কালীপ্রসন্ন সিংহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎শিক্ষাজীবন: পরিষ্কারকরণ
২৯ নং লাইন:
== অবদানসমূহ ==
=== বিদ্যোৎসাহিনী সভা ও বাংলা থিয়েটারে অবদান ===
সাহিত্যে তাঁর অবদান ছাড়াও অন্য বিষয়ে, যেমন [[বাংলা]] [[থিয়েটার|থিয়েটারে]]ও কালিপ্রসন্নের অপরিমেয় অবদান ছিল। মাত্র চোদ্দো বছর বয়সে তিনি বিদ্যোৎসাহিনী সভা (শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহীদের জন্য একটি মঞ্চ) প্রতিষ্ঠা করেন। এটা সম্ভবত [[১৮৫৫]] সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কৃষ্ণদাস পাল, আচার্য [[কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য]], [[প্যারীচাঁদ মিত্র]], এবং [[রাধানাথ শিকদার|রাধানাথ শিকদারের]] মত বিশিষ্ট ভদ্রলোকেরা এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। বিদ্যোৎসাহিনী সভা প্রধানত হিন্দু থিয়েটার তুলে ধরার জন্য দায়বদ্ধ ছিল, এবং বিদ্যোৎসাহিনী মঞ্চ [[১৮৫৭]] সালে কালিপ্রসন্নের বসত বাড়িতে স্থাপিত হয়েছিল। এই দলের সদস্যরা [[১৮৫৭]] সালেই "[[শকুন্তলা]]" নামক থিয়েটারটি মঞ্চস্থ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মত অনুযায়ী "কলকাতার সিমলায় মঞ্চস্থ '[[শকুন্তলা]]' থিয়েটারটি, যদিও একটি ব্যর্থ প্রয়াস ছিল, তবুও এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, কারণ '[[শকুন্তলা]]' থিয়েটারটি হল একটি সেরা শিল্পকর্ম, যেটার উপস্থাপনার জন্য প্রয়োজন বহুমুখী এবং সুসম্পূর্ণ প্রতিভা, যা তত্‍কালীন সময়ে এদেশে খুবই বিরল ছিল"। পরে কালিপ্রসন্ন "বেণীসংহার" থিয়েটারটি অভিনীত করেন, যা একটি উষ্ণ সাড়া পায় এবং [[সংবাদ প্রভাকর]] পত্রিকায় অভিনয়টি প্রশংসিত হয়। তরুণ কালিপ্রসন্ন, "ভানুমতী" নামক একটি মহিলা চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরে মাত্র ১৮৫৭ সালে, কালিপ্রসন্ন নিজই কালিদাসের সংস্কৃত রচনার উপর ভিত্তি করে "বিক্রমোর্বশী" নাটক লিখেছেন। কালিপ্রসন্ন রাজা পুরুরবার ভূমিকায় অভিনয় করেন যেখানে উমেশচন্দ্র ব্যানার্জ্জীর মত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও এই নাটকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অভিনেতা হিসেবে কালিপ্রসন্নের অভিনয়ক্ষমতা সহ নাটকটি দর্শকের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত হয়। বিদ্যোৎসাহিনী সভার মাধ্যমে তিনি বাংলা কবিতায় ''ফাঁকা পদ্য'' (ইংরেজি: [https://en.wikipedia.org/wiki/Blank_verse Blank verse]) প্রবর্তনের জন্য [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]কে সমাদৃত করেন। কালিপ্রসন্ন একটি শংসাপত্র ও একটি রৌপ্য গোঁজ দিয়ে [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত]]কে পুরস্কার প্রদান করেছিলেন। এছাড়াও ''[[নীলদর্পণ]]'' নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করবার জন্য রেভারেন্ড জেমস লং সাহেবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। এই সভার মুখপত্র [[বিদ্যোৎসাহিনী পত্রিকা]] ছাড়া আরো দু-একটি পত্রিকা কালীপ্রসন্ন সম্পাদনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে কালিপ্রসন্ন, ১৮৫৪ সালে ''বাবু'', ১৮৫৭ সালে ''বিক্রমোর্বশী'', ১৮৫৮ সালে ''সাবিত্রী-সত্যবান'' এবং ১৮৫৯ সালে ''মালতী-মাধব'' -এর মত বেশ কিছু নাটক লেখেন। তিনি [[বিদ্যোৎসাহিনী থিয়েটার]] প্রতিষ্ঠিত ছাড়াও সেই থিয়েটারে নিজের রচিত ''বিক্রমোর্বশী'' নাটকে অভিনয়ও করেন।
 
=== প্রকাশনা ===