পাকিস্তান গণপরিষদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎বহিঃসংযোগ: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন:
'''পাকিস্তানের গণপরিষদ''' ১৯৪৭ সালে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল।<ref name="BP">[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=পাকিস্তান_গণপরিষদ পাকিস্তান গণপরিষদ, বাংলাপিডিয়া]</ref> ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলাপের জন্য গভর্নর জেনারেল [[লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন|লর্ড মাউন্টব্যাটেন]] কর্তৃক আহূত ১৯৪৭ সালের ৩ জুনের সম্মেলনে নতুন রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের জন্য দুইটি গণপরিষদ গঠনের আদেশ জারি করা হয়েছিল যা ১৯৪৭ সালের ২৬ জুন গ্যাজেট অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এসময় ৬৯ সদস্য নিয়ে পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়। এদের মধ্যে একজন নারী সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৭৯ করা হয়।<ref name="PH">[http://www.na.gov.pk/en/content.php?id=75 PARLIAMENTARY HISTORY, ৩০ জুলাই ২০১৬ তারিখে সংগৃহিত]</ref>
'''পাকিস্তানের গণপরিষদ''' তৈরী করা হয়েছিল পাকিস্তানের সংবিধান রচনা করার জন্য। [[পাকিস্তান|পাকিস্তানে]] প্রথম [[সংসদীয় গণতন্ত্র|সংসদ]] প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরী করা হয়। ১৪ই আগস্ট, ১৯৪৭ সালে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ শাসনের]] অবসানের পূর্বে ১১ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে প্রথম আহ্বান করা হয়। কাইদ-ই-আযম [[মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ]] ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম [[গভর্নর জেনারেল]]। ১৯৪৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। [[লিয়াকত আলি খান]] পরবর্তীতে তিন বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তিনি তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান তৈরী করতে ব্যার্থ হন। এই সময় পর্যন্ত সংসদ কেবলামাত্র ১০ লাইনের একটি "প্রস্তাব" তৈরী করেছিল। ১৯৫৪ সালের ২৪শে অক্টোবর এটি প্রকাশ করা হয়। অপরদিকে ভারতের সংসদ এই বিষয়টিতে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। মাত্র ২বছর ১১ মাস ৭দিনে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ [[ভারতের সংবিধান|সংবিধান]] তৈরী করে। নতুন নির্বাচনের পর ১৯৫৫ সালের ২৮ই মে তারিখে সংবিধাব রচনার বিষয়টি পূনর্বিবেচনা করা হয়। নতুন নির্বাচিত সরকার ২৩শে মার্চ ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল, কারণ এই সময়ই নতুন সংবিধান প্রকাশিত হয়। এখানে পাকিস্তানকে একটি [[প্রজাতন্ত্র|প্রজাতন্ত্রীক]] রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষনা করা হয়।
 
==পরিষদ গঠন==
ব্রিটিশ ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় [[ভারত অধিরাজ্য]] ও [[পাকিস্তান অধিরাজ্য]] নামের দুইটি ডোমিনিয়ন গঠিত হয়। স্বাধীনতা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রণীত [[ভারত স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭]] অনুযায়ী সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ভারত ও পাকিস্তানে দুইটি গণপরিষদ স্থাপিত হয়। আইনে সাবেক [[কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ|কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের]] হাতে ন্যস্ত সকল ক্ষমতা গণপরিষদের হাতে ন্যস্ত করা হয় এবং এই আইন অনুযায়ী সংবিধান প্রণয়ন ও তা কার্যকর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ১৯৩৫ সালের [[ভারত শাসন আইন ১৯৩৫|ভারত শাসন আইন]] অনুযায়ী রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষমতা পরিষদকে প্রদান করা হয়।<ref name="PH"/><ref name="BP"/> গণপরিষদ [[মুসলিম লীগ]] ও [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|কংগ্রেস]] সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট গণপরিষদে মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন ৫৯জন।<ref name="BP"/>
 
