উইলিয়াম কিড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন |
||
১৪ নং লাইন:
== জীবনী ==
ক্যাপ্টেন উইলিয়াম কিড হয় পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত জলদস্যু ছিলেন অথবা তিনি সাম্রাজ্যবাদের ভুল সিদ্ধান্তের বলি একজন সফল প্রাইভেটিয়ার ছিলেন। তার চরিত্রের সঙ্গে আলোচিত
তার জীবনের প্রথম তথ্য-উপাত্ত খোঁজে পাওয়া যায় ১৬৮৯ সালের পর থেকে, যখন তিনি ফরাসি-ইংরেজ জলদস্যু দলের একজন সদস্য যারা ক্যারিবীয় অঞ্চলে যাত্রা করেছিল। কিড ও অন্যান্য সদস্যরা বিদ্রোহ করেছিল ও জাহাজের ক্যাপ্টেনকে আটক করেছিল এবং ইংরেজ উপনিবেশ নেভিসের দিকে যাত্রা করেছিল। তখন তার জাহাজের নামও পরিবর্তন করে ব্লেজড উইলিয়াম রেখেছিলেন। কিড জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে নিয়োগ পান। মনে করা হয়, জাহাজের ক্রুরা নির্বাচনের মাধ্যমে বা নেভিস দ্বীপপুঞ্জের শাষক তাকে ক্যাপ্টেন পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ক্যাপ্টেন কিড ও ব্লেজড উইলিয়াম ফরাসিদের আক্রমণ থেকে নেভিসকে রক্ষার জন্য ইংরেজদের সাথে ফরাসিদের যে যুদ্ধ হচ্ছিল তাতে যুক্ত হয়ে পরেন। তিনি ইংরেজ কমান্ডার কডরিংটনের দলে যোগ দেন। সরকার তাদের এই যুদ্ধে অংশগ্রহনের বিনিময়ে কিছু দিতে চান নি বরং তারা ফরাসিদের আক্রমণ করে তাদের কাছ থেকে পাওনা বুঝে নিতে বলেন। কিড ও তার লেকেরা ফরাসি দ্বীপ ম্যারিগ্যালান্টে আক্রমণ করে সেখানকার একমাত্র শহর ধংস্ব ও লুট করে প্রায় ২,০০০ পাউন্ড স্টার্লিং সংগ্রহ করেন। গ্র্যান্ড এলিয়েন্স যুদ্ধের সময় নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস প্রদেশের এক আদেশের উপর ভিত্তি করে কিড শত্রুপক্ষের একজন প্রাইভেটিয়ারকে গ্রেফতার করেন ও কর্তব্য পালনের জন্য তিনি নিউ ইংল্যান্ড উপকূলে কমিশন লাভ করেন।<ref>{{cite web| title =WILLIAM KIDD| publisher =Online Encyclopedia| url =http://encyclopedia.jrank.org/KHA_KRI/KIDD_WILLIAM.html| accessdate =13 December 2007}}</ref> এর কিছুদিন পর ক্যারিবীয়তে সফল প্রাইভেটিয়ারিং পরিচালনার জন্য তাকে £১৫০ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এক বছর পর কুখ্যাত জলদস্যু [[ক্যাপ্টেন রবার্ট কালিফোর্ড]] ওয়েস্ট ইন্ডিজের এন্টিগোয়া থেকে তার জাহাজ চুরি করেন যখন তিনি ডাঙায় ছিলেন। ১৬৯৫ সালে ইংল্যান্ডের উইলয়াম তৃতীয় দূর্নীতিগ্রস্থ ব্যাঞ্জামিন ফ্লেচার সরকারকে রিচার্ড কোট (আর্ল অফ বেলুমন্ট) দ্বারা প্রতিস্থাপিত করেন। ব্যাঞ্জামিন ফ্লেচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি জলদস্যুদের কাছ থেকে একশত ডলার ঘুষ
নিউ ইয়র্কে অবস্থানের সময় [[১৬ মে]], [[১৬৯১]] সালে কিড সারা ব্রেডলি কক্স উড নামে একজন সম্ভ্রান্ত ইংরেজ বিধবাকে বিয়ে করেন।<ref>Zacks, p. 82-83, 86.</ref>
২৭ নং লাইন:
ম্যাসাচুসেট্স বোস্টনে এক বিনিয়োগকারী ছিলেন। তিনি কিডের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং জলদস্যুতার অভিযোগে তার নিজের বিচার হওয়ারও সম্ভবনা ছিল। তিনি দেখলেন, তিনি কিডকে ইংল্যান্ড-এর হাতে তুলে দিতে পারলে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। তিনি মিথ্যা ক্ষমা প্রদর্শনের কথা বলে কিডকে প্রলুব্ধ করে বোস্টন নিয়ে আসেন,<ref>{{cite web| title =The Quest for the Armenian Vessel, Quedagh Merchant| publisher =AYAS Nautical Research Club| url =http://www.amarasonline.com/amaras/events/cillicia-flyer-1.pdf|format=PDF| accessdate =13 December 2007}}</ref> তারপর [[৬ জুলাই]], [[১৬৯৯]] সালে তাকে গ্রেফতারের আদেশ দেন। তাকে স্টোন প্রিজনে স্থানান্তর করা হয় ও তিনি অধিকাংশ সময় নির্জন কারাবাসেই কাটিয়েছেন। তার স্ত্রী সারাও জেলে ছিলেন। জেলখানায় তার অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুন এবং সাময়িকভাবে তিনি পাগল হয়েও গিয়েছিলেন।
এরপর এক বছরেরও কিছু বেশি সময় পরে তাকে ইংল্যান্ড পাঠানো হয় পার্লামেন্ট দ্বারা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য। নতুন রক্ষণশীল
কিডের পক্ষে আইনী লড়াই করার জন্য দুজন আইনজীবী ছিলেন।<ref>Zacks, p. 364.</ref> তিনি এটি জেনে দুঃখ পান যে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগেই (হত্যা ও জলদস্যুতার অভিযোগ ৫টি) তিনি দোষী প্রমানিত হন। [[২৩ মে]], [[১৭০১]] সালে লন্ডনের ওয়াপিং-এর এক্সিকিউসন ডেকে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ফাঁসি দেওয়ার সময় প্রথমে জল্লাদের দড়ি ছিড়ে গিয়েছিল এবং দ্বিতীয় বারের চেষ্ঠায় তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার মৃতদেহ [[টেম্স নদী|টেম্স নদীর]] উপর টিলবারি পয়েন্টে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে রাখা হয় এই বার্তা দিতে যে, কারো বিরোদ্ধে জলদস্যুতার অভিযোগ প্রমানিত হলে এই পরিণতিই বরণ করতে হবে।<ref>{{cite web|url=http://www.royalnavalmuseum.org/info_sheets_piracy.htm|title=A brief history of piracy|publisher=Royal Navy Museum|accessdate=23 June 2011}}</ref>
|