পাকুইশা যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ঐতিহাসিক পটভূমি - অনুচ্ছেদ
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ভদ্রোচিত চুক্তি - অনুচ্ছেদ
৩৫ নং লাইন:
সংঘাতমুখর এলাকায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে। উভয় দেশই অন্য দেশকে [[guarantor|নিশ্চয়তাবিধানকারী]] হিসেবে যুদ্ধ বিরতি বাস্তবায়ন ও [[শান্তি]] প্রতিষ্ঠায় তদারকিতে রাখে।<ref>[http://ecuador.nativeweb.org/border/border1.html ''ecuador.nativeweb.org'']</ref>
 
আক্রমণ পরিচালনায় [[Peruvian Air Force|ফুয়ের্জা এইরিয়া দেল পেরু (এফএপি)]] [[Cessna Tটি-37৩৭#A-37B|এ-৩৭বি]], [[Dassault Mirage III|মিরাজ ৫পি]] ও [[Su-22|সু-২২]] ব্যবহার করে। এফএই ১৭৯ যুদ্ধকল্পে [[A-37 Dragonfly|এ-৩৭বি]] ও [[Mirage F-1|মিরাজ এফ-১]] বিমান এফএপি আক্রমণ মোকাবেলায় অগ্রসর হয়। ২৮ জানুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে এফএই ও এফএপির মধ্যে দুইটি এ-৩৭বি বিমানের সংঘর্ষ হয়েছিল।
 
১৯৪১ সালে ইকুয়েডর-পেরুর যুদ্ধের চুক্তমাফিকচুক্তিমাফিক পেরুর অঞ্চলে স্থাপিত পাকুইশা ফাঁড়ি দখলে ইকুয়েডরের সক্ষমতা ছিল। পেরুর অভিযান সফলতা লাভ করে। ফলসো পাকুইশার ফাঁড়িটি ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে পেরুর সেনাবাহিনী দখল করে নেয়। ইকুয়েডর-পেরুর সীমান্তে অ-নির্ধারিত এলাকায় সংঘটিত হওয়া সংঘর্ষটি ইকুয়েডরের সাথে যুদ্ধবিরতির পর্যায়ে গেলেও তারা এ থেকে সরে আসে ও কর্ডিলেরা ডেল কন্ডর সম্মেলনের দিকে ধাবিত করে।
 
ফলাফলস্বরূপ পেরু ও ইকুয়েডর সরকার প্রত্যেকের নিশ্চয়তাবিধানকারী দেশের সহায়তায় তাদের বাহিনীকে নিবৃত্ত করে। এই [[gentleman's agreement|ভদ্রোচিত চুক্তি]] ১৯৮০-এর দশকে বিরোধপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে শুরু করে নিয়মিত প্রহরার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
 
== ভদ্রোচিত চুক্তি ==
১৯৪১ সালের দূর্যোগ এড়ানোর পর বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি এড়াতে ও ইকুয়েডরের সম্ভাব্য দক্ষিণাংশ আগ্রাসন মোকাবেলার্থে শীর্ষপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ পঁচিশ হাজার ব্যক্তির সমন্বয়ে জেনারেল [[Richelieu Levoyer|রিচেলিউ লেভয়ের]] নেতৃত্বে প্রতিরক্ষামূলক কাজে অংশ নিবে।নেয়।
 
তখনো ইকুয়েডরীয় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় আটদিনের মধ্যে নীতিগত অভিযান পরিচালনার কথা ভাবা হচ্ছিল। লেভয়ের সকল কর্মকর্তা, অস্ত্রশস্ত্র, রসদ সরবরাহ ইত্যাদির সমন্বয়ে নতুন পরিকল্পনা প্রদান করেন। এতে তাঁরা চব্বিশ ঘন্টা সেনাবাহিনীতে থাকবে ও প্রতিরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।করার সিদ্ধান্ত নেয়।
 
