দেবীভাগবত পুরাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪১ নং লাইন:
 
চতুর্থ স্কন্ধে আরও কয়েকটি কিংবদন্তি উল্লিখিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে [[কৃষ্ণ]] ও শিবের কথোপকথনটিও। এই স্কন্ধে তান্ত্রিক বিষয় ও যোগধ্যানের বিষয়গুলিও আলোচিত হয়েছে।{{Sfn|Rocher|1986|p=169}} রোচার বলেছেন, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্কন্ধে পূর্ববর্তী কিংবদন্তিগুলির পরবর্তী অংশ বর্ণিত হয়েছে। এই দুই স্কন্ধের অর্ধেক অধ্যায়ে দেবীর শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো হয়েছে। এখানে দেখা গিয়েছে, পুরুষ দেবতারা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে তাঁর কাছে ছুটে যাচ্ছেন এবং তিনি নিজে যেহেতু মূর্তিমতী প্রজ্ঞা, সেহেতু সহজেই দেবতাদের সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছেন।{{Sfn|Rocher|1986|pp=169-170}}{{Sfn|C Mackenzie Brown|1990|pp=201-216}} এই গ্রন্থে দেখা যাচ্ছে সকল পুরুষ দেবতারা দেবীর অধীনস্থ ও দেবীর উপর নির্ভরশীল।{{Sfn|Lynn Foulston |Stuart Abbott|2009|pp=73-74}}
 
===দর্শন: ৭ম থেকে ৯ম স্কন্ধ===
[[File:Bhuvaneshwari temple in the Mysore Palace grounds.jpg|thumb|[[মহীশূর রাজবাড়ি]] চত্বরে অবস্থিত ভুবনেশ্বরী মন্দির। এই পুরাণের ৭ম স্কন্ধে ভুবনেশ্বরীকে সর্বোচ্চ দেবী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।{{Sfn|Tracy Pintchman|2014|p=26-28}}]]
''দেবীভাগবত পুরাণ'' গ্রন্থের সপ্তম স্কন্ধে বিষয়বস্তু অনেকটা দর্শনের দিকে বাঁক নিয়েছে। এই অংশে বেদের সারমর্মের শাক্ত ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে।{{Sfn|Rocher|1986|p=170}} ''দেবীগীতা'' এই স্কন্ধেরই অন্তর্গত।{{Sfn|Rocher|1986|p=170}}{{Sfn|Cheever Mackenzie Brown|1998|p=1-2, 85-98}} দেবী ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনিই জগৎ সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্ম। এখানে [[অদ্বৈত বেদান্ত|অদ্বৈত]] মত অনুসরণ করে বলা হয়েছে যে, আধ্যাত্মিক মুক্তি তখনই লাভ করা যায় যখন ব্যক্তির নিজের আত্মার সঙ্গে ব্রহ্মের অভেদত্ব অনুধাবন করতে পারে।{{Sfn|Rocher|1986|p=170}}{{Sfn|Cheever Mackenzie Brown|1998|p=12-17}} দেবীর মতে, নিজেকে জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজ আত্মার ধ্যানে রত হলে এই জ্ঞান অর্জন করা যায়।।{{Sfn|Rocher|1986|p=170}}{{Sfn|Tracy Pintchman|2015|pp=131-138}}
 
==আরও দেখুন==