়ার এক্ট, উচ্চ বেকারত্ব এবং জাতীয় ঋণ নিরসন সমস্যাকে তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি হিসেবে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু ২০১২ সালের সেই নির্বাচনেও [[রমনি|মিট রমনি|রমনি]] আর [[পল|পল রায়ান|পল]] তথা পুরো রিপাবলিকান পার্টি হেরে যায়। সেই বছর মানে ২০১২ সালের জাতীয় কংগ্রেশ্যানাল নির্বাচনেও রিপাবলিকান পার্টি ৭ টি সিট হারায়। শেষতক রিপাবলিকান দল সিনেটে তাদের পূর্বের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় এবং সংখ্যালঘু পদমর্যাদা হিসেবে সিনেটে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাধ্য হয়।
 
কিন্তু ২০১৪ সালের মধ্যবর্তী কংগ্রেশ্যানাল নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি ৯ টি আসন জিতে সিনেটের নিয়ন্ত্রণভার আবার অর্জন করতে শুরু করে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি হাউস অব রিপ্রেজেনটিভে ২৪৭ টি আসন (৫৬.৮%) আসন এবং ৫৪ টি আসন সিনেটে অর্জন করে। ১৯২৯ সালের ৭১তম আইনসভার পর এটিই রিপাবলিকান দলের সবচেয়ে বড় অর্জন।
১০০ নং লাইন:
২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি হারার পর, অভিবাসিদের সাথে বিশেষত ল্যাটিনের অভিবাসিদের সাথে রিপাবলিকানরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আবহ সৃষ্টি করে। অভিবাসীদের ব্যাপারে রিপাবলিকানদের এই উদার নীতি নির্বাচনী পোলে কিছু সমর্থন অর্জনে সাহায্যও করেছিলো। ২০১৩ সালে পোলের রিপোর্ট অনুযায়ী ৬০% রিপাবলিকান সমর্থক রিপাবলিকান দলের অভিবাসীদের নিয়ে এই উদার নীতিকে স্বাগত জানায়।<ref name=long-past>{{cite news | last = Frumin | first =Aliyah | title = Obama: 'Long past time' for immigration reform | date = November 25, 2013| url = http://www.msnbc.com/hardball/obama-long-past-time-reform | publisher = [[MSNBC]]|accessdate = January 26, 2014}}</ref>
 
কিন্তু ২০১৬ মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আবার উল্টো চিত্র দেখাতে শুরু করে। ২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ-প্রার্থী [[ডোনেল্ডডোনাল্ড ট্রাম্প]] ম্যাক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে একটি দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাব করে এবং উক্ত দেয়াল নির্মাণের ব্যয়ভার ম্যাক্সিকান সরকারকে নেওয়ার জন্য আহ্বান করে।
 
===বৈদেশিক নীতিমালা এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা===
[[নয়-এগারোর হামলার|সেপ্টেম্বর ১১, ২০০১ এর হামলা|নয়-এগারোর হামলার]] পর থেকেই রিপাবলিকান দলের সদস্যরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের (ওয়ার অন টেরর) ইস্যু নিয়ে <nowiki>"নিউ কন্সার্ভেটিভ নীতি"</nowiki> সমর্থন করে আসছে। এমনকি [[জর্জ ডব্লিউ বুশ]] একটি অবস্থানও নিয়েছিলেন যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, বেআইনী যোদ্ধাদের ক্ষেত্রে [[জেনেভা কনভেনশন]] আইন কার্যকরী হবে না। কিন্তু তাঁর এই অবস্থানের বিরুদ্ধে অন্যান্য প্রখ্যাত রিপাবলিকানরা বিরোধীতা করেছিলো এই ভেবে যে, এই ধরনের অবস্থানে আইনের অপব্যবহার হতে পারে।<ref>{{cite news|url=http://www.weeklystandard.com/cruz-america-does-not-need-torture-to-protect-ourselves/article/2000049|title=Cruz: 'America Does Not Need Torture to Protect Ourselves'|date=December 3, 2015|accessdate=December 27, 2015}}</ref>
 
রিপাবলিকান পার্টি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে [[ইসরায়েলের|ইসরায়েল|ইসরায়েলের]] শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সমর্থন করে এবং ইসরায়েলের সাথে অন্যান্য প্রতিবেশি আরবদেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টায়ও রিপাবলিকান পার্টি বদ্ধ পরিকর।<ref name="Pro-Israel">{{cite news|last1=Lipton|first1=Eric|title=G.O.P.'s Israel Support Deepens as Political Contributions Shift|url=http://www.nytimes.com/2015/04/05/us/politics/gops-israel-support-deepens-as-political-contributions-shift.html|accessdate=17 June 2015|work=The New York Times|date=4 April 2015}}</ref><ref>{{cite web|url=https://www.gop.com/platform/american-exceptionalism/|title=Republican Platform: American Exceptionalism|publisher=Republican National Committee|accessdate=22 June 2015}}</ref>
 
