গ্রিসের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
||
১৩ নং লাইন:
৭ খ্রীস্টপূর্ব সহস্রাব্দের দিকে [[গ্রিস]] এবং বলকানের মধ্য দিয়ে ইউরোপে নিওলিথিক যুগের সূচনা হয়। খ্রীস্টপূর্ব ২৮ শতকের দিকে ব্রোঞ্জ যুগের আগমনের মধ্য দিয়ে এ যুগের পরিসমাপ্তি ঘটে।
খ্রীস্ট পূর্ব ১৯ শতকে মাইসেনিয়ান নামের এক প্রোটো-ইন্দো ইউরোপীয় জাতি বর্তমান
=== ব্রোঞ্জ যুগ ===
==== সাইক্লেডিক এবং মিনোয়ান সভ্যতা ====
গ্রীসে আবির্ভূত হওয়া প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ক্রিটি দ্বীপের মিনোয়ান সভ্যতা যেটা ২৭০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৪৫০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল আর
মাইসেনিয়ানরা ক্রিটি অধিকার করার পর ক্রিটির সংস্কৃতি নিজেদের মধ্যে আত্মস্ত করে নেয়।
২৭ নং লাইন:
মাইসেনিয়ানরা এজিয়ান সাগরে আসতে শুরু করে ১৬০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দের দিকে, ১৪০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে তাঁরা মিনোয়ান সভ্যতার কেন্দ্র ক্রিটি দখল করে নেয়। আদি গ্রীক ভাষা লেখার জন্য তাঁরা ক্রিটির লিনিয়ার এ ভাষা ব্যাবহার করতো পরে নিজেদের লিনিয়ার বি (Linear B) ভাষার প্রচলন করে। মাইসেনিয়ানরা এসেছে মাইসেনিয়া নামক অঞ্চল থেকে, অন্যান্য মাইসেনিয়ান অঞ্চল হল এথেন্স, পিলস, থীব, টিরান ইত্যাদী।
মাইসেনিয়ানরা ছিল যোদ্ধা, তাঁদের কবরে মৃতদেহের সাথে যুদ্ধের সরঞ্জাম সমাহিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১১০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে মাইসেনিয়ান সভ্যতা ধংস প্রাপ্ত হয়। কোন কোন গভেষক এর জন্য ডোরিয়ান নামের আরেকটি গোষ্টীর আক্রমণ করাকে দায়ী করে থাকে কিন্তু তার কোন উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মাইসেনিয়ান সভ্যতার পতনের পর
=== আদি লৌহযুগ ===
৩৩ নং লাইন:
{{further|Protogeometric art}}
গ্রীসে অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছিল খ্রীস্টপূর্বাব্দে, মাইসেনিয়ান সভ্যতার পতনের মধ্য দিয়ে। অনেকে এর জন্য ডোরিয়ানদের আক্রমনকে দায়ী করেন। ডোরিয়ান দের সাথে ছিল লোহা নির্মিত শক্তিশালী অস্ত্র, যা দিয়ে দূর্বল মাইসেনিয়ান সভ্যতাকে সহজে পরাস্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এ অন্ধকার যুগ টিকে ছিল ৮০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে গ্রীকে নগর রাস্ট্র উদ্ভবের আগ পর্যন্ত, কিংবা হোমারের আগ পর্যন্ত। অন্ধকার যুগে রাজারা খুব দূর্বল ভাবে টিকে ছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজাত তন্ত্রের কাছে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন, এবং শেষে শেষে অভিজাততন্ত্রের ভেতরে আরো অভিজাত তৈরি হয়। এ যুগে সুলভ এবং সস্তা হওয়ার কারণে তৈজসপত্র এবং যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে ব্রোঞ্জের বদলে লোহার