==বৈঠক==
১৯৪৭ সালের ১০ আগস্ট করাচির সিন্ধু পরিষদ ভবনে পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরেরদিন ১১ আগস্ট [[মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ]] সর্বসম্মতিক্রমে পরিষদের স্পিকার হন।<ref name="BP"/><ref name="PH"/> একই দিনে [[পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা]] পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহিত হয়। ১২ আগস্ট অনুমোদিত একটি প্রস্তাবে [[মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ|মুহাম্মদ আলি জিন্নাহকে]] সরকারিভাবে কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ হিসেবে সম্বোধনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। একইদিনে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত কমিটি গঠিত হয়।<ref name="PH"/>
 
১৪ আগস্ট ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন [[লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন|লর্ড মাউন্টব্যাটেন]] পরিষদে ভাষণ দেন। [[মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ]] এরপর একটি বক্তব্য রাখেন এবং এতে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] রাষ্ট্রীয় নীতি উল্লেখ করা হয়।<ref name="PH"/>
 
==সংবিধান প্রণয়ন==
১৯৪৯ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী [[লিয়াকত আলি খান]] [[লক্ষ্য প্রস্তাব]] তুলে ধরেন। ১২ মার্চ তা পরিষদে গৃহিত হয়। একই দিনে লক্ষ্য প্রস্তাবের ভিত্তিতে খসড়া সংবিধান প্রণয়নের জন্য ২৪ সদস্যবিশিষ্ট [[মূলনীতি কমিটি]] গঠিত হয়।<ref name="PH"/><ref name="BP"/> এছাড়া কয়েকটি উপকমিটি গঠিত হয়েছিল।<ref name="BP"/> তবে নেতাদের আভ্যন্তরীণ বিভেদের কারণে সংবিধান প্রণয়নে বিলম্ব হয়েছিল।<ref name="BP"/> ১৯৫৪ সালে খসড়া সংবিধান প্রণীত হয়। তবে তা পরিষদে গৃহিত হওয়ার পূর্বে গভর্নর জেনারেল [[মালিক গোলাম মুহাম্মদ]] ১৯৫৪ সালের ২৪ অক্টোবর পরিষদ বিলুপ্ত করে জরুরি অবস্থা জারি করেন।<ref name="PH"/>
 
স্পিকার [[মৌলভি তমিজউদ্দিন খান]] এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। মামলায় স্পিকার জয়ী হলেও সরকার পক্ষের আপিলের পর ফেডারেল আদালত রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে গভর্নর জেনারেলের আদেশ বহাল রাখেন।<ref name="PH"/><ref name="BP2">[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=খান,_তমিজউদ্দীন তমিজউদ্দিন খান, বাংলাপিডিয়া]</ref>
 
[[মালিক গোলাম মুহাম্মদ]] আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৯৫৫ সালের ২৮ মে গভর্নর জেনারেলের আদেশ নং ১২ এর মাধ্যমে দ্বিতীয় গণপরিষদ গঠন করেন।<ref name="BP"/><ref name="PH"/> দ্বিতীয় গণপরিষদের ৮০ জন সদস্যের মধ্যে অর্ধেক [[পূর্ব পাকিস্তান]] এবং অর্ধেক পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন। পরিষদে [[এক ইউনিট]] গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়<ref name="PH"/> যার মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানে তৎকালীন বিদ্যমান চারটি প্রদেশ যথা [[উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ]], [[পাঞ্জাব (পাকিস্তান)|পাঞ্জাব]], [[সিন্ধু প্রদেশ]] ও [[বালুচিস্তান]] নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়।
 
১৯৫৬ সালের ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় গণপরিষদে খসড়া সংবিধান পেশ করা হয়। একই বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি তা পরিষদে পাস হয়। ২ মার্চ গভর্নর জেনারেল এতে সম্মতি দেন। ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয়।<ref name="PH"/>
 
== আরো দেখুন ==
৮ ⟶ ২৫ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.na.gov.pk/en/content.php?id=75 PARLIAMENTARY HISTORY]
* [http://www.na.gov.pk/history.htm পাকিস্তানের ন্যাশানাল এসেম্বলি ইতিহাস]
 
{{বাংলা ভাষা আন্দোলন}}
১৫ ⟶ ৩২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:সংবিধানিক রীতিনীতি|পাকিস্তান]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের ইতিহাস]]
 
 
{{Bangladesh-hist-stub}}