এশিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2A03:2880:2130:CFE4:FACE:B00C:0:8000-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে WikitanvirBot-এর সম্পাদিত সর্বশে...
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৪৭ নং লাইন:
 
=== এশিয়া–ইউরোপ সীমানা ===
দন নদী উত্তর ইউরোপীয়দের কাছে অসন্তোষজনক হয়ে ওঠে, যখন [[রাশিয়ার প্রথম পিটার|রাশিয়ার রাজা পিটার]] পূর্ব খন্ডে প্রতিপক্ষ [[সুইডেন]] ও [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সাম্রাজ্যকে]] পরাজিত করেন, এবং [[সাইবেরিয়া|সাইবেরিয়ার]] উপজাতিদের সশস্ত্র প্রতিরোধ দমন করেন। এর দ্বারা ১৭২১ সালে একটি নতুন [[রাশিয়ান সাম্রাজ্য]] প্রতিষ্ঠিত হয়, যা [[ইউরাল পর্বতমালা]] ও তার পরেও ব্যপ্ত ছিল। সাম্রাজ্যের প্রধান ভৌগোলিক ত্বাত্তিক আসলে ছিল একজন প্রাক্তন সুইডিশ যুদ্ধবন্দী, যাকে ১৭০৯ সালের পোল্টাভা যুদ্ধ থেকে বন্দী করা হয়। তাকে তোবলস্কে নিযুক্ত করা হয়, যেখানে তিনি পিটারের সাইবেরিয়ার সরকারী, ভাসিলি তাতিসচেভ-এর সাথে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং যে তাকে বইয়ের প্রস্তুতির জন্য ভৌগলিকভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিক গবেষণা করার অনুমতি ও স্বাধীনতা দেয়।
 
সুইডেনে, পিটারের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর, ১৭৩০ সালে ফিলিপ জোহান ভন স্তারাহলেনবেরগ এশিয়ার সীমানা হিসেবে ইউরালকে প্রস্তাব করে একটি নতুন মানচিত্রাবলী প্রকাশ করে। রাশিয়ানরা ভূগোলে তাদের ইউরোপীয় পরিচয় রাখা অনুমোদিত করার ধারণা সম্পর্কে উত্সাহী ছিল। তাতিসচেভ ঘোষণা করেন যে, তিনি ভন স্তারাহলেনবেরগ ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন। পরবর্তীরা নিম্ন সীমা হিসাবে [[এমবা নদী]] প্রস্তাব করে। মধ্য-১৯ শতকে [[ইউরাল নদী]] প্রকাশ হবার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রস্তাব করা হয়। কৃষ্ণ সাগরে থেকে কাস্পিয়ান সাগরে সীমানা সরানো হয়।<ref>{{harvnb|Lewis|Wigen|1997|pp=27–28}}</ref> সেই সময়কার মানচিত্রে, [[ট্রান্সককেশিয়া]] এশিয়ান বলে গণ্য হত। সেই অঞ্চলের অধিকাংশই [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]]-এ অন্তর্গত হওয়া দক্ষিণ সীমানার মতামতকে প্রভাবিত করে। ইউরোপ থেকে তাদের পৃথক কল্পিত সীমানা নির্ধারণে এশিয়ান সংস্কৃতির কোনো ভূমিকা নেই।
 
=== এশিয়া–ওশেনিয়া সীমানা ===
এশিয়া ও ঢিলেঢালাভাবে সংজ্ঞায়িত অঞ্চল [[ওশেনিয়া|ওশেনিয়ার]] মধ্যকার সীমানা সাধারণত [[মালয় দ্বীপপুঞ্জ|মালয় দ্বীপপুঞ্জের]] কোনো এক খানে স্থাপন করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে উদ্ভাবিত দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়া শব্দের উৎপত্তি থেকেই বিভিন্ন ভৌগলিকভৌগোলিক অর্থ বহন করে। মালয় দ্বীপপুঞ্জের কোন দ্বীপ এশিয়ার, তার প্রধান নির্ণয়াক হলো তার উপনিবেশিক অবস্থান বিভিন্ন সাম্রাজ্যের মধ্যে (সব ইউরোপীয় নয়)। লুইস এবং উইগেন বলেন "তার বর্তমান গণ্ডিতে 'দক্ষিণপূর্ব এশিয়া'-র কমিয়ে আনার একটি চলমান প্রক্রিয়া।"<ref name="Myth"/>
 
