ব্ল্যাকবিয়ার্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১৮ নং লাইন:
|laterwork=
}}
'''এডওয়ার্ড টীচ''' (সি. ১৬৮০ - ২২ নভেম্বর, ১৭১৮), ('''ব্ল্যাকবিয়ার্ড''' নামেই অধিক পরিচিত) ছিলেন একজন কুখ্যাত ইংরেজ [[জলদস্যু]] যিনি [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ]] ও পূর্ব উপকূলে আমেরিকান উপনিবেশে বিচরন করতেন। তার প্রারম্ভিক জীবন সম্পর্কে খুব অল্প জানা যায়। মনে করা হয় তিনি [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] [[ব্রিস্টল|ব্রিস্টলে]] জন্মগ্রহন করেন। প্রথম দিকে তিনি সম্ভবত ''রাণী অ্যানর যুদ্ধের'' সময় জাহাজের প্রাইভেটিয়ার (শত্রু-জাহাজ আক্রমণ ও লুণ্ঠনের অধিকারপ্রাপ্ত বেসরকারী জাহাজ) ছিলেন। যুদ্ধের পর তিনি ১৭১৬ সালের দিকে [[বাহামা দ্বীপপুঞ্জ|বাহামেইন দ্বীপপুঞ্জের]] [[বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড|ক্যাপ্টেন হর্নিগোল্ডের]] বেসে জাহাজের কর্মী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে [[বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড|হার্নিগোল্ড]] তাকে দখল করা একটি পাল তোলা ছোট জাহাজের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করে। এই দুইজন জলদস্যুতার অনেক ঘটনায় জড়িত। পরবর্তীতে তারা আরো দুটি জাহাজের মালিক হন যার মধ্যে একটি [[স্টিডি বোনেট|স্টিডি বোনেটের]] অধীনে ছিল। কিন্তু ১৭১৭-এর শেষ দিকে [[বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড|হার্নিগোল্ড]] তার সঙ্গে দুটি জাহাজ নিয়ে জলদস্যুতা থেকে অবসর গ্রহনগ্রহণ করে।
 
টীচ একটি ফরাসি বণিক জাহাজ দখল করে ও ৪০টি বন্দুকে সজ্জিত করে জাহাজটিকে [[কুইন অ্যানি’স রিভেঞ্জ]] নামকরন করেন। ক্রমেই তিনি বিখ্যাত জলদস্যুতে পরিণত হন এবং তার ব্ল্যাকবিয়ার্ড নামটি দেওয়া হয়েছিল তার লম্বা কালো দাড়ি ও ভীতিকর চেহারার জন্য। কিংবদন্তী প্রচলিত, তিনি তার বিখ্যাত দাড়িতে ঘষে আগুন ধরাতে পারতেন। তিনি দক্ষিণ ক্যারোলিনার কার্লিস্টোন বন্দরে দস্যুদের একটি জোট গঠন করেন। এখানকার অধিবাসীদের কাছ থেকে সাফল্যের সাথে মুক্তিপন আদায়ের পর তিনি তার কুইন এ্যানা’স রিভেঞ্জ নিয়ে উত্তর ক্যারোলিনার বিউফোর্টের কাছে একটি জলায় আটকে যান। তিনি বাথ শহরে রাজকীয় ক্ষমা পান কিন্তু শীঘ্রেই তিনি সমুদ্রে জলদস্যুপনায় ফিরে যান এবং বিষয়টি ভার্জিনিয়ার শাষক আলেক্সজেন্ডার স্পটস্‌উডের দৃষ্টিতে আসে। স্পটস্‌উড নাবিক ও সৈন্যদের সমন্বয়ে একটি বাহিনী গঠন করে ব্ল্যাকবিয়ার্ডকে ধরতে অভিযান চালায়। অবশেষে ২২ নভেম্বর ১৭১৮ সালে একটি হিংস্র যুদ্ধে লেফটেনান্ট রবার্ট ম্যানার্ডের নেতৃত্বে একটি ছোট নাবিক দলরে হাতে ব্ল্যাকবিয়ার্ড ও তার জাহাজের কিছু কর্মী নিহত হন।
২৮ নং লাইন:
 
