আকিহিতো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: 1 টি আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্তের - d:q37979 এ রয...
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
'''সম্রাট আকিহিতো''' ([[জাপানি ভাষা|জাপানি ভাষায়]] 明仁) ([[জন্ম]]: [[ডিসেম্বর ২৩]], [[১৯৩৩]]) [[১৯৮৯]] সাল থেকে [[জাপান|জাপানের]] ও বিশ্বের একমাত্র [[সম্রাট]] (জাপানিতে 天皇 ''তেন্নোও'')।
 
 
জাপানের সম্রাট আকিহিতো ৮ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক বিরল ভাষণে বলেছেন, তিনি ভয় পাচ্ছেন তাঁর বয়স এবং স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতির কারণে তাঁর জন্য দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে উঠছে। খবর বিবিসির।
 
প্রসঙ্গত, ৮২ বছর বয়স্ক সম্রাট এই নিয়ে জীবনে দ্বিতীয়বারের মত টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। এর আগে ২০১১ সালে সুনামি ও ভূমিকম্পের পর প্রথম ভিডিও বার্তা পাঠান সম্রাট আকিহিতো।
 
রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তাটি সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় সম্প্রচার করা হয়।
 
সম্রাট তাঁর ভাষণে ঠিক ‘সিংহাসন ত্যাগ’ শব্দটি ব্যবহার করেননি, বরঞ্চ তিনি ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে তিনি তাঁর দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চান।
 
দশ মিনিটের ধারণকৃত বক্তব্যে সম্রাট আকিহিতো বলেন, তিনি আশা করেছিলেন রাষ্ট্রের প্রতীক হিসেবে তিনি সম্রাটের দায়িত্ব কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই পালন করে যেতে পারবেন।
 
জুলাই মাসে জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যম এনএইচকের এক প্রতিবেদনে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সম্রাটের সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানানো হয়। আধুনিক জাপানের ইতিহাসে কোনও সম্রাটের জাপানের সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা এটিই প্রথম।
 
বার্তা সংস্থা এপির মতে, জাপানের সিংহাসন থেকে জীবিত সম্রাটের সরে দাঁড়ানোর ঘটনা সবশেষ ২০০ বছর আগে ঘটেছিল। ১৮১৭ সালে সম্রাট কোকাকুর পর জাপানের আর কোন সম্রাটই কখনো জীবদ্দশায় সিংহাসন ত্যাগ করেননি।
 
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে পিতা সম্রাট হিরোহিতোর মৃত্যুর পর সিংহাসনে আসীন হন তিনি। আকিহিতো ২৭ বছর ধরে সম্রাট হিসেবে জাপানের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
 
এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্রাট আকিহিতোর হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে তাঁর। আকিহিতো পদ ছাড়লে ৫৬ বছর বয়সী ক্রাউন প্রিন্স নারুহিতো সম্রাটের আসনে বসবেন বলে জানিয়েছে জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনইচকে।
 
 
বিবিসি জানায়, জাপানের আইনে পদত্যাগের কোনও বিধান নেই। তাই আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। আর জাপানের আইন অনুযায়ী, সম্রাটকে রাজনৈতিক কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
 
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, তাঁর সরকার সম্রাটের এই বক্তব্যকে ‘গুরুত্বের’ সঙ্গে নেবে এবং করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করবে।
 
সম্রাট আকিহিতো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকালের শাসক সম্রাট হিরোহিতোর উত্তরসূরি। মৃদুভাষী সম্রাট আকিহিতো এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের সম্পর্কোন্নয়নের পক্ষপাতী হিসেবে পরিচিত। তবে তিনি একাধিকার বলেছেন, জাপানের মানুষের যুদ্ধের বীভৎসতা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
 
জাপানি রাজপরিবারের সম্রাট আকিহিতো হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাধারণ কোনও পরিবারের কন্যাকে বিয়ে করেছেন। মিচিকোকে বিয়ে করে তিনি রাজপরিবারকে জনসাধারণের আরও কাছে নিতে চেয়েছেন। আকিহিতো রাজপরিবারকে ‘মধ্যবিত্ত শাসক’ পরিবার হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
 
সম্রাট আকিহিতোর জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর। পৃথিবীতে বর্তমানে সম্রাট পদটি একমাত্র জাপানেই রয়েছে।
 
অনন্যা
{{অসম্পূর্ণ}}