=== চলমান সংজ্ঞা ===
৫৮ নং লাইন:
ভৌগলিক এশিয়া একটি সাংস্কৃতিক বস্তু, যা বিশ্বের ইউরোপীয় ধারণা অন্যান্য সংস্কৃতির উপর আরোপিত, একটি যথাযথ নয় ধারণা যার ফলে এটার মানে নিয়ে বিবাদ হয়। এশিয়া ইউরোপ চেয়ে বড় এবং আরো সাংস্কৃতিকভাবে বিচিত্র।<ref>{{harvnb|Lewis|Wigen|1997|pp=36–37}}</ref> এটা ঠিক বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক সীমানার উপাদানসমূহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।<ref>{{harvnb|Lewis|Wigen|1997|pp=7–9}}</ref>
 
সাধারণ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ভৌগলিকভৌগোলিক মানের উপরন্তু, এশিয়া আরো সীমাবদ্ধ আগ্রহের ক্ষেত্রে কোনো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ও কার্যক্রমে সংস্থা ভেদে নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সার্ভিস অব কানাডা মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রশাসনিক বিভাগ ব্যবহার করে, তাদের "এশিয়া" সংজ্ঞা বৃহত্তর সংজ্ঞা থেকে যথেষ্ট ভিন্ন, এবং তা একইভাবে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সংস্থার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। "এশিয়া" কিছু বিভিন্নমুখী ব্যবহার বর্তমান ঘটনা প্রতিবেদনের সময় সংবাদ মাধ্যম দ্বারা ঘোষিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, [[বিবিসি]] নিউজের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ আছে, যা [[অস্ট্রালেশিয়া]], ওশেনিয়া বা আমেরিকার প্রশান্ত অংশ (প্যাসিফিক) থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে।<ref>{{cite news | title=Asia-Pacific | work=BBC Mobile News | url=http://www.bbc.co.uk/news/world/asia_pacific/ |publisher=BBC | accessdate=28 July 2011| archiveurl= //web.archive.org/web/20110728014556/http://www.bbc.co.uk/news/world/asia_pacific/| archivedate= 28 July 2011 | deadurl= no}}</ref>
 
[[হিরোডোটাস]]-এর সময় থেকে, এক দল ক্ষুদ্র ভূগোলবিদ তিন-মহাদেশ ব্যবস্থা (ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া) প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে তাদের মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক বিচ্ছেদ নেই।<ref name=McG-H /> উদাহরণস্বরূপ, স্যার ব্যারি চুনলিফ, অক্সফোর্ডের ইউরোপীয় পুরাতত্ত্বের এমেরিটাস অধ্যাপক, যুক্তি দেন যে, ইউরোপ ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে নিছক "এশিয়া মহাদেশের পশ্চিম বর্ধিতাংশ"।<ref>{{cite journal |url=http://www.theatlantic.com/doc/200812/editors-choice |title=Geography Is Destiny | first=Benjamin | last=Schwartz | journal=The Atlantic |date = December 2008|publisher=Atlantic Magazine}}</ref> ভৌগোলিকভাবে, এশিয়া ভূখন্ডের – বা [[আফ্রো-ইউরেশিয়া|আফ্রো-ইউরেশিয়ার]] অংশ [[ইউরেশিয়া|ইউরেশিয়ার]] পূর্ব অংশ, যেখানে ইউরোপ উত্তর পশ্চিমাংশের [[উপদ্বীপ]]; ভূতাত্ত্বিকভাবে, এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা (সুয়েজ খাল ছাড়া) একটি একক অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড গঠন করে এবং একটি সাধারণ [[মহীসোপান]] ভাগ করে। প্রায় সব ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশির ভাগ অংশ [[ইউরেশীয় পাত]]-এর উপর অবস্থিত, দক্ষিণে [[আরবীয় পাত|আরবীয়]] ও [[ভারতীয় পাত]] দ্বারা সংযুক্ত এবং সাইবেরিয়ার পূর্বপ্রান্তিক অংশ উত্তর আমেরিকার পাতের উপর অবস্থিত।
৬৬ নং লাইন:
 
[[File:Gulf5..JPG|thumb|300px|টলেমির এশিয়া]]
এশিয়া মূলত [[গ্রিক সভ্যতা|গ্রিক সভ্যতার]] একটি ধারণা।<ref name="reid">[[T.R. Reid|Reid, T.R.]] ''[[Confucius Lives Next Door: What living in the East teaches us about living in the west]]'' Vintage Books(1999).</ref> "এশিয়া", অঞ্চলের নাম, আধুনিক ভাষার বিভিন্ন আকারের মাঝে এর চূড়ান্ত উৎপত্তিস্থল অজানা। এর ব্যুৎপত্তিবুৎপত্তি এবং উৎপত্তির ভাষা অনিশ্চিত। এটা নথিভুক্ত নামগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন নামের একটি। অনেকগুলো তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। ল্যাটিন সাহিত্য থেকে ইংরেজি সাহিত্যের গঠন হওয়ার সময়কালে ইংরেজি এশিয়ার খোঁজ পাওয়া যায়, তখনও একই গঠন ছিল এশিয়া। সমস্ত ব্যবহার এবং নামের গঠন রোমান সাম্রাজ্যের ল্যাটিন থেকে আহরণ করা কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না।
 
