রাজমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hrishikes (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Hrishikes (আলোচনা | অবদান)
৭৮ নং লাইন:
=== পৌরাণিক অংশ ===
 
রাজমালার কথারম্ভ চন্দ্রবংশীয় রাজা যযাতি থেকে। যযাতি শুক্রাচার্যের শাপে অকালে জরাগ্রস্ত হন। কিন্তু সেই জরা কাউকে দেওয়ার অধিকারও তাঁর থাকে। তিনি তাঁর পুত্রদের অনুরোধ করেন জরা নিয়ে তাঁকে যৌবন দিতে। কনিষ্ঠ পুত্র পুরু ছাড়া কেউ রাজি হয় না। তাই যযাতি পুরুকেই তাঁর রাজ্য দিয়ে যান, এই পুরুর বংশেই পাণ্ডব-কৌরবদের জন্ম। যযাতির অন্য ছেলেরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে রাজ্য স্থাপন করেন। এক ছেলে দ্রুহ্যু আসেন পূর্বদিকে কিরাতদের (= মঙ্গোলয়েড) দেশে, সেখানে তিনি ত্রিবেগ নামে রাজ্য স্থাপন করেন। এই বংশের রাজা ত্রিপুর নিজের নামে রাজ্যের নাম রাখেন। ইনি খুব অত্যাচারী হওয়ায় প্রজাদের আরাধনায় শিব ত্রিশূলাঘাতে এঁকে বধ করেন। ত্রিপুরপুত্র ত্রিলোচন যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞে হাজির ছিলেন। অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে মাঝে মাঝে এ রাজ্যের স্থান পরিবর্তন হয়, শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ শতাব্দীতে রাজা প্রতীত রাজত্ব স্থাপন করেন প্রবঙ্গে, যা এখন ত্রিপুরা। এর স্মরণেই ত্রিপুরাব্দ। (বর্তমান ঐতিহাসিক ধারণায় বঙ্গাব্দের মত ত্রিপুরাব্দও আকবরের ফসলী অব্দ থেকে এসেছে।<ref>''Some Epigraphical Records of The Medieval Period from Eastern India'', দীনেশচন্দ্র সরকার, ১৯৭৯, [http://books.google.co.in/books?id=-O18xhA_BXUC&pg=PA93 পৃঃ ৯৩]</ref>) প্রতীতের অধস্তন চতুর্থ পুরুষ হামতরফা [[রাঙ্গামাটি জেলা|রাঙ্গামাটি]] (বর্তমান ত্রিপুরার দক্ষিণাংশ, নোয়াখালি ও চট্টগ্রামের পশ্চিমাংশ) জয় করেন। সেখানে তখন মঘ রাজত্ব, মঘ প্রজাদের খুশি করতে রাজা নিজের নামের শেষে ফা (পিতা) উপাধি যোগ করেন।
 
=== ঐতিহাসিক অংশ ===