বেদব্যাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অজয় মন্ডল (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫ নং লাইন:
}}
 
'''ব্যাসদেব''' [[হিন্দু]] পৌরাণিক কাহিনি মতে- ঋষি বিশেষ।বিশেষ । ইনি বশিষ্ঠের প্রপৌত্র, শক্তির পৌত্র, পরাশরের পুত্র শুকদেবের পিতা।পিতা । ইনি [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মের]] প্রাথমিক প্রত্যাদিষ্ট [[হিন্দুশাস্ত্র]] হিসেবে স্বীকৃত [[বেদ|বেদের]] ব্যবহারিক-বিন্যাসকারী , পৌরাণিক মহাকাব্য [[মহাভারত]] , অষ্টাদশ মহাপুরাণমহা[[পুরাণ]] ( ভাগবতপূরাণ সহ আরও ১৭ )উপপুরাণ,উপ[[পুরাণ]] বেদান্তদর্শন, ভাগবত[[বেদান্ত]]দর্শন , প্রভৃতির রচয়িতাসংকলক এবং, বেদেরসম্পাদক বিভাগকর্তা ঋষি।অবশেষে [[সমন্বয় (হিন্দুধর্ম)|সমন্বায়ক]] এক জ্ঞানান্বেষী [[ঋষি]] ।
যমুনানদীতে খেয়া নৌকার ভিতর [[পরাশর]] মুনি সত্যবতীর সাথে মিলিত হলে, [[সত্যবতী]] গর্ভবতী হন।হন । পরে [[যমুনা]]'র একটি দ্বীপে এঁর জন্ম হয়।হয় । যমুনার দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন বলে এর নাম হয় দ্বৈপায়ন।দ্বৈপায়ন । এঁর গায়ের রঙ কালো ছিল বলে , পুরো নাম দাঁড়ায় [[কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন।দ্বৈপায়ন]] । এঁর মাথায় কপিল বর্ণের জটা ছিল।ছিল । তাঁর চোখ ছিল উজ্জ্বল ও মুখে পিঙ্গল বর্ণের দাড়ি ছিল। ইনি তপস্যাবলে মহর্ষিত্ব প্রাপ্ত হয়ে বেদকে চার ভাগে ভাগ করেছিলেন।করেছিলেন । এই কারণে ইনি ''বেদব্যাস'' বা 'ব্যাস' নামে পরিচিত হন।হন । জন্মের পরপরই ইনি তাঁর মায়ের অনুমতি নিয়ে তপস্যার জন্য যাত্রা করেন।করেন । এঁর তপস্যার স্থান ছিল বদরিকাশ্রম।[[বদরিকাশ্রম]] । এই কারণে ইনি [[বাদরায়ণ]] নামেও পরিচিত ছিলেন।ছিলেন ।
 
== [[বেদ]] বিভাগকর্তা ==
ইনি [[বেদ|বেদকে]] শতশাখাযুক্ত চার ভাগে বিভক্ত করে বেদব্যাস নামে অভিহিত হয়েছেন।হয়েছেন ।
 
