বোহেমিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Dexbot (আলোচনা | অবদান)
Removing Link FA template (handled by wikidata) - The interwiki article is not featured
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৬ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
প্রাচীনকালে এখানে কেল্টীয় বোইয়াই (Boii) জাতি বাস করত। তাদের নাম থেকেই এই অঞ্চলের নাম বোহেমিয়ার উৎপত্তি বলে অনুমান করা হয়। খ্রিস্টীয় ১ম থেকে ৫ম শতকের মধ্যে চেক জাতি কেল্টীয়দের এখান থেকে বিতাড়িত করে। প্রথমে অশ্বারোহী যাযাবর আভার্জ জাতি ও পরবর্তীতেপরবর্তীকালে মোরাভীয়রা এটি দখলে নেয় এবং সাধু সিরিক ও সাধু মেথোডিয়াসের প্রচারণার ফলে একটি খ্রিস্টান দেশে পরিণত হয়। তারপর ৯ম শতকে এটি পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের একটি ডিউক-শাসিত অঞ্চলে (Duchy ''ডাচি'') পরিণত হয়। পরে বোহেমিয়ার প্রেমিস্‌ল বংশের ডিউকেরা মোরাভিয়া ও সাইলেসিয়ার অধিকাংশ দখল করেন এবং ১১৯৮ সালে রাজা ১ম অটোকার এই বংশের প্রথম উত্তরাধিকারমূলক রাজত্ব সূচনা করেন। তার পৌত্র রাজা ২য় অটোকার যদিও বর্তমান অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির বহু নতুন এলাকা জয় করেছিলেন, সেগুলি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৩০৬ সালে প্রেমিস্‌ল বংশের পতন ঘটে। এরপর লুক্সেমবুর্গের রাজা ৪র্থ চার্লস বোহেমিয়ার রাজা হন। তাঁর শাসনকাল ছিল বোহেমিয়ার স্বর্ণযুগ। তিনি বোহেমিয়াতে মধ্য ইউরোপের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। এরপর তিনি বোহেমিয়ার প্রথম শাসক হিসেবে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট হন।
 
১৫শ শতকে বোহেমিয়াতে শাসকবর্গের সাথে হুসাইটদের যুদ্ধের ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পড্‌ইয়াব্রাডির জর্জ অবশেষে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই ছিলেন বোহেমিয়ার শেষ স্থানীয় রাজা। এরপর বোহেমিয়া প্রথমে হাঙ্গেরির রাজাদের হাতে এবং তারপর ১৫২৬ সালে হাব্‌সবুর্গ রাজবংশের শাসনাধীনে আসে এবং ১৬১৮ সাল পর্যন্ত তাদের অধীনে থাকে। ১৬১৮ সালে সম্রাট মাথাউস ধর্মীয় স্বাধীনতা বাতিল করলে বোহেমিয়ার আইনসভা হাব্‌সবুর্গ বংশীয় রাজা (যিনি পরবর্তীতে সম্রাট ২য় ফের্ডিনান্ড হন) ক্ষমতাচ্যুত করে এবং সেই জায়গায় প্রোটেস্টান্ট ৫ম ফ্রেডেরিককে ক্ষমতায় বসায়। এর ফলে ৩০ বছরের যুদ্ধ শুরু হয় (১৬১৮-১৬৪৮)। শ্বেত পর্বতমালায় প্রোটেস্টান্টদের পরাজয় ঘটে এবং চেকরা তাদের স্বাধীনতা হারায়। বোহেমিয়াতে পুনরায় হাব্‌সবুর্গ আধিপত্য সৃষ্টি হয় এবং দেশটির প্রবলভাবে জার্মানীকরণ শুরু হয়। ১৮৪৮ সালে এক বিপ্লবে চেক জাতীয়তাবাদের উগ্র প্রকাশ ঘটে এবং পরের বছরের মধ্যেই তা দমন করা হয়। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে চেকোস্লোভাকিয়ার অংশ হিসেবে বোহেমিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৩৮ সালে বোহেমিয়া, মোরাভীয়া ও সাইলেসিয়ার সীমান্তের জার্মান-প্রধান সুডেটেন অঞ্চল নাৎসি জার্মানিকে মিউনিখ চুক্তি অনুসারে দিয়ে দেয়া হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানি বোহেমিয়া আক্রমণ করে এবং এটিকে দখলে আনে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে নাৎস জার্মানির পরাজয়ের পর এটি ১৯৩৮ সালের আগের সীমান্তে ফেরত যায় এবং বোহেমিয়ার জার্মান ভাষাভাষীদের বিতাড়িত করা হয়। বর্তমান বোহেমিয়ার প্রায় সব অধিবাসী চেক। ১৯৪৮ সালে বোহেমিয়া প্রদেশটি উঠিয়ে দিয়ে সেখানে প্রাগ শহর এলাকাসহ দশটি প্রশাসনিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়।