হৈসল সাম্রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১২০ নং লাইন:
[[File:Old Kannada inscription dated 1115 AD in the Lakshmi Devi temple at Doddagaddavalli.jpg|right|thumb|upright|বিষ্ণুবর্ধনের [[প্রাচীন কন্নড়]] উৎকীর্ণ লিপি, ১১১৩ খ্রিস্টাব্দ, লক্ষ্মীদেবী মন্দির, [[ডোড্ডাগাডদাবল্লি]]।]]
[[File:Shasana (Inscription) at Keshava Temple, Somanathapura.jpg|thumb|upright|left|দ্বিতীয় নরসিংহের উৎকীর্ণ লিপি, ১২৭০ খ্রিস্টাব্দ, কেশব মন্দির, সোমনাথপুরা।]]
হোয়সল সম্রাটরা ছিলেন কন্নড় ভাষার পৃষ্ঠপোষক। তাঁদের উৎকীর্ণ লিপিগুলিতে কন্নড় ভাষায় ব্যবহার লক্ষিত হয়। এই লিপিগুলি গদ্যের পরিবর্তে মার্জিক কাব্যিক ভাষায় লিখিত হত এবং লেখের প্রান্তভাগে ফুলের নকশা খোদাই করা থাকত।<ref name="floral">Ayyar (2006), p. 600</ref> ইতিহাসবিদ শেলডন পোলকের মতে, হোয়সল যুগে সংস্কৃত ভাষা সম্পূর্ণ অপসৃত হয়েছিল এবং রাজসভার ভাষা হিসেবে কন্নড় ভাষা আধিপত্য বিস্তার করেছিল।<ref name="courtly">Pollock (2006), p. 288–289</ref> মন্দিরগুলি ছিল স্থানীয় বিদ্যালয়। সেখানে ব্রাহ্মণেরা সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষাদান করতেন। অন্যদিকে জৈন ও বৌদ্ধ মঠগুলিতে নবাগত সন্ন্যাসীদের শিক্ষাদান করা হত। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিকে বলা হত ‘ঘটিকা’। উদীয়মান ধর্মীয় আন্দোলনের সন্ত ও কবিরা তাঁদের অতিন্দ্রীয় অভিজ্ঞতা ও দেবতার প্রতি নৈকট্যবোধ (‘বচন’ ও ‘দেবরমণ’) প্রকাশের জন্য মূলত স্থানীয় কন্নড় ভাষাই ব্যবহার করতেন। তালপাতা একত্রে বেঁধে পুথি তৈরি করে তাতে সাহিত্য রচনা করা হত। পূর্ববর্তী শতাব্দীগুলিতে কন্নড় সাহিত্যে কেন্দ্রীয় স্থান অধিকার করে ছিল জৈন ধর্মগ্রন্থগুলি। কিন্তু হোয়সল রাজত্বকালে কন্নড় ভাষায় রচিত শৈব ও ব্রাহ্মণ্যবাদী ধর্মগ্রন্থগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করে।<ref name="jainwritings">Narasimhacharya (1988), p17</ref> সংস্কৃত ভাষায় কাব্য, ব্যাকরণ, অভিধান, স্মৃতিশাস্ত্র, অলংকার শাস্ত্র, প্রাচীন গ্রন্থের টীকা, গদ্য উপাখ্যান ও নাটক রচিত হত।<ref name="works">The ''Manasollasa'' of king [[Someshvara III]] is an early encyclopedia in Sanskrit (Thapar 2003, p393)</ref> ‘শিলাশাসন’ (শিলালিপি) ও ‘তাম্রশাসন’গুলির ([[ভারতীয় তাম্রলিপি|তাম্রলিপি]]) বেশিরভাগই কন্নড় ভাষায় রচিত হয়। তবে কতকগুলি ছিল সংস্কৃত বা দ্বিভাষিক। দ্বিভাষিক লিপিগুলিতে শিরোনাম, বংশতালিকা, রাজার উৎস সংক্রান্ত কিংবদন্তি ও আশীর্বচনগুলি সাধারণত সংস্কৃতে লিখিত হত। জনসাধারণের বোধগম্যতার জন্য জমির তথ্য ও সীমানা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণের তথ্য, দানগ্রহণকারীর কর্তব্য, কর ও প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ এবং সাক্ষীর বিবরণ সহ দানের শর্তগুলি কন্নড় ভাষায় লিখিত হত।<ref name="bilingual">However by the 14th century, bilingual inscriptions lost favor and inscriptions were mostly in the local language (Thapar 2003, pp393–95)</ref>
 
==আরও দেখুন==