তামা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
202.134.8.130-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Nisamanaji-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক তামা}}
'''তামা''', ইংরাজি নাম কপার (Copper) একটি রাসায়নিক মৌল যার চিহ্ন Cu এসেছে ল্যাটিন শব্দ কিউপ্রাম (cuprum) থেকে এবং এর পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক ২৯। তামা একটি নমনীয় ধাতু এবং এর তাপীয় ও বৈদ্যুতিক পরিবাহীতা খুব উঁচু দরের তাই অনেক বীজলি বাহী তারের মধ্যেই তামার তার থাকে । বিশুদ্ধ তামা খুব বেশীবেশি নরম ও নিজস্ব উজ্জ্বল বর্ণ সমন্বিত কিন্তু আবহাওয়ার সংস্পর্শে এর বাইরে একটি লালচে-কমলা বিবর্ণ স্তর তৈরী হয়। তামা ও তামার বহু মিশ্র ধাতু (যেমন [[ব্রোঞ্জ]], [[পিতল]]ইত্যাদি) অনেক হাজার বছর ধরে মানুষের নিত্য সঙ্গী । প্রাচীনকালে তামার অনেক খনির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে [[সাইপ্রাস]] ([[লাতিন ভাষা|লাতিনে]] Cyprus ''ক্যুপ্রুস্‌'') দ্বীপের খনিগুলো সবচেয়ে তাৎপর্যময়। অনেকের মতে তামার ইংরেজি নাম '''কপার''' ([[লাতিন ভাষা|লাতিন]] নাম Cuprum ''কুপ্রুম'') শব্দটি এখান থেকেই এসেছে।
 
== আবিষ্কারের ইতিহাস ==
ফরাসি রসায়নবিদ এম. বারথেলটের মতানুসারে মানুষ পাঁচ হাজার বছরেরও বেশীবেশি আগে থেকে তামার সাথে পরিচিত ছিল। অনেকের মতে আরও আগে থেকে এই পরিচয় ঘটেছিল। বহুকাল পূর্ব থেকেই [[ব্রোঞ্জ]] ছিল সর্বাধিক ব্যবহৃত ধাতু। এই ধাতুটি মূলত তামা এবং [[টিন]]-এর [[সংকর]]। এই দুই মৌলিক পদার্থ মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিশেষ যুগের নির্দেশনা প্রদান করে যাকে বলা হয় [[ব্রোঞ্জ যুগ]]। তামা, যুগ বিনির্মাণে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রকৃতিতে তামার প্রাচুর্য মধ্যম ধরণের। প্রাথমিক যুগে মানুষ কেবল প্রকৃতিতে স্বভাবিকভাবে প্রাপ্ত তামাই ব্যবহার করতো। কিন্তু পরবর্তীতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় [[আকরিক]] থেকে তামা নিষ্কাষনে বাধ্য হয় মানুষ। যেসব আকরিকে তামার আধিক্য রয়েছে তা থেকে এটি নিষ্কাষন বেশ সহজসাধ্য। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে নানাবিধ যন্ত্রপাতি তৈরীতে তামা ব্যবহৃত হতো। চিয়োপ্‌স-এর (cheops) মিশরীয় [[পিরামিড]] তৈরীতে পাথরের যে সুবৃহৎ খণ্ডগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো কাটতে তামার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
 
[[ব্রোঞ্জ]] আবিষ্কার ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিপ্লব। এর পর পাথরের সব জিনিসপত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেও ব্রোঞ্জের ব্যবহার ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাইসিনিয়ান যুগের সূচনাতে গ্রীসে ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। এটি ছাড়াও তামার অপর বিস্ময়কর সংকর হল [[পিতল]]। তামার সঙ্গে [[দস্তা|দস্তার]] আকরিক গলিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। প্রাচীন [[মিশর]], [[ভারত]], [[এশিরিয়া]], [[রোম]] ও [[গ্রীস|গ্রীসে]] তামা, ব্রোঞ্জ ও পিতলের ব্যবহার জানা ছিল। অস্ত্র তৈরীতে তামা ও ব্রোঞ্জ উভয়টিই ব্যবহৃত হতো। [[আলতাই]], [[সাইবেরিয়া]] এবং ট্রান্স [[ককেশাস]] অঞ্চলে খননকার্য চালিয়ে অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর ব্রোঞ্জ ও তামার ছুরি, তীরের ফলা, ঢাল, শিরস্ত্রাণ পাওয়া গেছে। [[গ্রীস।গ্রীসে]] ও [[রোম।রোমে]] তামা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে ঢাল ও শিরস্ত্রাণ তৈরি হতো।
'https://bn.wikipedia.org/wiki/তামা' থেকে আনীত