=== ধ্রুপদি সভ্যতা===
৯২ নং লাইন:
এর মধ্যে কিছু মহিলাকে দাসত্বে বন্দী করে রাখা হত (সমাজের গবেষণায় বিষয়বস্তু হিসাবে প্রকাশিত)। তাদের কাজে লাগানো হতো, যেমন কাপড় তৈরি, ও বাচ্চাসহ আসত। তাদের মধ্যে কিছু মহিলাদের সাথে যুক্ত বিশেষণ লাওইয়াইয়াই (lawiaiai), "বন্দী," তাদের উৎসকে নির্দেশ করে। তাদের কিছু জাতিগত নাম। বিশেষ করে, আশ্বিনি (aswiai), "এশিয়ার নারী" বলে চিহ্নিত।<ref>{{harvnb|Ventris|Chadwick|1973|p=536}}.</ref> সম্ভবত তারা এশিয়ায় বন্দী হয়, কিন্ত অন্যান্য ক্ষেত্রে, মিলাতিয়াই (Milatiai), [[মিলেটাস]] থেকে আগত, একটি গ্রিক উপনিবেশ, যেখানে গ্রীক দ্বারা ক্রীতদাসদের জন্য অভিযান চালানো হয়নি। চাদউইক মনে করেন যে নামগুলো তাদের অবস্থান উল্লেখ করে, যেখান থেকে বিদেশি নারী কেনা হয়েছে।<ref>{{harvnb|Ventris|Chadwick|1973|p=410}}</ref> নামটি একবচন, আশ্বিয়া (Aswia), যা দ্বারা একটি দেশ ও তার অধিবাসী নারী উভয়কেই বোঝায়। এর একটি পুংলিঙ্গ আছে, আশ্বিওস (aswios)। এই আশ্বিয়া (Aswia) শব্দটি, হিট্টিটদের কাছে পরিচিত আশুয়া (Assuwa) নামের অঞ্চল থেকে আগত, লিডিয়ায় কেন্দ্রীভূত, বা "রোমান এশিয়া"। এই নাম, আশুয়া (Assuwa) থেকেই মহাদেশ "এশিয়া" নামের উৎপত্তি।<ref>Bossert, Helmut T., ''Asia'', Istanbul, 1946.</ref> আশুয়া লীগ পশ্চিম আনাতোলিয়ার একটি কনফেডারেশন রাজ্য, যা প্রথম তুদহালিয়ার নেতৃত্বে হিট্টিটদের কাছে প্রায় ১৪০০&nbsp;খ্রিস্টপূর্বাব্দে পরাজিত হয়।
 
অথবা, শব্দটির উৎপত্তি [[আক্কাদীয় ভাষা|আক্কাদীয়]] শব্দ ''{{Unicode|(w)aṣû(m)}}'', যার অর্থ 'বাইরে যাওয়া' বা 'আরোহন করা', মধ্যপ্রাচ্যে সূর্যোদয়ের সময়ে সূর্যের দিক নির্দেশ করা এবং খুব সম্ভবত ফিনিশীয় শব্দ ''asa'' এর সাথে যুক্ত যার মানে পূর্ব। বিপরীতভাবে একই রকম উৎপত্তির ধরণধরন ইউরোপের জন্য প্রস্তাব করা হয়, আক্কাদীয় শব্দ ''erēbu(m)'' 'প্রবেশ করা' বা 'ডোবা' (সূর্য)।
 
