নওগাঁ জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট বিষয়শ্রেণী ঠিক করেছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৩৩ নং লাইন:
 
==ইতিহাস==
নওগাঁ জিলা স্কুল ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে নওগাঁতে প্রতিষ্ঠিত হয় করোনেশন মধ্য ইংরেজি স্কুল। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট পঞ্চম জর্জের করোনেশন উপলক্ষে নওগাঁয় একটি বিরাট উৎসব হয়। এই উৎসব উপলক্ষে সংগৃহিত অর্থ দ্বারা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সূচনা লগ্নে এটি একটি পাঠশালা ছিল। এই পাঠশালায় পাঠদানে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন জনাব বদর উদ্দীন মিয়া (বোয়ালিয়া) ও জনাব লবনলবণ পন্ডিত। উল্লেখ্য যে স্বর্গীয় সুরেন্দ্রনাথ তলাপাত্র করোনেশন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। তাঁদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্কুলটি ১৯৪২ সালে হাই ইংলিশ স্কুলে রূপান্তরিত হয়। এর অনেক পরে ১৯৬১ সালে নওগাঁর তদানীন্তন মহকুমা প্রশাসক জনাব আব্দু রব চৌধুরীর নেতৃত্বে বি.এম.সি কলেজের মাদ্রাসা শাখা প্রথমে প্যারালাল হাই স্কুল এবং পরবর্তীতে নওগাঁ হাই স্কুল নওগাঁ করোনশেন হাই স্কুল এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইউনাইটেড হাই স্কুল নাম ধারণ করে। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় করণ করা হয় এবং নওগাঁ জিলা স্কুল-এ রূপান্তরিত করা হয়। ২৭ এপ্রিল ১৯৮৫ সালে তদকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরসাদ সাহেব নওগাঁ জেলায় আসেন। তাঁর উদেশ্য ছিল নওগাঁ বালিকা বিদ্যালয় সরকারী করণ সহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ করবেন। নওগাঁয় অনুষ্ঠিত জনসভা শেষে তদকালীন ইউনাইটেড স্কুলের শিক্ষকদের প্রস্তাবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরসাদ সাহেব ইউনাইটেড স্কুল দর্শন করেন। সেই সময় তিনি ইউনাইটেড স্কুলকে “নওগাঁ জিলা স্কুল” নামে ঘোষনা দেন।
 
==অবকাঠামো==
৪০ নং লাইন:
স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক হল সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট ও সাদা জুতো। শার্ট ফুল হাতা বা হাফ হাতা দুটোই গ্রহণযোগ্য। এছাড়া শীতকালে নীল রঙের সোয়েটারও ইউনিফরমের অন্তর্ভুক্ত। শার্টের পকেটে স্কুলের মনোগ্রামযুক্ত ব্যাজ থাকা আবশ্যক।
== ভর্তি প্রক্রিয়া ==
এই সরকারীসরকারি হাই স্কুলটিতে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়। সাধারণত ৩য়, ৬ষ্ঠ এবং ৯ম শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তি করা হয়। অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যোগ্য ছাত্রদের নির্বাচিত করা হয়।
 