অন্ধকার যুগের শেষে গ্রীক নবজাগরণের সূচনা হয় যা কৃঞ্চ সাগর এবং স্পেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, ফোনেশিয়ানদের কাছ থেকে লেখার কৌশল পুনরায় আয়ত্ত্বে আসে যা উত্তরে ইতালি এবং গাউল পর্যস্ত ছড়িয়ে পড়ে।
৪৪ নং লাইন:
প্রাচীন গ্রীসের সূচনা ধরা হয় ৭৭৬ খ্রীস্টপূর্বাব্দে অলেম্পিক গেমস এর আয়োজনের মধ্য দিয়ে, অবশ্য অনেকে এটাকে ১০০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত করতে চান। প্রাচীন যুগের পরিসমাপ্তি ধরা হয় ৩২৩ খ্রীস্টপূর্বাব্দে মহামতি আলেকজেন্ডার এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
বেশিরভাগ ঐতিহাসিক প্রাচীন গ্রীসকে আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার ভিত্তিভুমি বলে স্বীকার করেছেন। রোমান সভ্যতার উপর
=== সাবেকী গ্রীস ===
৫০ নং লাইন:
{{further|Orientalizing Period|Geometric Art}}
অন্ধকার যুগের সাথে সাথে মাইসেনিয়ান যুগের জ্ঞান এবং বর্ণমালাও হারিয়ে ফেলেছিল গ্রীস। কিন্তু ৮০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দের দিকে নবজাগরিত
=== ধ্রুপদী গ্রীস ===
{{মূল|Classical Greece}}
{{further|Classical Athens}}
[[চিত্র:3393 - Athens - Stoà of Attalus - Herodotus - Photo by Giovanni Dall'Orto, Nov 9 2009.jpg|thumb|[[Herodotus|হেরাডোটাস]] (খ্রীস্টপূর্বাব্দ ৫ শতক), একজন স্বনামধন্য
[[চিত্র:Léonidas aux Thermopyles (Jacques-Louis David).PNG|thumb|''[[Leonidas]] at [[Thermopylae]]'' by [[Jacques-Louis David]].]]
গ্রীস তখন ছোট ছোট নগর রাস্ট্রে বিভক্তছিল যাদের বলা হতো পলিস, পরিটিকস শব্দটার জন্ম এই পলিস থেকে যার অর্থ পলিসের জিনিস। নগররাস্ট্রগুলো কার্যত যাই হোক না কেন নামে স্বাধীন ছিল। হয়তো একটা নগর অন্য নগরের উপর অনেক দিক দিয়ে নির্ভরশীল কিন্তু নগর হিসেবে প্রত্যেকে ছিল সার্ভভৌম। ফলে যখন বাইরের কারো সাথে যুদ্ধ করার প্রয়োজন হতো তখন নগর রাস্ট্রগুলো যুথবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করতো, তবে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধও লেগে থাকতো সব সময়।
প্রধান দুটি যুদ্ধ ধ্রুপদী গ্রীসকে আকার দিয়েছে, তার একটি পারসিক যুদ্ধ (৫০০ খ্রি: পূ: থেকে ৪৪৮ খ্রি: পূ:), এই যুদ্ধে আয়োনিয়ার
যুদ্ধ পরিচালনা এবং পারসিক আক্রমণ প্রতিহত করতে এথেন্স ৪৪৭ খ্রীস্ট পূর্বাব্দে ডিলিয়ান লীগ নামে একটি নগর সমূহের একটি লীগ গঠন করে। লীগের সদস্য নগর গুলো একটা সর্বজনীন সেনাবাহিনী গঠন করে এবং প্রত্যেক সদস্য এই সর্বজনীন সেনাবাহিনীতে সৈনিক এবং নৌযান প্রদান করতো। এথেন্স প্রথম দিকে ছোট ছোট নগর রাস্ট্রগুলোকে লীগে অবদান রাখার সুযোগ করে দেয় পরে পরে অবদান রাখতে বাধ্য করে। লীগ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে অপরাধ হিসেবে গন্য করতে শুরু করে। পারসিক যুদ্ধের পর লীগের কোষাগার ডেলস থেকে এথেন্সে সরিয়ে আনা হয় এবং লীগের উপর এথেন্সের নিয়ন্ত্রন আরো জোরালো করা হয়। এমন অবস্থা দাড়ায়যে ডিলিয়ান লীগকে এথেন্স সাম্রাজ্য বললে ভুল বলা হয়না।
|