'''ঈসা খাঁ''' বাংলার [[বারো ভুঁইয়া]] প্রধান। ঈসা-খাঁ এবং বারো জন জমিদার একসাথে বাংলায় স্বাধীনভাবে জমিদারী স্থাপন করে। ঈসা-খাঁর বাংলো বাড়ি কিশোরগঞ্জে অবস্থিত। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সেইসময়ের জমিদার [[কুইচ রাজা|কুইচ রাজাকে]] সিংহাসন চ্যুতসিংহাসনচ্যুত করে বাংলো বাড়িটি র্নিমান করেন। ১৫৭৫ সালে সম্রাট আকবর বাংলা বিজয়ের পর বারো ভূঁইয়াদের ক্ষমতা কমে যায়। তখন সম্রাট আকবর বারো ভূঁইয়াদের ক্ষমতা থেকে সরাতে অভিযান করেন,কিন্তু ব্যর্থ হন। তখন সম্রাট আকবরের সেনাপতিকে পাঠান ঈসা-খাঁকে হত্যার জন্য কিন্তু বীর ঈসা-খাঁর সাথে সেনাপতি যুদ্ধে পরাস্থ হন। ঈসা-খাঁর অনেক নিদর্শন কিশোরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রিতেলাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে।
বারো ভূঁইয়াদের নেতা ছিলেন।মুঘলছিলেন। মুঘল সেনাপতি মানসিংহ জীবনে দুব্যক্তিকেদুই ব্যক্তিকে পরাজিত করতে পারেননি-চিতরের রানা প্রতাপ সিং ও ঈসা খাঁ। ১৫৩৭ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল পরগণায় ঈসা খাঁর জন্ম।তাঁর পিতা কালিদাস গজদানী ভাগ্যান্বেষণে অযোধ্যা থেকে গৌড়ে এসে স্বীয় প্রতিভা গুণে রাজস্বমন্ত্রী পদে উন্নীত হন।পরেহন। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁর নাম হয় সুলাইমান খাঁ।তিনিখাঁ। তিনি সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের (১৫৩৩-৩৮) মেয়েকে বিয়ে করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ারব্রাহ্মনবাড়িয়ার সরাইল পরগণা ও পূর্ব মোমেনশাহী অঞ্চলের জায়গীরদারী লাভ করেন। ১৫৪৫ সালে শের শাহের পুত্র ইসলাম শাহ দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করার পর সুলাইমান খাঁ দিল্লীর আনুগত্য অস্বীকার করলে কৌশলে তাঁকে হত্যা করে তাঁর দুই নাবালক পুত্র ঈসা খাঁ এবং ইসমাইল খাঁকে একদল তুরানী বণিকের নিকট বিক্রি করা হয়। ১৫৬৩ সালে ঈসা খাঁর চাচা কুতুব খাঁ রাজকার্যে নিযুক্তি লাভ করে বহু অনুসন্ধানের পর সুদূর তুরান দেশের এক ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছ থেকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ২ ভ্রাতুস্পুত্রকে উদ্ধার করেন। এ সময় ঈসা খাঁর বয়স মাত্র ২৭ বছর।সুলতানবছর। সুলতান তাজ খাঁ কররানী (১৫৬৪-৬৫) সিংহাসনে আরোহণ করেকরেন।
ঈসা খাঁকে তাঁর পিতার জায়গীরদারী ফেরত দেন। বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খাঁ কররানীর রাজত্বকালে (১৫৭২-৭৬) ঈসা খাঁ বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করেন অসাধারণ বীরত্বের জন্যে।