০ (সংখ্যা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rahul amin roktim (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২৯ নং লাইন:
 
==উৎপত্তি==
ইংরেজিতে জিরো (ইং: ''zero'') শব্দটি এসেছে [[ভেনিস|ভেনিশিয়]] শব্দ জিরো (''zero'') থেকে যা আবার [[ইতালি|ইতালিয়]] জিফাইরো (''zefiro'' জেফিরো) থেকে পরিবর্তিত হয়ে এসেছিল। ইতালীয় জিফাইরো শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ "সাফাইর" বা "সাফাইরা" (صفر) থেকে যার অর্থ "সেখানে কিছু ছিল না"। এই শব্দটিই পরবর্তীতে [[ভারত|ভারতীয়]] [[সংস্কৃত|সংস্কৃতে]] অনুদিত হয়েছে শ্যুন্যেয়া (শ্যূন্য) যার অর্থ খালি বা ফাঁকা। ইংরেজি শব্দ জিরোর প্রথম ব্যাবহারব্যবহার পাওয়া যায় ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে।<ref>{{cite book |title=Number words and number symbols: a cultural history of numbers |first1=Karl |last1=Menninger |publisher=Courier Dover Publications |year=1992 |isbn=0-486-27096-3 |page=401 |url=http://books.google.com/books?id=BFJHzSIj2u0C}}</ref><ref>{{cite web|title="zero, n.". OED Online. December 2011. Oxford University Press. (accessed March 04, 2012).|url=http://www.oed.com/view/Entry/232803?rskey=zGcSoq&result=1&isAdvanced=false|work=|archiveurl=http://www.webcitation.org/65yd7ur9u|archivedate=6 March 2012|deadurl=no|accessdate=2012-03-04}}</ref><ref>[http://www.oed.com/view/Entry/33155 "cipher | cypher, n.". OED Online. December 2011. Oxford University Press. (accessed 4 March 2012).]</ref><ref>[http://www.merriam-webster.com/dictionary/zero Merriam Webster online Dictionary]</ref>
 
৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে [[পারস্য|পারস্যের]] মুসলিম বিজ্ঞানি [[মোহাম্মদ ইবন আহমাদ আল-খাওয়ারিজমি]] তাঁর বিজ্ঞানগ্রন্থ "বিজ্ঞানের চাবি"-তে বলেন, {{cquote|যে গাণিতিক হিসাবের সময় যদি দশকের ঘরে কোন সংখ্যা না থাকে তাহলে সামঞ্জস্য রাখার জন্য একটি ছোট্ট বৃত্ত দিয়ে তা পূরণ করা যেতে পারে।}} সেই ছোট বৃত্তকে তিনি সিফার (صفر) নামে অবিহিত করেন। তার উল্লিখিত এই সিফারই বর্তমান যুগের জিরো বা শূন্য।<ref name="Durant">[http://www.archive.org/details/ageoffaithahisto012288mbp Will Durant, '' 'The Story of Civilization''', Volume 4, '''The Age of Faith''', pp. 241.]</ref>
৩৫ নং লাইন:
==ইতিহাস==
===প্রাচীন মিশর===
প্রাচীন মিশরীয় সংখ্যাগুলো ছিল দশ ভিত্তিক। তাদের সংখ্যাগুলো স্থানভিত্তিক না হয়ে চিত্র ভিত্তিক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৭৪০ সালের দিকে মিশরিয়রা আয়কর ও হিসাবরক্ষণের জন্য শূন্যের ব্যাবহারব্যবহার করত। তাদের চিত্রলিপিতে একটি প্রতীক ছিল যাকে "নেফর" বলা হতো, যার অর্থ হল "সুন্দর"। এই প্রতীকটি তাঁরা শূন্য এবং দশকের ভিত্তি হিসেবে ব্যাবহার করত। প্রাচীন মিশরীয় পিরামিড ও অন্যান্য স্থাপনায় এধরনের সংখ্যার ব্যাবহারব্যবহার পাওয়া যায়।<ref>{{cite book|page=86 |title=The Crest of the Peacock: Non-European Roots of Mathematics (Third Edition) |author=George Gheverghese Joseph|isbn=978-0-691-13526-7 |publisher=Princeton |year=2011}}</ref>
===মেসোপটেমীয় সভ্যতা===
খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাবিলনীয় গণিতবিদরা ছয়ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবস্থার প্রবর্তন ও উন্নয়ন করে। শূন্য সংখ্যাটির অভাব তারা ছয়ভিত্তিক সংখ্যার মধ্যে একটি খালি ঘর রেখে পূরণ করত। খৃষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দের দিকে দুটি যতিচিহ্ন প্রতীক এই ফাঁকা যায়গা দখল করে নেয়। প্রাচীন মেসোপটেমীয় শহর সুমের থেকে প্রাপ্ত একত্ব শিলা লিপি থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে প্রাচীন লেখক বেল বেন আপ্লু তার লিখায় দুটি যতিচিহ্ন প্রতীক ব্যবহারের বদলে একই "হুক" দিয়ে শূন্যকে প্রকাশ করেছেন।<ref name="multiref1">Kaplan, Robert. (2000). ''The Nothing That Is: A Natural History of Zero''. Oxford: Oxford University Press.</ref>