একাত্তরের যীশু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) অ 119.30.39.155-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 101.2.165.38-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত |
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
||
২৪ নং লাইন:
| imdb_id = 0106800
}}
'''একাত্তরের যীশু''' [[১৯৯৩]] সালে মুক্তিপ্রাপ্ত [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]]ভিত্তিক একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র<ref>[http://kidz.bdnews24.com/kiDekhbeKiPorbe.php?kidekhbeid=52&kiporbekidekhbeid=2 'একাত্তরের যীশু' (চলচ্চিত্র)] তথ্য সংগ্রহ: ৫
== কাহিনী সংক্ষেপ ==
৩৮ নং লাইন:
ওদিকে মাস্টার তো অনেক আগেই যুদ্ধে চলে গেছেন। তাঁর বাহিনীর কয়েকটা ছোটো দলের থাকার জায়গা দরকার। মাস্টার ওদের একটা দলকে পাঠিয়ে দিলেন ডেসমন্ড কাকার কাছে। আর ডেসমন্ড কাকাও অনেক আগেই বুঝে গেছেন, এ যুদ্ধ সবারই যুদ্ধ। এ যুদ্ধ কোনো রাজনৈতিক যুদ্ধ নয়, এ যুদ্ধ তাঁর জীবনের যুদ্ধ। সবাইকেই এখন কিছু না কিছু করতে হবে। ডেসমন্ডও ওদেরকে আশ্রয় দিলেন। তিনি তখনো সেই গির্জার পাশে তার ছোট্ট ঘরে থাকেন। সেখানে ওদেরকেও থাকতে দিলেন। ওদের খাওয়ালেন, ওদের যত্ন নিলেন। আর ওরা এখান থেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে লাগলো।
কিছুদিন পরে একটা ছোটোখাটো অপারেশনে বের হলো ওরা। একটা পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ করতে হবে। খুব একটা বড়ো নয় ক্যাম্পটা। ওদের দলটাই যথেষ্ট অপারেশনটা করতে। ডেসমন্ড কাকার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে ওরা বের হয়ে গেলো। আর তারপর প্রচন্ড যুদ্ধ করে হারিয়ে দিলো ক্যাম্পে থাকা পাক আর্মিদের। ওদের সবাইকেই যুদ্ধে মেরে ফেললো ওরা। এবার করা হবে একটা বড়ো অপারেশন। আশেপাশে পাকিস্তানিদের সবচেয়ে বড়ো ক্যাম্প কমলগঞ্জে। ওরা এই ক্যাম্পটাই আক্রমণ করবে। পিছন দিক আর একপাশ থেকে আক্রমণ করবে দুইটা-দুইটা চারটা দল। আরেকপাশে থাকবে ওদের দলসহ তিনটা দল। আর সামনে থেকে আক্রমণে নেতৃত্ব দেবে মাস্টারের দলসহ তিনটা দল। মোট ১০টা দল মিলে সাঁড়াশি আক্রমণ করে ওরা দখল করে নেবে কমলগঞ্জের পাকিস্তানি ক্যাম্প। সব প্রস্তুতি নিয়ে ডেসমন্ড কাকার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে ওরা বেরিয়ে পড়লো। কমলগঞ্জ ক্যাম্পে শুরু হলো যুদ্ধ। সে এক ভীষণ যুদ্ধ! ওখানে পাকিস্তানি বাহিনীর ডেরাও ভীষণ মজবুত, কোনোভাবেই দখল করা যাচ্ছে না।<ref>[http://kidz.bdnews24.com/kiDekhbeKiPorbe.php?kidekhbeid=52&kiporbekidekhbeid=2 কাহিনী সংক্ষেপ: 'একাত্তরের যীশু' (চলচ্চিত্র)] তথ্য সংগ্রহ, ৫ই
যুদ্ধে জয় হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। তারপর সেখান থেকেই ক'জন মুক্তিযোদ্ধা খুশি হয়ে জয় নিয়ে ফিরছিল। পথিমধ্যে অন্ধকার জঙ্গুলে পথে পাকবাহিনীর অ্যাম্বুশে পড়ে তারা। কোনো রকমে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় গির্জায়। সেখানে মারা যায় কেউ কেউ। যারা বেঁচে যায়, গুলি খরচ করে শেষ করে ফেলে, কিন্তু পাকবাহিনীর সদস্যদের মারতে পারে না। অবশেষে তারা পাক আর্মির কাছে ধরা পড়ে। গির্জার কেয়ারটেকার ডেসমন্ডকে সামনে পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় জানতে চায় তারা। কিন্তু ডেসমন্ড নিজের প্রাণ বাঁচাতে অস্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি, অথচ এদেরকেই লালন করেছেন তিনি এই ক'দিন। পাক আর্মি, গির্জার সামনে রাখা যীশুর ক্রুশবিদ্ধ মূর্তি দেখে অনুরূপভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে এই তিন মুক্তিযোদ্ধাদের, মাঠের মধ্যে টানিয়ে দেয়। প্রচণ্ড বিষাদ নিয়ে কাঁদতে থাকেন ডেসমন্ড। তাঁর কি করার কিছুই ছিল না?
|