পেরুর সেনাবাহিনী খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে সশস্ত্র সরঞ্জামাদি একত্রিত করে বিস্ময়ান্বিত করে। এরফলে লেভয়ের ও তাঁর লোকেরা পেরুর উত্তরাংশ দখলে ট্যাংক বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পরিখায় ফাঁদ তৈরি ও অন্যান্য বিষয়াদি বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়।
৪৯ ⟶ ৫০ নং লাইন:
সৌভাগ্যবশতঃ এ বিষয়টি সাধারণ যুদ্ধে পরিণত হয়নি যাতে উভয় দেশের বিপুল ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারতো। সর্বত্র সম্ভাব্য মোকাবেলা এড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দুই দেশের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের মধ্যকার সরাসরি আলাপ-আলোচনা চিলি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের কাছাকাছি ইকুয়েডরের এল অরো প্রদেশের হুয়াকুইলাস শহরের সীমান্তে ও পেরুর তাম্বেস বিভাগের আগুয়াস ভার্দেসে আলাপ-আলোচনাগুলো হয়েছিল। এর ফলাফল হিসেবে সরোসা-দু-বইস আইন প্রণয়ন করা হয়।
 
সরাসরি আলোচনাচক্রে অংশগ্রহণকারীরাই সম্ভাব্য সম্মুখ সমরে অংশ নিতেন। আলোচনা চলাকালেও লেভয়ের যুদ্ধকৌশল তাঁর লোকদের সাহস ও প্রতিপক্ষের নৈতিকতার মধ্যে থাকলেও প্রতিদিন সকাল ছয়টায় শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি সেনা কার্যক্রম ও বাহিনীর অন্যান্য বিষয়ে যোগ দিতেন। এ আলোচনায় অংশগ্রহণকারী লেভয়েরকে তাঁর মন্ত্রণাদাতারা তাঁকে অনমনীয় মনোভাবের অধিকারীরূপে চিত্রিত করেন।
 
== পরবর্তী ঘটনা ==
সীমান্তে সহিংসতা চলতে থাকে। ১৯৯৮ সালে [[Brasilia Presidential Act|ব্রাসিলিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল অধ্যাদেশের]] মাধ্যমে [[History of the Ecuadorian-Peruvian territorial dispute#Resolution and arbitration|ইকুয়েডর-পেরুর অঞ্চলের বিরোধ]] নিষ্পত্তি হয়। পুরো জানুয়ারি মাসেই সহিংসতা চলেছিল। ঐ মাসেই [[Rio Protocol|রিও প্রটোকল]] স্বাক্ষরিত হয়। সীমান্তে চিহ্নিতকরণে অনেকগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা থাকা স্বত্ত্বেও চুক্তি বাস্তবায়ন ঐ সময়ে সম্ভব হয়নি।
 
কর্ডিলেরার উপরে-নীচে উভয় দেশেরই অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি নির্মিত হয় ও অঞ্চলটি সামরিকায়ন হয়ে যায়। পেরুর ঘাঁটিগুলো হেলিকপ্টারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। অন্যদিকে ইকুয়েডরের ঘাঁটিগুলো নুড়ি পাথরের রাস্তায় বিভিন্ন সামরিক ফাঁড়িতে যোগাযোগের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়।
 
কিছু সূত্র দাবি করে যে, ইকুয়েডরের সীমান্ত চিহ্নিতকরণ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ঘরোয়া অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে।
 
ইউএসআইপি'র ভাষ্য মোতাবেক জানা যায়, যুদ্ধ শেষে ইকুয়েডরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় মতামত জরীপ পরিচালনা করে। এতে রিও প্রটোকলের অকার্যকারিতা ও ইকুয়েডরের [[আমাজন নদী|আমাজন নদীতে]] প্রবেশের সার্বভৌমত্ব দাবী করা হয়। ১৯৮৩ সালে ইকুয়েডরের কংগ্রেস রিও প্রটোকলের অকার্যকারিতার বিষয়ে তার অবস্থান পুণর্ব্যক্ত করে।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
 
== আরও দেখুন ==
* [[গ্রান কলম্বিয়া]]
* [[জুয়ান জার্মান রসিও]]
* [[ফ্রান্সিস্কো দ্য মিরান্ডা‎‎]]
* [[প্রাক-কলম্বীয় ইকুয়েডর]]
 
== আরও পড়ুন ==