সম্পাদনা সারাংশ নেই
সৈয়দআমিনুল (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সৈয়দআমিনুল (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
বাংলা ব্যাকরণের আলোচনার জন্য পণ্ডিতগণ কিছু পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার করেছেন। এ ধরনের প্রয়োজনীয় কিছু পারিভাষিক শব্দের পরিচয় নিম্নে প্রদান করা হলো। পারিভাষিক শব্দগুলো হলো প্রাতিপদিক, সাধিত শব্দ, প্রকৃতি, প্রত্যয়, উপসর্গ, অনুসর্গ ইত্যাদি।
==প্রাতিপদিক==
বিভক্তিহীন নামশব্দকে প্রাতিপদিক বলে। যেমন : হাত, বই, কলম ইত্যাদি।
==সাধিত শব্দ==▼
▲সাধিত শব্দ
মৌলিক শব্দ ছাড়া অন্যসব শব্দকে সাধিত শব্দ বলে। যেমন : হাতা, গরমিল, দম্পতি ইত্যাদি।
সাধিত শব্দ দুই প্রকার। যেমন : নামশব্দ ও ক্রিয়া।
*প্রত্যেকটি সাধিত শব্দ বা নামশব্দেরও ক্রিয়ার দুটি অংশ থাকে। যেমন : প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
===প্রকৃতি===
যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না তাকে প্রকৃতি বলে। প্রকৃতি দুই প্রকার। যেমন : নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু।
ক্রিয়া প্রকৃতি : আবার চলন্ত, জমা ও লিখিত-শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই_ চল্+অন্ত=চলন্ত (চলমান), জম্ +আ= জমা (সঞ্চিত) ও লিখ্+ইত= লিখিত (যা লেখা হয়েছে)। এখানে চল্, জম্ ও লিখ্ তিনটি ক্রিয়ামূল বা ক্রিয়ার মূল অংশ। এদের বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু।
===প্রত্যয়===
শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে শব্দ বা নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। কয়েকটি শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো :
জম্ + আ জমা
*বাংলা শব্দ গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায়। যেমন : তদ্ধিত প্রত্যয় ও কৃৎপ্রত্যয়।
== তথ্যসূত্র ==
|