নাৎসি জার্মানি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৭৯ নং লাইন:
'''নাৎসি জার্মানি''' এবং '''তৃতীয় রাইখ''' ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সময়ে জার্মানির প্রচলিত নাম। এই সময়কালে জার্মান সরকার একটিমাত্র রাজনৈতিক দল [[ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি]] বা নাৎসি পার্টির অধীনে ছিল যার কেন্দ্রে ফিউরার হিসেবে ছিলেন [[আডলফ হিটলার]]। হিটলারের অধীনে জার্মানি একটি আধিপত্যবাদী [[Fascism|ফ্যাশিস্ট]] রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় তৃতীয় রাইখের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এ সকল প্রতিষ্ঠান তাদের মানবতাবিরোধী ভূমিকার জন্য দেশে ও বিদেশে অত্যন্ত বিতর্কিত হয়েছিল। ১৯৪৫ সালের মে মাসে [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তি|মিত্রশক্তি]] [[Wehrmacht|ভারম্যাখটকে]] পরাজিত করলে ইউরোপ মহাদেশে [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সমাপ্তি হয় এবং একই সাথে জার্মানিতে নাৎসি শাসনের অবসান ঘটে।
 
ভাইমার প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি পল ভন হিন্ডেনবার্গ ১৯৩৩ সালের ৩০ জানুয়ারি হিটলারকে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পরপরই নাৎসি পার্টি তার সকল বিরোধীপক্ষকে একে একে নির্মূল করা শুরু করে এবং ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার সুযোগ পায়। ১৯৩৪ সালের ২ আগস্ট হিন্ডেনবার্গ মৃত্যুবরণ করলে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের ক্ষমতা একত্রিত করা হয় এবং তার ফলস্বরূপ হিটলার জার্মানির একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট এক গণভোটের মাধ্যমে হিটলার জার্মানির একমাত্র আইনগত [[ফিউরার]] (নেতা) নির্বাচিত হন। হিটলার রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেন এবং তার মুখের কথাই আইন হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করে। তৎকালীন জার্মান সরকার কোন সমন্বিত ও সুসংগঠিত কাঠামো ছিল না বরং তা ছিল হিটলারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ারমাত্র। বৈশ্বিক [[Great Depression|মহামন্দার]] সময়ে হিটলার [[মিশ্র অর্থনীতির]] প্রচলন করে আর্থিক সাম্যবস্থা বজায় রাখতে সমর্থ হন এবং সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। হাইওয়ে নির্মাণসহ অন্যান্য জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহনগ্রহণ করা হয়। অর্থনৈতিক সাফল্য নাৎসি পার্টির জনপ্রিয়তা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
 
[[বর্ণবাদ]], বিশেষ করে [[antisemitism|ইহুদী বিদ্বেষ]] ছিল নাৎসি পার্টির শাসনামলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জার্মান জনগণ নর্ডিক জাতি হিসেবে পরিচিতিপ্রাপ্ত হয় এবং নিজেদের [[আর্য সমাজ|আর্য জাতির]] বিশুদ্ধ উত্তরসূরি হিসেবে মনে করা শুরু করে। তারা একসময় প্রভুত্বকারী জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়া শুরু করে। ইহুদি এবং অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর ব্যক্তিবর্গকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তাদের বেশিরভাগই অত্যাচার, নিপীড়ন বা হত্যার শিকার হন। হিটলারবিরোধী সকল শক্তিকে দমন করা হয়। উদারপন্থী, সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট বিরোধী দলের সদস্যদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়, বন্দী করা হয় নয়তো দেশান্তরী হতে বাধ্য করা হয়। এমনকি চার্চগুলোও নাৎসি পার্টির কড়া নজর থেকে রেহাই পায়নি। বহু ধর্মীয় নেতাকে অবৈধভাবে বন্দী করা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে [[বর্ণবাদী জীববিজ্ঞান]], জনসংখ্যা নীতি ও সামরিক বাহিনীতে ভর্তির যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়। মহিলাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত করা হয়। এমনকি বিনোদন ও পর্যটনের মত সুযোগসুবিধাও সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হত। হিটলারের জ্বালাময়ী ভাষণ, বিশাল বিশাল মিছিল আর [[প্রোপাগান্ডা]] মন্ত্রী [[জোসেফ গোয়েবলস|জোসেফ গোয়েবলসের]] চলচ্চিত্রসমূহের মাধ্যমে সুকৌশলে জনগণের মতামত নিয়ন্ত্রণ করা হত। সরকার চিত্রকলায় বিশেষ কয়েকটি ধারা অনুশীলনে উৎসাহ প্রদান করে এবং অন্যান্য ধারাগুলোকে অনুৎসাহিত করা হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
৯৬ নং লাইন:
{{efn
| name = statistics
| ১৯৩৯ সালের পরিসংখ্যান; এর পরেই জার্মানি [[ভার্সাই চুক্তি|ভার্সাই চুক্তির]] ফলে তার হারানো দুইটি অঞ্চল আল্সাক-লোরেন, ডানজিগ ও পোলিশ করিডোর পুনরুদ্ধার করে। অঞ্চল দুইটির মোট পরিমানপরিমাণ ছিল {{convert|633786|km2|sqmi}}।
}}
{{efn