টি.আর. রিড শব্দের উৎপত্তির দ্বিতীয় ধারণাটি সমর্থন করেন, ''asu'' শব্দটি থেকে প্রাচীন গ্রিক নামটি নামটি এসেছে, যার অর্থ [[আসিরীয়া]]য় 'পূর্ব' (''ereb'' ''ইউরোপ''-এর জন্য, অর্থ 'পশ্চিম').<ref name="reid"/> ''পাশ্চাত্য'' (Occidental) ধারণাটি ([[লাতিন ভাষা|লাতিন]] রূপ ''Occidens'' 'ডুবন্ত') এবং ''প্রাচ্য'' (Oriental) (লাতিন ''Oriens'' থেকে, অর্থ 'উঠন্ত') ইউরোপীয় উদ্ভাবন, ''পশ্চিমা'' ও ''পূর্ব'' এর সমার্থক।<ref name="reid"/> রিড আরও জোর দেন যে, এটি এশিয়ার সমস্ত মানুষ ও সংস্কৃতিকে একক শ্রেণীবিভাগে ফেলার পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিকে ব্যাখ্যা করে, প্রায় যেন ইউরেশীয় মহাদেশের পশ্চিম এবং পূর্ব সভ্যতাগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের প্রয়োজন।<ref name="reid"/> এই বিষয়ে ওগুরা কুজকো ও তেনশিন ওকাকুরা দুই জন স্পষ্টভাষী জাপানি ব্যক্তিত্ব।<ref name="reid"/>
১২১ নং লাইন:
এশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম [[মহাদেশ]]। এটা পৃথিবীর মোট ভূপৃষ্ঠের ৮.৮% ভাগ (বা ৩০% ভাগ স্থল), এবং বৃহত্তম তটরেখা {{convert|62800|km|mi|0}}। এশিয়া সাধারণত ইউরেশিয়ার পাঁচ ভাগের চার ভাগ নিয়ে পূর্ব দিকে অবস্থিত। এটা [[সুয়েজ খাল]] ও [[ইউরাল পর্বতমালা|ইউরাল পর্বতমালার]] পূর্বে, [[ককেশাস পর্বতমালা]], [[কাস্পিয়ান সাগর]] ও [[কৃষ্ণ সাগর|কৃষ্ণ সাগরের]] দক্ষিণে অবস্থিত।<ref name="ReferenceA"/><ref name=autogenerated1>{{cite encyclopedia| title=Asia | url=http://www.britannica.com/eb/article-9110518/Asia | encyclopedia=[[Encyclopædia Britannica]] Online | year=2006 | location=Chicago | publisher=Encyclopædia Britannica, Inc}}</ref> এটা পূর্ব দিকে [[প্রশান্ত মহাসাগর]], দক্ষিণে [[ভারত মহাসাগর]] দ্বারা বেষ্টিত, এবং উত্তরে [[উত্তর মহাসাগর]] দ্বারা বেষ্টিত। এশিয়া মহাদেশে ৪৮টি দেশ আছে, তাদের দুটি ([[রাশিয়া]] ও [[তুরস্ক]]) দেশের ইউরোপে অংশ আছে।
 
এশিয়ার অত্যন্ত বিচিত্র জলবায়ু এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য আছে। জলবায়ুর পরিধি আর্কটিক, উপআর্কটিক (সাইবেরিয়া) থেকে দক্ষিণ ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ক্রান্তীয় অবধি বিস্তৃত। এর দক্ষিণ-পূর্ব অংশ জুড়ে আর্দ্র ও অভ্যন্তরে শুষ্ক। পশ্চিম এশিয়ায় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দৈনিক তাপমাত্রা পরিসর দেখা যায়।হিমালয় পর্বমালার কারণে মৌসুমি সঞ্চালন দক্ষিণ ও পূর্ব অংশ জুড়ে প্রাধান্য পায়। মহাদেশের দক্ষিনদক্ষিণ পশ্চিম অংশ উষ্ণ। উত্তর গোলার্ধের মধ্যে সাইবেরিয়া অন্যতম শীতলতম অঞ্চল, এবং উত্তর আমেরিকা জন্য আর্কটিক বায়ুভরের একটি উৎস হিসাবে কাজ করে। ট্রপিকাল সাইক্লোনের জন্য পৃথিবীতে সবচেয়ে সক্রিয় জায়গা উত্তরপূর্বে ফিলিপাইন ও দক্ষিণ জাপান। [[মঙ্গোলিয়া|মঙ্গোলিয়ার]] [[গোবি মরুভূমি]] ও [[আরব মরুভূমি]] মধ্যপ্রাচ্যের অনেকটা জুড়ে প্রসারিত। চীনের ইয়ানজে নদী মহাদেশের দীর্ঘতম নদী। নেপাল ও চীনের মধ্যকার [[হিমালয় পর্বতমালা]] বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পর্বতশ্রেণী। বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় বনাঞ্চল দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে প্রসারিত ও সরলবর্গীয়, পর্ণমোচী বনাঞ্চল উত্তরে প্রসারিত।
 
=== জলবায়ু পরিবর্তন ===