ইন্দোনেশিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৭৫ নং লাইন:
স্বাধীনতার সময় ওলন্দাজেরা নিউ গিনি দ্বীপের পশ্চিমাংশে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। অঞ্চলটি সুকর্ণ এবং সুহার্তোর আমলে ইরিয়ান জায়া এবং [[২০০০]] সাল থেকে পাপুয়া নামে পরিচিত। ইরিয়ান জায়াকে ইন্দোনেশিয়ার অংশে পরিণত করার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়া ও ওলন্দাজদের মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হয় এবং ১৯৬১ সালে ইন্দোনেশীয় ও ওলন্দাজ সেনারা সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬২ সালের আগস্ট মাসে দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে আসে এবং ১৯৬৩ সালের ১লা মে থেকে ইন্দোনেশিয়া ইরিয়ান জায়ার প্রশাসনিক দায়িত্ব নেয়। ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ইন্দোনেশিয়া একটি ভোটের আয়োজন করে যাতে পাপুয়ার স্থানীয় কাউন্সিলগুলির প্রতিনিধিরা ইন্দোনেশিয়ার অংশ হবার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। এর পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে পাপুয়াতে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন বিরোধী ছোট আকারের গেরিলা কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে পাপুয়াতে স্বাধীনতার দাবী আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।
 
১৯৫৮ সাল থেকে সুমাত্রা, সুলাওয়েসি, পশ্চিম জাভা এবং অন্যান্য দ্বীপে আন্দোলন শুরু হয়, যদিও এগুলি সফল হয়নি। এছাড়া জাতীয় সংসদ কোন নতুন সংবিধান রচনা করতেও ব্যর্থ হয়। ফলে সংসদীয় ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ ১৯৪৫ সালের সংবধান পুনরুজ্জীবিত করেন এবং তেমন কোন বিরোধিতা ছাড়াই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ব্যাপকতা বাড়ান। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত সুকর্ণ একটি একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। বিদেশী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুকর্ণ নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন এবং পশ্চিমা বিশ্ব এবং সোভিয়েত--- উভয় পক্ষের সাথেই কোন সরকারীসরকারি সম্পর্কে জড়াননি। সুকর্ণের নেতৃত্বে পশ্চিম জাভার বান্দুং-এ তৃতীয় বিশ্বের নেতারা সম্মিলিত হন এবং নন-অ্যালাইন্ড আন্দোলনের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেন। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে সুকর্ণ এশিয়ার সাম্যবাদী রাষ্ট্রগুলির সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেন এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ইন্দোনেশীয় সাম্যবাদী দলের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করা শুরু করেন।
 
সুকর্ণ তার সরকারের জন্য সমর্থন আদায়ের উদ্দেশ্যে যেসমস্ত নাগরিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি করেছিলেন, ১৯৬৫ নাগাদ ইন্দোনেশীয় সাম্যবাদী দল সেগুলির অধিকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। সুকর্ণের সাথে সমঝোতা করে তারা তাদের সমর্থকদের একটি পঞ্চম স্তম্ভ স্থাপনের চেষ্টা করে। কিন্তু সামরিক নেতারা এই চেষ্টার বিরোধিতা করে। ১৯৬৫ সালের ১লা অক্টোবত সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে সাম্যবাদী দলের প্রতি দুর্বল অংশ, যাদের মধ্যে সুকর্ণের প্রাসাদরক্ষীও ছিল, জাকার্তার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি দখল করে এবং ছয়জন সিনিয়র জেনারেলকে অপহরণ ও হত্যা করে। মেজর জেনারেল সুহার্তো সেনাবাহিনীর সাম্যবাদী দল-বিরোধী সেনাদেরকে একত্রিত জাকার্তা শহর পুনরায় নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১লা অক্টোবরের ঘটনার ফলে সারা দেশ জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থা বজায় ছিল। ডানপন্থী গুণ্ডা-পাণ্ডারা গ্রামীণ এলাকাতে সাম্যবাদী সন্দেহে লক্ষ লক্ষ লোককে হত্যা করে। ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ৫ লক্ষের মত লোক মারা যায় বলে অনুমান করা হয়। জাভা ও বালি দ্বীপে সহিংসতার প্রকৃতি ছিল বেশি ভয়াবহ। এ সময় সাম্যবাদী দলের লক্ষ লক্ষ সদস্য তাদের সদস্য কার্ড ফেরত দেন। আজও ইন্দোনেশিয়াতে সাম্যবাদী দল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১১৫ নং লাইন:
| publisher = SIL International
| date=2005
| accessdate=2006-12-17 }}</ref> ইন্দোনেশিয়ার সরকারীসরকারি ভাষার নাম বাহাসা ইন্দোনেশিয়া। এটি মূলত মালয় ভাষার একটি পরিবর্তিত রূপ যা ব্যবসা, প্রশাসন, শিক্ষা ও গণমাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অধিকাংশ ইন্দোনেশীয়ই স্থানীয় মাতৃভাষাতেই, যেমন জাভানীয় ভাষা, ইত্যাদিতে কথা বলেন। <ref>{{cite web |url=https://cia.gov/cia/publications/factbook/geos/id.html | title=CIA - The World Factbook -- Indonesia | publisher=Central Intelligence Agency | date=2006-10-17 | accessdate=2006-11-01 }}</ref>
 
== আরও দেখুন ==