সুতানুটি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২৮ নং লাইন:
উত্তরে [[হালিশহর]] থেকে দক্ষিণে [[কালীঘাট]] (কোনো কোনো মতে [[বড়িশা]]) পর্যন্ত প্রসারিত একটি রাস্তা ছাড়া এই অঞ্চলে কোনো উল্লেখযোগ্য রাস্তা অতীতে ছিল না। কোনো কোনো লেখক এই রাস্তাটিকে তীর্থপথ বলে বর্ণনা করেছেন। শেঠ পরিবার এই রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। জগন্নাথ শেঠ এই রাস্তার দুই ধারে বৃক্ষরোপণ করেছিলেন। এছাড়া [[জোড়াবাগান|জোড়াবাগানে]] তাঁদের বাগানবাড়ি ও পুরনো ফোর্ট উইলিয়ামের সংযোগরক্ষাকারী রাস্তাটিরও দেখাশোনা করতেন শেঠেরা। ১৭২১ সালে কয়েকটি রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু অধিকাংশ রাস্তাই নির্মিত হয়েছিল ১৭৫৭ সালের পরে।<ref>Bagchi, Amiya Kumar, ''Wealth and Work in Calcutta 1860 – 1921'', in ''Calcutta, the Living City'', Vol I, p. 229.</ref>
 
শহরের বিকাশলাভের পর এখানে গড়ে ওঠে নানা পাড়া। মেছুয়াবাজার (বর্তমান [[জোড়াসাঁকো]]) ছিল একটি মাছের বাজার। কলুটোলা ছিল কলু অর্থাৎ তেলপ্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ীদের প্রধান আস্তানা ও ব্যবসাকেন্দ্র। [[কুমারটুলি]] অঞ্চলের নামকরণ হয় এখানকার কুমোর অর্থাৎ মৃৎশিল্পীদের নামানুসারে। জোড়াবাগানের আদিনাম ছিল শেঠবাগান; এখানে ১১০ বিঘা জমির উপর শেঠ পরিবারের একটি বাগানবাড়ি ছিল। আরও উত্তরে গড়ে ওঠে সেযুগের কলকাতার বাঙালি অভিজাতপল্লি [[বাগবাজার]] ও [[শ্যামবাজার]]। [[হুগলি জেলা|হুগলি অঞ্চল]] থেকে বসু ও পাল পরিবার কলকাতায় এসে বোসপাড়া গড়ে তোলেন। মনে করা হয়, বসু পরিবারের আদিপুরুষ নিধুরাম বসু ইংরেজদেরও আগে সুতানুটিতে পদার্পণ করেছিলেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার গাছের নামেও অঞ্চলগুলির নামকরণ করা হত। যেমন বড়তলার নামকরণ করা হয় জোড়া বটগাছের নামানুসারে এবং তালতলার নামকরণ করা হয় তালগাছের নামানুসারে। সেযুগে [[এন্টালি]] ছিল লবনলবণ হ্রদ এবং [[বালিগঞ্জ]] ও রসাপাগলা (অধুনা [[টালিগঞ্জ]]) নিঝুম গ্রাম।<ref name = "Nair">Nair, P. Thankappan, ''The Growth and Development of Old Calcutta'', in ''Calcutta, the Living City'', Vol I, pp. 11-18.</ref>
 
১৭৪২ সালে মারাঠা [[বর্গি|বর্গিদের]] সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য পুরনো কলকাতাকে ঘিরে একটি তিন মাইল দীর্ঘ পরিখা খনন করা হয়। এটির নাম ছিল [[মারাঠা খাত]]। মারাঠারা শেষ পর্যন্ত কলকাতা আক্রমণ করেনি। ১৭৫৬ সালে বর্তমান [[শিয়ালদহ|শিয়ালদহের]] নিকট সিরাজদ্দৌলা অতি সহজেই এই খাত অতিক্রম করে কলকাতা আক্রমণ করেন। এই সময় কলকাতার শ্বেতাঙ্গ বসতির চারিদিকে শক্ত বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে একটি ‘white ghetto’ বা ‘শ্বেতাঙ্গ সীমাবদ্ধতা’র সমস্যা উদ্ভূত হয়।<ref name = "Lahiri">Lahiri Choudhury, Dhriti Kanta,''Trends in Calcutta Architecture'', in ''Calcutta, the Living City'', Vol I, pp. 156-157.</ref>