৪জি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
123.108.246.135-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে WikitanvirBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
Shariful iea (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''৪জি''' ({{lang-en|4G}}) হল ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্ম শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ব্যবহৃত হয় চতুর্থ প্রজন্মের তারবিহীন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিকে বুঝাতে। এটি [[থ্রিজি|তৃতীয় প্রজন্মের]] (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির উত্তরসূরি। ফোরজি প্রযুক্তি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা অন্যান্য মোবাইল যন্ত্রে [[মোবাইল ব্রডব্যান্ড|মোবাইল আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড]] [[ইন্টারনেট]] সেবা প্রদান করে থাকে। ফোরজি নেটওয়ার্কে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে সংশোধিত [[মোবাইল ওয়েব]] সেবা, [[আইপি টেলিফোনি]], গেমিং সেবা, [[এইচডিটিভি|হাই-ডেফিনিশন]] [[মোবাইল টিভি]], ভিডিও কনফারেন্স, [[ত্রিমাত্রিক টেলিভিশন]] এবং [[ক্লাউড কম্পিউটিং]] উল্লেখযোগ্য।
 
বাণিজ্যিকভাবে দুই ধরণের ফোরজি প্রযুক্তি স্থাপিত হয়েছে: [[মোবাইল ওয়াইম্যাক্স]] (২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম) এবং [[লং টার্ম ইভোলিউশন]] বা এলটিই (২০০৯ সালে নরওয়ের ওসলো এবং সুইডেনের স্টকহোমে প্রথম)। তবে বর্তমানে ৪জি এর সেসব প্রাথমিক সংস্করণগুলোকে বাস্তবিক ৪জি হিসেবে দাবী করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে, যার প্রধান কারণ হল আইএমটি অ্যাডভান্সড এর কিছু প্রয়োজনীয় নিয়ম।
[[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] স্প্রিন্ট নেক্সটেল [[২০০৮]] সালে [[মোবাইল]] ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং মেট্রোপিসিএস [[২০১০]] সালে প্রথম এলটিই সেবা চালু করে। তারবিহীন ইউএসবি মডেম প্রথম থেকেই লভ্য ছিল, কিন্তু ওয়াইম্যাক্স [[স্মার্টফোন]] লভ্য হয় [[২০১০]] সাল থেকে এবং এলটিই স্মার্টফোন [[২০১১]] সাল থেকে। তবে ইউরোপীয় বাজারে বর্তমানে ওয়াইম্যাক্স স্মার্টফোন বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] মোবাইল ফোনে ৪জি লভ্য না হলেও, কিছু ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোম্পানির দাবী যে তারা ওআইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে, যদিও তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
 
== ফোরজি-এর প্রযুক্তিসমূহ ==
১০ নং লাইন:
মোবাইল ওয়াইম্যাক্স এবং এলটিই-এর প্রথম অবমুক্তির পর থেকে যেসব সেবা প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবিটের কম গতি প্রদান করে, আইইউটি-আর এর নীতি অনুযায়ী সেগুলোকে ফোরজি সেবা বলা যাবে না, যদিও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলোকে ফোরজি সেবা বলেই বাজারজাত করে।
 
[[মোবাইল ওয়াইম্যাক্স রিলিজ ২]] এবং [[এলটিই-অ্যাডভান্সড]] আইএমটি-অ্যাডভান্সডের বিষয়বস্তু সমর্থন করে এবং এর সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবিট গতি সম্পন্ন সেবা প্রদান করাও সম্ভব। এই সেবাগুলো [[২০১৩]] সালে অবমুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।<ref>{{cite web|url=http://www.engadget.com/2011/11/08/atandt-commits-to-lte-advanced-deployment-in-2013-hesse-and-mead/|title=AT&T commits to LTE-Advanced deployment in 2013, Hesse and Mead unfazed|publisher=Engadget|date=৮ নভেম্বর ২০১১|accessdate=১৯ জুন ২০১৩}}</ref>
 
আগের প্রজন্মগুলো [[সার্কিট সুইচিং|সার্কিট-সুইচড]] টেলিফোনি সমর্থন করলেও, ফোরজি তা করেনা। তবে এটি [[ইন্টারনেট প্রটোকল]] ভিত্তিক সকল সেবা যেমন: আইপি টেলিফোনি সমর্থন করে। আশা করা হয় যে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিগুলো পূর্ববর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগুলোর তুলনায় অধিক সস্তা এবং উন্নততর হবে। অনেক দেশে এখনও জিএসএম, ইউএমটিএস এবং এলটিই নেটওয়ার্ক একই সাথে চালু আছে।
১৯ নং লাইন:
আইটিইউ ভবিষ্যতে ব্যবহার করা হবে এমন প্রযুক্তিসমূহের জন্য কিছু শর্ত আরোপ করলেও, তারা সেগুলোর মানোন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনা। বরং অন্য কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন, আইইইই, দ্য ওআইম্যাক্স ফোরাম এবং ৩জিপিপি এসব কাজ করে।
 
[[১৯৯০]] এর মাঝামাঝি সময়ে, আইটিইউ-আর অবমুক্ত করে আইএমটি-২০০০ শর্তসমূহ, যা ৩জি প্রযুক্তির শর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর [[২০০৮]] সালে তারা ৪জি এর জন্য আইএমটি-অ্যাডভান্সড শর্তসমূহ প্রণয়ন করে।
 
ইউএমটিএস পরিবারের সবচেয়ে দ্রুতগতির [[৩জি]] ভিত্তিক প্রযুক্তি হল এইচএসপিএ+, যা [[২০০৯]] সাল থেকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এতে এমআইএমও ছাড়া একটি অ্যান্টেনা ব্যবহার করে ডাউনলিংকে ২৮ মেগাবিট/সে এবং আপলিংকে ২২ মেগাবিট/সে গতি পাওয়া সম্ভব। [[২০১১]] সালে ডিসি-এইচএসপিএ+<ref name="LteWorld">{{cite web|url=http://lteworld.org/blog/62-commercial-networks-support-dc-hspa-drives-hspa-investments|title=62 commercial networks support DC-HSPA+, drives HSPA investments|publisher=LteWorld|accessdate=১৭ মার্চ ২০১৪|date=৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২}}</ref> বা ২x২ এমআইএমও ব্যবহার করে এই গতিকে ৪২ মেগাবিট/সে এ উন্নীত করা হয়।
 
==আইএমটি অ্যাডভান্সড্==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/৪জি' থেকে আনীত