রাজমালা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hrishikes (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Hrishikes (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৭০ নং লাইন:
এই বক্তব্যের কারণে গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচার হয়, এতটাই যে, প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক উইলিয়াম উইলসন হান্টার প্রণীত ''A Statistical Account of Bengal'', Vol VI (Tipperah) (১৮৭৬)-এর ইতিহাস অংশ লঙ-রচিত রাজমালার সংক্ষিপ্তসারের ভিত্তিতে লেখা হয়েছিল।<ref>[http://dspace.nehu.ac.in/jspui/bitstream/1/10227/1/Rajmala%20%28JB%20Bhattacharjee%29.pdf Rajmala and the Historical Writings in Tripura], জে. বি. ভট্টাচার্য</ref>
 
পরবর্তী গবেষকরা কলকাতা, ঢাকা ও আগরতলার বিভিন্ন প্রকাশনায় রাজমালার ঐতিহাসিকত্বের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য রচিত ''স্বাধীন ত্রিপুরার রাজমালা'' (প্রবাসী, ফাল্গুন ১৩৫৪) এবং ''বাংলা সাহিত্যের কতিপয় ঐতিহাসিক কাব্য: রাজমালা, কৃষ্ণমালা, গাজিনামা ও চম্পকবিজয়'' (শাশ্বত ত্রিপুরা: ত্রিপুরা হিতসাধিনী সভার শতবার্ষিকী স্মারক সঙ্কলন, ১৮৭২-১৯৭২, কলকাতা) এবং সুধীরকৃষ্ণ দেববর্মার ''রাজমালা প্রসঙ্গ'' (আগরতলা, ১৯৫৮) এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য। একদল ঐতিহাসিকের মতে পুরো বইটাই অষ্টাদশ শতাব্দী ও ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমাংশের মধ্যে রচিত। এঁদের মধ্যে আছেন প্রসিদ্ধ পুরাতত্ত্ববিদ্ দীনেশচন্দ্র সরকার (''Some Epigraphical Records of the Medieval Period from Eastern India'', দিল্লী, ১৯৭৯), জ্যোতিষচন্দ্র দত্ত (''An Introduction to the History of Tripura: From Monarchy to Democracy'', কলকাতা, ১৯৮৪) এবং জগদীশ গণচৌধুরী (''Place Names'', স্ব-সম্পাদিত ''An Anthology of Tripura'', নতুন দিল্লী, ১৯৮৫)। আরেক দল ঐতিহাসিক রাজমালায় দেওয়া তথ্যের ঐতিহাসিকতা মেনে নিয়ে তার ভিত্তিতে ইতিহাস রচনায় ব্রতী হয়েছেন। যথা দীনেশচন্দ্র সেন (''বৃহৎ বঙ্গ'', কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৩৫) এবং তাঁর পূর্বসূরী ত্রিপুরা রাজসরকারের আধিকারিক (ত্রিপুরার সমতল অংশ চাকলা রোশনাবাদেররোশ্‌নাবাদের প্রশাসক ও পরে মহারাজ রাধাকিশোরের একান্ত সচিব<ref>[https://books.google.co.in/books?id=WmgrZgspJbIC&pg=PA86 Tripura Administration: The Era of Modernisation, 1870-1972], বাণীকণ্ঠ ভট্টাচার্য, ১৯৮৬</ref>) ই. এফ. স্যান্ডিস (''History of Tripura Compiled from Authentic Sources'', কলকাতা, ১৯১৫) ও উত্তরসূরী নলিনীরঞ্জন রায়চৌধুরী (''Tripura Through the Ages: A Short History of Tripura from Earliest Times to 1947'', নতুন দিল্লী, ১৯৮৩)।<ref name="Indrani"/>
 
== আখ্যানভাগ ==
৯২ নং লাইন:
* কল্যাণমাণিক্য: শাহজাহানের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেন।
* গোবিন্দমাণিক্য: কল্যাণমাণিক্যের পুত্র; ভাই নক্ষত্ররায় সিংহাসনলোভী হওয়ায় তাঁকে সিংহাসন ছেড়ে দেন। এঁকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ [[s:রাজর্ষি|রাজর্ষি]] ও [[s:নির্ঘণ্ট:বিসর্জন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf|বিসর্জন]] লেখেন।
* দ্বিতীয় ধর্মমাণিক্য: এই রাজার আমলে ত্রিপুরার শাসন ব্যবস্থা দ্বিখণ্ডিত হয়। পার্বত্য অংশ স্বাধীন রাজ্য হিসেবে থাকে, আর সমতল অংশ বাংলার নবাবের (তথা মুঘল সাম্রাজ্যের) অধীনে ত্রিপুরার রাজার জমিদারীতে পরিণত হয়। এই জমিদারীর নাম দেওয়া হয় চাকলা রোশনাবাদ।রোশ্‌নাবাদ। পরবর্তী ব্রিটিশ আমলেও এই বন্দোবস্ত কায়েম থাকে।<ref>চাকলা রোশনাবাদরোশ্‌নাবাদ বন্দোবস্তের বিস্তৃত বিবরণের জন্য দেখুন: Cumming, J. G., [https://catalog.hathitrust.org/Record/004180815 Survey and settlement of the Chakla Roshnabad Estate in the districts of Tippera and Noakhali, 1892-99]; সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ''Chakla Roshnābād'', [http://dsal.uchicago.edu/reference/gazetteer/pager.html?objectid=DS405.1.I34_V10_130.gif Imperial Gazetteer of India, v. 10, p. 124.]</ref>
* কৃষ্ণমাণিক্য: রাজধানী উদয়পুর থেকে আগরতলায় স্থানান্তর করেন, কুমিল্লায় সতের রত্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই রাজার আমলে ত্রিপুরার পার্বত্য অংশ ব্রিটিশের করদ রাজ্যে পরিণত হয় এবং ত্রিপুরায় ব্রিটিশ রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। রাজার জমিদারী চাকলা রোশনাবাদেরোশ্‌নাবাদে ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। এই রাজার রাজত্বকাল নিয়ে ''কৃষ্ণমালা'' নামে বই রচিত হয়।
* কৃষ্ণকিশোরমাণিক্য: বর্তমান আগরতলা শহর নির্মাণ করেন এবং পুরনো আগরতলা থেকে রাজধানী সেখানে স্থানান্তর করেন। এঁর আমলে রাজমালার শেষ অংশ রচিত।