দত্তাত্রেয় রামচন্দ্র বেন্দ্রে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৪৯ নং লাইন:
আধ্যাত্মিক কবিতার জন্য দত্তাত্রেয় ব্যবহার করেছেন নানা কৌশল; সনেটের জন্য বেছে নিয়েছেন ধ্রুপদি শৈলী; আবার রাখালিয়া ও লৌকিক গীতিকবিতাগুলির জন্য ব্যবহার করেছেন লোকপ্রচলিত উপমাগুলি। প্রতীকবাদ তাঁর কাব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাঁর কবিতা ''পাতারগিত্ত'' (প্রজাপতি) প্রলোভনের রং সংক্রান্ত একটি শিশুপাঠ্য ছড়া। ''মুদালমানিয়া'' (প্রভাত) কবিতাটি সর্বত্রব্যাপী শান্তি বা সেই শান্তির প্রতি কবির আখাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ''কুনিয়োনু বারা'' (নৃত্য চিরন্তন) কবিতাটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে নানা বিপরীতমুখী চিন্তার স্রোত একটি মহৎ সংগমে মিলিত হয়েছে। মনে হয় যেন, দত্তাত্রেয়ের সকল কবিতাতেই সুর বসানো যায়। এগুলি অনুপ্রাসে পরিপূর্ণ। কিন্তু এর মধ্যে এমন এক গোপন অর্থ নিহিত আছে যা কেবল বিদগ্ধ কবিমনই উদ্ধার করতে পারে।
 
ব্যক্তি হিসেবে দত্তাত্রেয় ছিলেন বন্ধুত্বপূর্ণ, বিনয়ী ও মিশুকে। তিনি সমানভাবে বিদ্বজ্জন ও গ্রামীনগ্রামীণ অশিক্ষিত সাধারণের মধ্যে বিচরণ করেন। তিনি বহুবর্ণী জীবন ভালবাসতেন এবং তারই বর্ণনা দেন।
 
জীবনের শেষভাগে দত্তাত্রেয় সংখ্যাতত্ত্বে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন। এই আগ্রহ তাঁর কাছে নতুন কিছু না হলেও এই সময়ে এটিই তাঁর চিন্তাভাবনার কেন্দ্রে উঠে আসে। ১৯৭৬ সালে [[ডোম মোরিস]] কর্ণাটক ভ্রমণে আসেন তখন তাঁকে সম্পূর্ণরূপে সংখ্যাতত্ত্বে নিমজ্জিত অবস্থায় দেখেন। ''বিশ্বধারণসূত্র'' ও ''আ থিওরি অফ ইম্মর্টালিটি'' গ্রন্থদ্বয়ে তিনি সকল জ্ঞানকে সংখ্যা রূপে অনুভব করার এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রচেষ্টায় রত হয়েছিলেন।