হাংরি প্রজন্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
→‎মুখপত্র: চিত্র
Moheen (আলোচনা | অবদান)
৯ নং লাইন:
 
== মুখপত্র ==
[[চিত্র:Bhookhi Peedhi Andolan ke kavi evam lekhak.jpg|thumb|হাংরি আন্দোলনের লেখকগণ। ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে: [[শৈলেশ্বর ঘোষ]], [[মলয় রায়চৌধুরী]], [[সুভাষ ঘোষ]] [[বাসুদেব দাশগুপ্ত]], ডেভিড গার্সিয়া এবং [[সুবিমল বসাক]]।]]
 
হাংরি আন্দোলনকারিরা প্রধানত একপৃষ্ঠার বুলেটিন প্রকাশ করতেন । যেগুলো পাটনা থেকে প্রকাশিত, সেগুলো ইংরেজিতে লেখা হয়েছিল । কখনও বা পোস্টকার্ড, পোস্টার এবং এক ফর্মার পুস্তিকা প্রকাশ করতেন । এক পাতার বুলেটিনে তঁরা কবিতা, রাজনীতি, ধর্ম, অশ্লীলতা, জীবন, ছোটগল্প, নাটক, উদ্দেশ্য, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে ইশতাহার লেখা ছাড়াও, কবিতা, গদ্য, অনুগল্প, স্কেচ ইত্যাদি প্রকাশ করেছিলেন । বুলেটিনগুলো হ্যান্ডবিলের মতন কলকাতার কলেজ স্টিট কফি হাউস, পত্রিকা দপতর, কলেজগুলোর বাংলা বিভাগ ও লাইব্রেরি ইত্যাদিতে তাঁরা বিতরন করতেন । হাংরি আন্দোলনের কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার এইটি-ই প্রধান কারণ বলে মনে করেন গবেষকরা । কিন্তু হ্যান্ডবিলের মতন প্রকাশ করায় তাঁরা এতি হাসিক ক্ষতি করেছেন নিজেদের, কেন না অধিকাংশ বুলেটিন সংরক্ষণ করা সংগ্রাহকদের পক্ষেও সম্ভব হয়নি । কলকাতার ''লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণাকেন্দ্র'' বহু চেষ্টায় গোটা দশেক সংগ্রহ করতে পেরেছেন । ঢাকা বাংলা একাডেমিও কয়েকটি সঙগ্রহ করতে পেরেছেন । ১৯৬৩-৬৫ সালের মাঝে হাংরি আন্দোলনকারীরা কয়েকটি পত্রিকাও প্রকাশ করেছিলেন । সেগুলো হল, [[সুবিমল বসাক]] সম্পাদিত ''প্রতিদ্বন্দ্বী'', [[ত্রিদিব মিত্র]] সম্পাদিত ''উন্মার্গ'', [[মলয় রায়চৌধুরী]] সম্পাদিত ''জেব্রা'', [[দেবী রায়]] সম্পাদিত ''চিহ্ণ'', [[প্রদীপ চৌধুরী]] সম্পাদিত ''ফুঃ'' [[সতীন্দ্র ভৌমিক]] সম্পাদিত ''এষণা'', এবং [[আলো মিত্র]] সম্পাদিত ইংরেজি ''দি ওয়েস্ট পেপার'' । পত্রিকাগুলোর প্রতিটি সংখ্যা সংরক্ষণের প্রয়াস করার প্রয়োকন, মনে হয়, তাঁরা করেননি । কলকাতার ''লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি'' মাত্র কয়েকটি সংখ্যা সংগ্রহ করতে পেরেছে । বিট আন্দোলনের কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ কলকাতায় থাকাকালীন ইংরেজি বুলেটিনগুলো সংগ্রহ করে স্ট্যনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে গেছেন বলে বিদেশী গবেষকদের সৌজন্যে এগুলোর অবস্হান জানা যায় । সত্তর দশকের শেষাশেষি আন্দোলনটিকে পুনরায় জীবিত করার যখন অসফল প্রবাস করা হয়েছিল, তখন [[অরুণেষ ঘোষ]] প্রকাশ করেন ''জিরাফ'', [[অলোক গোস্বামী]] প্রকাশ করেন ''কনসেনত্রশান ক্যাম্প'', [[সুভাষ ঘোষ]] সম্পাদনা করেন ''আর্তনাদ'', এবং [[অন্যান্যরা]] ক্ষুধার্ত, ক্ষুধার্ত খবর, ক্ষুধার্ত প্রতিরোধ, রোবট, ধৃতরাষ্ত্র ইত্যাদি ।