২০১৬ সালে রিপাবলিকান পার্টি তাদের দলীয় কর্মপন্থার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলো, <nowiki>"তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত সকল ইস্যু শান্তিপূর্ণভাবে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে এবং এই আলাপ-আলোচনা অবশ্যই তাইওয়ানের জনগণের অনুকূলে থাকতে হবে।"</nowiki>। ঐ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, <nowiki>"চীন যদি শান্তি আলোচনার নীতি সমূহের উলংঘন করে তবে তাইওয়ান রিল্যাশ্যান্স এক্ট এর চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র নিজেই তাইওয়ানকে তাদের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করবে।"</nowiki>।<ref>{{cite web|url=https://prod-static-ngop-pbl.s3.amazonaws.com/media/documents/DRAFT_12_FINAL[1]-ben_1468872234.pdf|title=Republican Platform 2016|accessdate=20 July 2016}}</ref>
১১৯ নং লাইন:
 
===সমকামী সম্প্রদায়ের অধিকার বিরোধীতা===
রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে রিপাবলিকান পার্টি সমকামীদের অধিকার সম্পর্কিত সমস্ত আন্দোলনের বিরোধীতা করে। অনেকের মতে ২০০৪ সালে [[জর্জ বুশের|জর্জ ডব্লিউ. বুশ|জর্জ বুশের]] নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ী হওয়ার নেপথ্যে রিপাবলিকান পার্টির সমকামী বিরোধীতা নীতি বিরাট ভূমিকা রেখেছিলো। ২০০৪<ref>{{cite web|url=http://www.cnn.com/2004/ALLPOLITICS/02/24/elec04.prez.bush.marriage/|title=Bush calls for ban on same-sex marriages |date= Feb. 25, 2004|publisher=CNN.com}}</ref> এবং ২০০৬<ref>{{cite web|url=http://www.nbcnews.com/id/11442710/ns/politics/t/bush-urges-federal-marriage-amendment/|title=Bush urges federal marriage amendment|date=June 6, 2006|publisher=NBC News}}</ref> সালে সংসদের রিপাবলিকান নেতারা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক একটি বৈবাহিক আইন সংশোধনের ব্যবস্থা নিয়েছিলো যেটি ছিলো সমকামীদের অধিকার পরিপন্থী। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোটের অভাবে রিপাবলিকানদের বৈবাহিক আইন সংশোধনের সেই প্রচেষ্টা ধোপে টিকে নি। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যগুলো যখন সমকামীদের বৈবাহিক অধিকারে বৈধতা দান করছিলো, তখন রিপাবলিকান দল প্রত্যকে রাজ্যগুলোকে রিপাবলিকানদের তৈরীকৃত বৈবাহিক নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে আসছিলো।<ref name="A Shifting Landscape">[http://publicreligion.org/site/wp-content/uploads/2014/02/2014.LGBT_REPORT.pdf A Shifting Landscape]</ref> ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ-আদালত যখন পুরো দেশজুড়ে সমকামী সম্প্রদায়ের বিবাহ বন্ধনের আইনের বৈধতা প্রদান করে, তখন রিপাবলিকানরা সমকামী বিবাহ ইস্যু নিয়ে মৌন অবস্থান গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে রিপাবলিকানদের এই ইস্যু ধীরে ধীরে রাজনৈতিক প্রভাবত্ব হারাতে থাকে।
 
===ব্যবসায়ীক গোষ্ঠী ===
রিপাবলিকান পার্টি ঐতিহ্যগতভাবেই ব্যবসায় বান্ধব রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত। বড় ধরনের ইন্ডাস্ট্রি থেকে ছোট ব্যবসায় পর্যন্ত সব ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে রিপাবলিকান দলের সমর্থন রয়েছে। রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে শতকরা ভাগই স্ব-নির্ভর এবং সু-ব্যবস্থাপনায় কাজ করে।<ref name=Fried2008p104>Fried, pp. 104–5, 125.</ref>
 
২০১২ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের করা এক জরিপ অনুযায়ী,শতকরা ৬১ শতাংশ ছোট বাণিজ্যের ব্যবসায়ীরা সেই সময় ২০১২ সালের নির্বাচনে [[মিট রমনিকেরমনি|মিট রমনিরমনিকে]] ভোট দেওয়ার জন্য মনস্থির করে। কেননা সেই সময় ২০১২ সালে রিপাবলিকানদের জাতীয় অধিবেশনে ক্ষুদ্র বাণিজ্যকে প্রধান বিষয় হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয়।<ref>{{cite news|url=http://articles.washingtonpost.com/2012-08-30/business/35493960_1_small-business-business-owners-plan-small-companies|title=Small business a common theme at Republican Convention |newspaper=The Washington Post |first=J. D. |last=Harrison|date=August 30, 2012|accessdate=April 17, 2013}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==