== শিক্ষা কার্যক্রম ==
বিদ্যালয়টিতে ৩য় শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। ৩য় শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহন করে ছাত্ররা ভর্তি হয়। ৩য় শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র একটা শাখা বিদ্যমান, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত দুইটি শাখা বিদ্যমান। প্রতিটি শ্রেণী/শাখাতে একজন ক্লাস শিক্ষক থাকে। সর্বপ্রথম ক্লাস ক্লাস শিক্ষক নেন। তিনি সেই ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ছাত্রদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন,ছাত্রদের মাসিক বেতন গ্রহনগ্রহণ করেন,সেই শ্রেণীর ছাত্রদের অভিবাবক সাথে যোগাযোগ করেন, তিনি সেই শ্রেণীর সর্বশেষ ফলাফল দান করেন, সেই শ্রেণীর কোন ছাত্রর যেকোনো প্রকার সাহায্যর জন্য তিনি সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন। বিদ্যালয়টির পাশের হার ১০০%।
===প্রাত্যহিক সমাবেশ===
প্রতিদিন সকালে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে প্রাত্যহিক সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে ছাত্রদের মধ্যে একজন পবিত্র কুরআন থেকে তেলয়াত এবং তারপর গীতা পাঠ করে আরেকজন ছাত্র। তারপর সকল ছাত্র একসাথে শপথ বাক্য পাঠ করে,জাতীয় সঙ্গীত গায়। তারপর শারীরিক চর্চার শিক্ষক ছাত্রদের কিছু কসরত করান। প্রাত্যহিক সমাবেশে সকল ছাত্রদের থাকা বাধ্যতামূলক। সকল শিক্ষকও উপস্থিত থাকেন। প্রতিটা শ্রেণী এবং শাখার ছাত্ররা আলাদা আলাদা সুসৃঙ্খল সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। শিক্ষকগন সকল ছাত্রদের বাধ্যতামূলক ইউনিফরমের নিশ্চিত করেন। সবশেষে ছাত্ররা সারিবদ্ধভাবে মাঠ পরিত্যাগ করে এবং শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে।
৫২ নং লাইন:
 
==শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রম==
প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়ের নিজস্ব খেলার মাঠে । শ্রেণী হিসাবে ভাগ হয়ে ছাত্ররা দৌড় প্রতিযোগিতা, হাই জাম্প, লং জাম্প, গোলক নিক্ষেপ ইত্যাদিতে খেলায় অংশগ্রহন করে। প্রতিযোগিতা শেষে ১ম,২য় ও ৩য় প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য বাক্তিবর্গ এবং একজন বিশেষ ব্যাক্তি প্রধান অতিথীঅতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first1=নওগাঁ জিলা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা|title=নওগাঁ জিলা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা »|url=http://www.campuslive24.com/campus.67375.live24/|accessdate=19 জানুয়ারি 2016}}</ref>
 
তাছাড়া বার্ষিক সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় হল রুমে। শ্রেণী হিসাবে ভাগ হয়ে ছাত্ররা রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, দেশের গান, আধুনিক গানের প্রতিযোগিতা হয়। এছাড়াও কৌতুক, একক অভিনয়, উপস্থিত বক্তিতা,রচনা প্রতিযোগিতা,উপস্থিত গল্প বলা ইত্যাদি প্রতিযোগিতা হয়। এসবের বিজয়ী প্রতিযোগীকে বছর শেষের দিকে একটা বিশাল অনুষ্ঠান করে পুরস্কৃত করা হয়। অনুস্থানে এলাকার গণ্যমান্য বাক্তিবর্গ এবং একজন বিশেষ ব্যাক্তি প্রধান অতিথীঅতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন।
 
একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ছাত্ররা নিজ জেলার ভিতরে এবং আন্তঃজেলা টুর্নামেন্টে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহন করে। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলায় তাদের অবদান অনেক বিস্তৃত। বিভিন্ন সময় জেলা চাম্পিয়ান<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first1=অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় স্কুল ক্রিকেট|title=অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় স্কুল ক্রিকেট নওগাঁ জিলা স্কুল চ্যাম্পিয়ন|url=http://www.fns24.com/details.php?nssl=b70245c1f5998074d254279b8ddcd1e3&nttl=0102201518873#.Vp4aAS_jGNC|accessdate=19 জানুয়ারি 2016}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|first1=জিলা স্কুল চ্যাম্পিয়ান|title=নওগাঁ ষ্টেডিয়ামে বিসিবি আয়োজিত অনুর্দ্ধ-১৬,খেলায় জিলা স্কুল চ্যাম্পিয়ান|url=http://www.rajshahinews24.com/sports/20282/নওগাঁ-ষ্টেডিয়ামে-বিসিবি/|accessdate=19 জানুয়ারি 2016}}</ref> ও জাতীয়ভাবে অনেক পুরস্কার পায়।<ref>http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/440494/জিলা-স্কুল-চ্যাম্পিয়ন</ref>
৯১ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:নওগাঁ জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯১৭-এ প্রতিষ্ঠিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরকারীসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]]