কালীপ্রসন্ন সিংহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
→‎শিক্ষাজীবন: পরিষ্কারকরণ
২২ নং লাইন:
কালিপ্রসন্ন বর্তমানে [[প্রেসিডেন্সি কলেজ]] হিসাবে পরিচিত, তত্‍কালীন [[হিন্দু কলেজ|হিন্দু কলেজে]] ভর্তি হয়েছিলেন। [[১৮৫৭]] সালে তিনি কলেজ ত্যাগ করেন। তিনি বাড়িতেই তাঁর [[ইংরেজি]], [[বাংলা]] ও [[সংস্কৃত]] শিক্ষা অব্যাহত রেখেছিলেন। তিনি মিস্টার ক্রিকপ্যাট্রিক ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: ''Mr.Kirkpatrick'') নামক একজন ইউরোপীয় শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তাঁর [[ইংরেজি]]র জ্ঞান উন্নত করেছিলেন। পরবর্ত্তী জীবনে তিনি একজন [[লেখক]], [[সম্পাদক]], প্রকাশক, একজন লোকহিতৈষী, একজন সামাজিক কর্মী, এবং [[শিল্প]], [[সাহিত্য]] ও [[সংস্কৃতি]]র একজন মহান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদান রেখে গেছেন।
 
তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনকালে, কালিপ্রসন্ন অবিশ্বাস্য বহুমুখী গুণাবলীর একজন মানুষ ছিলেন। খুব অল্প বয়স থেকে তিনি অদ্ভুত স্মরণশক্তির অধিকারি ছিলেন, মাত্র একবার দেখলে কিংবা শুনলেই তিনি তা মনে রাখতে পারতেন। মাত্র চোদ্দো বছর বয়সে [[১৮৫৩]] খ্রীষ্টাব্দে তাঁর বাংলাভাষা চর্চার জন্য বিদ্যোৎসাহিনী সভা প্রতিষ্ঠা এই ক্ষমতার অদ্ভুত ক্ষমতার একটি সাক্ষ্য বহন করে। [[ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর]] এই তরুণের অনেক বৃদ্ধ সহযোগীদের সঙ্গে একাত্মতা এবং এই ধরনের বিনোদনমূলক থিয়েটারের সংগঠন হিসাবে তাদের এই কাজে ব্রতী করতে পারা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। ''[[হুতোম প্যাঁচার নক্‌শা]]'' হল তাঁর সেই অমর সৃষ্টি যেখানে ঊনবিংশ শতকের কলকাতার বাবু সম্প্রদায়ের একটি পরিষ্কার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। [[সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়]], তার [[উপন্যাস]] ''[[সেই সময়]]'' (''Those Days'') লেখার সময়, প্রতীকী হিসাবে কালিপ্রসন্ন চরিত্রের পুনঃনির্মাণ করে নবীনকুমার নামে সমকালিক চরিত্রের অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়েছেন।

==বৈবাহিক জীবন==
কালিপ্রসন্ন [[১৮৫৪]] সালে [[বাগবাজার|বাগবাজারে]]র লোকনাথ বসুর কন্যার সঙ্গে বিবাহ করেন, কিন্তু কয়েক বছর পর তাঁর স্ত্রী বিয়োগ হয়। কিছুদিন পরে, কালিপ্রসন্ন রাজা প্রসন্ন নারায়ণ দেবের নাতনী এবং চন্দ্রনাথ বসুর কন্যা শরত্‍কুমারী দেবীকে বিবাহ করেন।
 
== অবদানসমূহ ==