নুরেমবার্গ বিচার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Dexbot (আলোচনা | অবদান)
Removing Link GA template (handled by wikidata)
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১ নং লাইন:
'''নুরেমবার্গ বিচার''' (ইংরেজি ভাষায়: Nuremberg Trials, জার্মান ভাষায়: Nürnberger Prozesse) ১৯৪৫-৪৬ সালে জার্মানির ন্যুর্নবের্গ বা নুরেমবার্গ শহরে অনুষ্ঠিত কিছু বিচার প্রক্রিয়ার নাম। তখন ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল নাৎসি বাহিনীর নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ গঠন করে এবং তাদের বিচার করে। তাদের বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগগুলো ছিল মূলত চার ধরণের: এক, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, যেমন, আন্তর্জাতিক চুক্তি লংঘন করে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পরিকল্পনা, যুদ্ধের জোগাড় এবং যুদ্ধ শুরু করা; দুই, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যেমন, মানুষকে সমূলে বিনাশ, বাসস্থান থেকে বিতারণ এবং গণহত্যা; তিন, যুদ্ধাপরাধ তথা যুদ্ধের আইনসমূহ লংঘনলঙ্ঘন এবং চার, এই তিনটি অপরাধ করার সাধারণ পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র করা।
 
ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল এই বিচার করার অধিকার পেয়েছিল ১৯৪৫ সালের ৮ই আগস্ট [[লন্ডন|লন্ডনে]] স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে। সেদিন [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]], [[যুক্তরাজ্য]], [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]] এবং ফ্রান্সের প্রাদেশিক সরকারের প্রতিনিধিরা লন্ডনে মিলিত হয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষর করে যাতে একটি আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অক্ষশক্তির কর্মকর্তাদের দ্বারা পৃথিবীর যেকোন স্থানে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে বলা হয়। পরবর্তীতে আরও ১৯টি দেশ চুক্তিটিকে সমর্থন করে। উপরে বর্ণীত প্রথম তিনটি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত যেকোন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা বা যেকোন সংগঠনকে এসবের অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কারণে চরিত্রগতভাবেই অপরাধী ঘোষণার অধিকার ট্রাইব্যুনালকে দেয়া হয়েছিল। দোষীকে তার বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগগুলোর একটি কপি দেয়া হতো যাতে অপরাধগুলোর ব্যাখ্যা দেয়া থাকতো, অপরাধীর নিজস্ব আইনজীবী বা কাউন্সেল থাকতো এবং সাক্ষীদেরকে পুর্নর্নিরীক্ষা ও প্রশ্নের মুখোমুখি করার অধিকারও তাদের ছিল।<ref>[http://www.britannica.com/EBchecked/topic/422668/Nurnberg-trials Nürnberg trials], [[এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা]]</ref>