== মহাভারতের লিপিকার ==
"যথাতে সংযোগ হয় বিয়োগ অবশ্য।
শরীর অনিত্য জান মরণ অবশ্য।।" মহাভারতের এরকম হাজারও শ্লোকের রচরিতা ব্যাসদেব। [[মহাভারত]] হতে জানা যায় যে -ইনি মহাভারত লিপিবদ্ধ করার জন্য [[ব্রহ্মা|ব্রহ্মার]] কাছে একজন লিপিকার নিয়োগের পরামর্শ গ্রহণ করতে গেলে- ব্রহ্মা গণেশকে নিয়োগ করতে বলেন। গণেশ এই শর্তে লিপিকার হতে সম্মত হলেন যে, লিপিবদ্ধ করার সময় ইনি ক্ষণমাত্রও থামবেন না। ব্যাস তাতে রাজী হয়ে অপর একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বললেন যে, গণেশ কোন বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ না বুঝে লিপিবদ্ধ করতে পারবেন না। এরপর গণেশ এই শর্তে রাজী হলে– মহাভারত লিখা শুরু হয়। ব্যাসদেব তাঁর শ্লোক রচনার মাঝে মাঝে কিছু জটিল শ্লোক রচনা করেতন- গণেশ এই শ্লোকগুলির অর্থ বুঝে লিখতে যে সময় ব্যয় করতেন, সেই সময়ের মধ্যে ব্যাসদেব আরও অনেক শ্লোক বানিয়ে ফেলতেন।
== বেদ বিভাগকর্তা ==
ইনি [[বেদ|বেদকে]] শতশাখাযুক্ত চার ভাগে বিভক্ত করে বেদব্যাস নামে অভিহিত হয়েছেন।
== অষ্টাদশ মহাপুরাণ ও উপপুরাণ এর রচয়িতা ==
ব্যাসদেব অষ্টাদশ মহাপুরাণমহা[[পুরাণ]]উপপুরাণউপ[[পুরাণ]] রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।করেন । বেদান্তদর্শন রচনাও ব্যাসদেব অন্যতম কৃতিত্ব।
== ভাগবত পু্রাণের রচয়িতা ==
[[বিষ্ণু]] অবতার ও [[কৃষ্ণ]] জীবনকথা নিয়ে রচিত ব্যাসদেবের এই অনবদ্য রচনায় মোট বারোটি স্কন্দ (সর্গ) ও প্রায় ১৮,০০০ শ্লোকে রয়েছে। হিন্দু সমাজে সুপরিচিত বহু উপকথার উৎস [[ভাগবত পুরাণ]]।
 
== [[মহাভারত]] ও [[ব্রহ্মসূত্র]] রচনায় [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মের]] [[হিন্দুশাস্ত্র|শাস্ত্রীয়]] [[সমন্বয় (হিন্দুধর্ম)|সমন্বয়]] ==
 
=== মহাভারত রচন ===
"যথাতে সংযোগ হয় বিয়োগ অবশ্য।অবশ্য ।
শরীর অনিত্য জান মরণ অবশ্য।।" মহাভারতের এরকম হাজারও শ্লোকের রচরিতা ব্যাসদেব।ব্যাসদেব । [[মহাভারত]] হতে জানা যায় যে -ইনি মহাভারত লিপিবদ্ধ করার জন্য [[ব্রহ্মা|ব্রহ্মার]] কাছে একজন লিপিকার নিয়োগের পরামর্শ গ্রহণ করতে গেলে- ব্রহ্মা গণেশকে নিয়োগ করতে বলেন।বলেন । গণেশ এই শর্তে লিপিকার হতে সম্মত হলেন যে, লিপিবদ্ধ করার সময় ইনি ক্ষণমাত্রও থামবেন না।না । ব্যাস তাতে রাজী হয়ে অপর একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বললেন যে , গণেশ কোন বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ না বুঝে লিপিবদ্ধ করতে পারবেন না।না । এরপর গণেশ এই শর্তে রাজী হলে– মহাভারত লিখা শুরু হয়।হয় । ব্যাসদেব তাঁর শ্লোক রচনার মাঝে মাঝে কিছু জটিল শ্লোক রচনা করেতনকরতেন- গণেশ এই শ্লোকগুলির অর্থ বুঝে লিখতে যে সময় ব্যয় করতেন, সেই সময়ের মধ্যে ব্যাসদেব আরও অনেক শ্লোক বানিয়ে ফেলতেন।
 
=== এবং [[ব্রহ্মসূত্র]] ===
ক্ষীণাঙ্গী ৫৫৫ পংক্তিতে [[বেদব্যাস]] [[হিন্দুশাস্ত্র|হিন্দুশাস্ত্রের]] প্রজ্ঞাসঙ্কলন চয়িত ক'রে নাম দিলেন '''[[সৃজকসূত্র]]''' যার পরতে পরতে প্রাচীন [[বেদ|বেদের]] অভিজ্ঞতা ও [[পুরাণ|পুরাণাদির]] অভিজ্ঞানের মহাকাব্যিক লিপায়ন [[মহাভারত]] । অবশেষে [[সৃজকসূত্র]] রচনে [[স্রষ্টা]] ও [[সৃষ্টি]] সম্পর্কিত তার যুক্তিপরম্পরা জ্ঞানান্বেষীকৌশলে [[স্রষ্টা]]-অন্বেষণ ।
 
== তথ্যসূত্র ==