আবদুল মোনেম খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১৫ নং লাইন:
|death_date = {{Death date and age|1971|10|13|1899|6|28}}
|death_place = [[ঢাকা]], [[পূর্ব পাকিস্তান]]
|restingplace = বনানী কবরস্থান, ঢাকা
|citizenship = [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতীয়]] (১৮৯৯-১৯৪৭)<br />[[পাকিস্তান|পাকিস্তানি]] (১৯৪৭-১৯৭১)
|party = [[মুসলিম লীগ]]
২৫ নং লাইন:
|footnotes =
}}
'''আবদুল মোনেম খান''' (২৮ জুন ১৮৯৯ – ১৩ অক্টোবর ১৯৭১) ছিলেন বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] গভর্নর। তিনি ২৮ অক্টোবর ১৯৬২ থেকে ২৩ মার্চ ১৯৬৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরদের মধ্যে তার মেয়াদ সবচেয়ে দীর্ঘ ছিল।<ref name="Bangabhaban">[http://bangabhaban.gov.bd/Homes/banglahistory_submenu/12/51 Governors and Acting Governors of East Bengal/ East Pakistan 1947-1971 ২০ জুলাই ২০১৬ তারিখে সংগৃহিত]</ref> তিনি [[আইয়ুব খান|আইয়ুব খানের]] ঘনিষ্ঠ সহায়তাকারী ছিলেন। শাসনকালে বাঙালি জাতীয়তাবাদিদের প্রতি বিরূপ আচরণের জন্য তাকে দোষারোপ করা হয়। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সময় [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] পক্ষাবলম্বন করায় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে [[ঢাকা|ঢাকায়]] নিজ বাসভবনে [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] হাতে তিনি নিহত হন।
==জন্ম==
আবদুল মোনেম খান ১৮৯৯ সালের ২৮ জুন [[কিশোরগঞ্জ
==শিক্ষাজীবন==
তিনি ১৯১৬ সালে [[ময়মনসিংহ
==কর্মজীবন==
আবদুল মোনেম খান ১৯২৭ সালে ময়মনসিং জেলা বারে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩০ সালে উত্তর বঙ্গে সংঘটিত বন্যার সময় তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর সাথে ত্রাণ বিতরণে অংশ নিয়েছেন। ১৯৩২ সালে তিনি ময়মনসিংহের আঞ্জুমান-ই-ইসলামিয়ার সহকারি সচিব নির্বাচিত হন। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠকও ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহ
==রাজনীতি==
তিনি ১৯৩৫ সালে [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|নিখিল ভারত মুসলিম লীগে]] যোগ দেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৩৬ সালে তার আমন্ত্রণে [[মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ]] ময়মনসিংহ সফরে আসেন। এই সফরে জিন্নাহ বেশ কয়েকটি জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন।<ref name="Banglapedia"/> ১৯৪৭ সালে তিনি পুনরায় জেলা মুসলিম লীগের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।<ref name="Bangabhaban" />
১৯৪৫ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলা বোর্ডের সদস্য হন। পরবর্তী কয়েকবছর তিনি এই পদে ছিলেন। পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার হিসেবে তিনি অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ড করেছেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলার ন্যাশনাল গার্ডকে সংগঠিত করেন। তিনি সংগঠনের সালার-ই-জেলা নিযুক্ত হন।<ref name="Banglapedia"/>
১৯৪৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হন। একই বছরে নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য হন। ১৯৫০ সালে তিনি বেঙ্গল ডিফেন্স কমিটি ও প্রভিন্সিয়াল আর্মড সার্ভিসেস বোর্ডের সদস্য হন।<ref name="Banglapedia"/> ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে তিনি অনেক ভোট হারান।<ref name="Bangabhaban" />
১৯৬২ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সেই বছর আইয়ুব খান তাকে
তিনি আইয়ুব খানের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। আইয়ুব খান প্রবর্তিত মৌলিক গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি কাজ করেছেন এবং ১৯৬৫ সালের নির্বাচনে আইয়ুব বিরোধী জোটের (কপ) প্রার্থী [[ফাতেমা জিন্নাহ|ফাতেমা জিন্নাহর]] সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিনি আইয়ুব খানকে সহায়তা করেছেন। তার শাসনামলে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল।<ref name="Bangabhaban" /> তিনি শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা ও এগারো দফা দাবি এসবের বিরোধী ছিলেন। ফলে তাকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়।<ref name="Banglapedia"/>
==মৃত্যু==
|