ফিরোজ শাহ তুগলক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২৭ নং লাইন:
[[চিত্র:Upper floors of Qutb Minar, Delhi.jpg|left|180px|thumb|দিল্লিতে অবস্থিত কুতুব মিনার যা ফিরোজ শাহ তুগলক ১৩৬৮ সালে পূনর্নিমান করেন]]
[[চিত্র:Feroze Sha's tomb with adjoining Madrasa.JPG|right|200px|thumb|[[দিল্লি|দিল্লিতে]] একটি মাদরাসা সংলগ্ন ফিরোজ শাহের মাজার।]]
ফিরোজ শাহ তুগলক তার রাজ্য তথা প্রজাদের প্রকৃত উন্নয়নের লক্ষে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রুপরেখা নির্ধারন করেন। তিনি জনগনের কাছে শিক্ষা পৌছে দেওয়ার জন্য অনেক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গরীব প্রজাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য অনেক হাসপাতাল স্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি ডাক্তারদের ইউনানি চিকিৎসা ব্যাবস্থা উন্নত করার জন্য উৎসাহ দিতেন<ref>Tibb Firoz Shahi (1990) by [[Hakim Syed Zillur Rahman]], Department of History of Medicine and Science, [[Jamia Hamdard]], New Delhi, 79pp</ref>। কন্যা দায়গ্রস্থ পরিবারগুলোকে তিনি অর্থসহযোগিতা করতেন। তার শাষন আমলেই তিনি দিল্লিতে বিভিন্ন সরকারীসরকারি কাজকর্ম ও রাজ প্রশাষনের কাজ পরিচালনার জন্য বড় বড় সরকারী দালান ও অবকাঠামো নির্মান করান। তার আমলেই দিল্লির আশেপাশে প্রায় ৩০০ গ্রামের গড়াপত্তন করা হয় এবং পাঁচটি বড় ক্যানেল খনন করা হয়, এতে করে সেচের সুবিধা হওয়ায় আবাদি জমির পরিমানপরিমাণ বেড়ে যায় এবং অধিক জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা মেটাতে যথেষ্ট ছিল। শাষন কার্য পরিচালনার জন্য সুলতান ফিরোজ শাহ তুগলক মালিক মকবুলের উপর অতিমাত্রায় ভরসা করতেন। মালিক মকবুল একসময় ওয়ারেংগেল ফোর্টের সেনাপতি ছিলেন এবং সুলতান কর্তৃক ধৃত হন এবং পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহনগ্রহণ করেন<ref>Sultan Firoz Shah Tughlaq by M. Ahmed, 1978, Chugh Publications, New Delhi p. 46 and 95</ref>। শোনা যায় যে সুলতান একবার সিন্ধ ও গুজরাট অভিযানে যাওয়ার ছয় মাস পরও কোন খোজখোঁজ খবর পাওয়া না গেলে মালিক মকবুল একাই সক্ষমভাবে দিল্লির সালতানাতের সুরক্ষা করেছিলেন<ref>A History of India, H. Kulke and D. Rothermund, 1998, Routledge, p.167, ISBN 0-415-15482-0</ref>। ফিরোজ শাহ তুগলক মালিক মকবুলকে ভাই বলে ডাকতেন এবং তাকে খান-ই-জাহান উপাধি দেন<ref>The Delhi Sultanate: A Political and Military History, P. Jackson, 1999, Cambridge University Press, p. 186, ISBN 0-521-54329-0</ref>।
 
== আধুনিকায়ন ==
সুলতান ফিরোজ শাহ তুগলক তার চাচাতো ভাই [[মুহাম্মদ বিন তুগলক|মুহাম্মদ বিন তুগলকের]] রাজ্য পরিচালনা থেকেই অনেক কিছু শিখেছিলেন। সিংহাসনে আরোহন করে তিনি রাজ্যের হারানো অংশগুলো পূনরূদ্ধারের কোন চেষ্টাই করেন নি, বরং তার বদলে যতটুকু তার রাজ্যের অধীনে ছিল ততটুকুই ভালভাবে শাষন করার চেষ্টা করে যান। তার সম্রাজ্যের বিদ্রোহিদের বিরূদ্ধেও ব্যাবস্থা গ্রহন বন্ধ রাখেন কারন সমস্ত বিদ্রোহীই তার চাচাতো ভাই [[মুহাম্মদ বিন তুগলক|মুহাম্মদ বিন তুগলকের]] আমলে জন্ম নেয় এবং তিনি নতুন করে এগুলোকে উষ্কে দিতে চান নি। তিনি তার রাজ্যে পিতার বদলে পুত্র প্রথা চালু করেন। সেনাবাহিনী কিংবা রাজকার্য যেখানেই হোক পিতা যদি উপস্থিত না হতে পারতেন তাহলে পুত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া যেত। তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি করেন এবং হাত কেটে ফেলা, গর্দান নেওয়া সহ সমস্ত প্রকার কঠোর শাস্তি দেওয়া বন্ধ করেন। এছাড়াও তিনি [[মুহাম্মদ বিন তুগলক|মুহাম্মদ বিন তুগলকের]] আমলে আরোপিত ভূমির উপর অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার করেন। এটা মনে করা হয় যে সুলতান ফিরোজ শাহ তুগলকের আমল ভারতের মধ্যযুগের ইতিহাসে সবচেয়ে দূর্নিতীগ্রস্থ ছিল। একটা গল্প থেকে জানা যায় যে সুলতান একবার এক সিপাহীকে একটি সোনার টংকা দেন আস্তাবলের দাড়োয়ানকে ঘুষ দিয়ে তার ঘোড়া আস্তাবল থেকে ছাড়ানোর জন্য। এছাড়াও সূলতানের সেনবাহিনীর প্রধান ছিলেন ইমাদুল-মুল্ক বাশির যে প্রথমদিকে সুলতানের কৃতদাশ ছিল। সুলতানের এই সেনাপতি অবৈধ পথে প্রায় তের কোটি টংকার সম্পদ অর্জন করেছিল যেখানে পুরো সম্রাজ্যের উত্তোলিত করের পরিমানপরিমাণ ছয় কোটি সাতান্ন লাখ টংকার বেশি ছিল না।
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}