রসায়ন ও রসায়নবিদের ইতিহাস পরষ্পরপরস্পর সংযুক্ত। রসায়নের শিকড় খুঁজতে হলে দহনের ইতিহাস খুঁজতে হবে। আগুন আবিষ্কারের পর থেকেই মূলত রসায়নের সূচনা হয়েছে। আগুন হচ্ছে সেই মহাজাগতিক শক্তি যা এক বস্তুকে অন্য বস্তুতে রুপান্তরের ক্ষমতা রাখে। আগুন ছিলো মানবসভ্যতার প্রথম দিকের মহা আগ্রহের বস্তু। আগুনের হাত ধরে মানুষ আবিষ্কার করে লোহা। শুরু হয় লৌহ যুগের। পরে আবিষ্কার করে কাচ। এর পরে আবিষ্কৃত হয় সোনা। সোনা সব থেকে মূল্যবান ধাতুর মর্যাদা লাভ করে। অনেক ব্যক্তি ধাতুকে সোনায় পরিনত করার পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালায়। কেউ পরশপাথরের সন্ধান চালায়। কেউ করে গবেষণা। এর ফলে বিজ্ঞানের একটা শাখার উদ্ভব ঘটে। প্রথম দিকে যাকে বলা হতো আলকেমি। রসায়নবিদের ইংরেজী কেমিস্ট শব্দটি এসেছে [[লাতিন]] বিশেষ্য ‘“কেমিস্তা”’ থেকে যা ‘“আলকেমিস্তা”’র সংক্ষিপ্ত রূপ। আর আলকেমিস্টের সূচনা ঘটে ইসলামী বিজ্ঞানীদের হাতে। আলকেমিস্টগণ অনেক রাসায়নিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। যার হাত ধরে আধুনিক রসায়ন পূর্ণতা পেয়েছে। ১৭৮৩ সালে এন্টোনি ল্যাভয়শিয়ে ভরের নিত্যতা সূত্র আবিষ্কার করেন। তার হাত ধরেই আধুনিক রসায়নের পথচলা শুরু হয়। আবিষ্কৃত হয় ১০৯ টি মৌলিক পদার্থ। আবিষ্কৃত মৌলগুলোকে পর্যায় সারণীতে সজ্জিতকরেন [[দিমিত্রি মেন্ডেলিফ]]।