== নিউ প্রোভিডেন্স ==
উপনিবেশবাদ, বাণিজ্য ও জলদস্যুতার ইতিহাসে ১৭ ও ১৮-শতকে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ]] ছিল অনেক সামুদ্রিক ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু। এসময় অনেক প্রাইভেটিয়ার জলদস্যুতে পরিনত হয়েছিল। প্রাইভেটিয়ার ও পরবর্তীতেপরবর্তীকালে জলদস্যু হেনরি জেনিংস ও তার দলবল মিলে সমুদ্রাভিযান পরিচালনার জন্য নিউ প্রোভিডেন্সের জনবসতিহীন দ্বীপপুঞ্জকে তাদের জলদস্যুতার কেন্দ্রে পরিনত করেছিল। কারন এই অঞ্চলটি ছিল [[ফ্লোরিডা]] যাতায়াতের সহজ পথ, এছাড়াও প্রচুর ইউরোপীয়ান বণিক জাহাজ এই পথ দিয়ে [[আটলান্টিক মহাসাগর|আটলান্টিক]] পাড়ি দিত। নিউ প্রোভিডেন্সের হার্বারে একসাথে শত-শত জাহাজ নোঙ্গর করে রাখা যেত ও রয়্যাল নেভির জাহাজ এখানে খুব বেশি নোঙ্গর করত না। বর্তমানে এই জায়গা যেমন পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু পূর্বে এমনটি ছিল না, লেখক জর্জ উডবারি বলেন, এই অঞ্চলটি বসবাসের জন্য তখন মোটেও উপযুক্ত ছিল না। সাধারনত লোকজন এখানে সাময়িকভাবে ব্রিশামের জন্য আসত। এখানে স্থায়ী আবাস ছিল শুধুমাত্র স্থানীয় [[জলদস্যু]] ও তাদের সঙ্গীদের।<ref>{{Harvnb|Woodbury|1951|pp=71–72}}</ref> এই অঞ্চলে কোন আইন ছিল না এবং রয়্যাল নেভির কোন নাবিকও এই বন্দরে ভিড়ত না, এখানে শুধু জলদস্যুদের স্বাগতম জানানো হত।<ref>{{Harvnb|Lee|1974|pp=9–11}}</ref>
 
টীচ ছিল তাদের মধ্যে একজন যিনি এই দ্বীপের সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করেছিল। সম্ভবত প্রাইভেটিয়ার হিসেবে নাম লেখানোর পর জ্যামাইকা থেকে তিনি যুদ্ধে অংশ নিতে এই দ্বীপে এসেছিলেন এবং অন্য অনেকের সাথে জলদস্যুতাতে যোগ দিয়েছিলেন। মনে করা হয়, ১৭১৬-এর দিকে তিনি [[বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ড|বেঞ্জামিন হর্নিগোল্ডের]] জাহাজে কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। হর্নিগোল্ড ছিলেন আরেক কুখ্যাত জলদস্যু যিনি নিউ প্রোভিডেন্সের জলসীমায় তার জলদস্যুতা পরিচালনা করতেন। ১৭১৬ সালে হর্নিগোল্ড টীচকে পুরস্কার হিসেবে পাওয়া একটি ছোট জাহাজের ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত করেন।<ref>{{Harvnb|Lee|1974|pp=11–12}}</ref> ১৭১৭-এর প্রথম দিকে হার্নিগোল্ড ও টীচ দুজন মিলে মেইনল্যান্ডের দিকে যাত্রা করেন। তারা হাভানার বাইরে ১২০ ব্যারেল ময়দা বহনকারী একটি নৌকা দখল করে ও এর কিছুদিন পরই বারমোডার বাইরে থেকে ১০০ ব্যারেল ওয়াইনসহ একটি ছোট জাহাজ লুট করে। তারও কিছুদিন পর তারা মাদিরা থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লসস্টোন-এর দিকে যাত্রা করা একটি ভেসেল আটক করেন। এই সময়ের মধ্যে টীচ ও তার সহযোগী উইলিয়াম হাওয়ার্ড{{#tag:ref|Benjamin Hornigold may at this time have already parted company with Teach and his two vessels. If this was the case, William Howard would have been left in command of Teach's other sloop.|group="nb"}} সম্ভবত তার ক্রুদের সামলাতে ব্যাস্ত হয়ে পরে।