অর্জুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎বহিঃসংযোগ: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১১ নং লাইন:
==বনবাস==
পাণ্ডবগণ তাদের নতুন রাজ্যে অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলে সেখান থেকে মামা শকুনির পরামশে [[তক্ষক]] নাগ পাণ্ডবদের সকল অশ্ব নিয়ে পালিয়ে যায়।
সেই অশ্ব রক্ষা করার জন্য [[অর্জুন]] অস্ত্র আনতে [[যুধিষ্ঠির]] ও [[দ্রৌপদী]] এর শয়ন-গৃহে ঢুকতে বাধ্য হলেন। [[যুধিষ্ঠির]] এতে নিয়ম ভঙ্গ হয় নি বললেও, [[অর্জুন]] বনবাসে চলে যান। সেই বনবাসে বা ব্রহ্মচর্য - কোনওটাই পরিপূর্ণভাবে তিনি পালন করেন নি। সেই সময়ে [[অর্জুন]] একে একে উলুপী, চিত্রাঙ্গদা সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং চিত্রঙ্গদা বিয়ে করেন। উলুপীর আমন্ত্রণে তার সঙ্গে সহবাস করলেও পূর্ব-বিবাহিতা বলে [[অর্জুন]] প্রথমে তাকে বিয়ে করেন নি। পরে [[অর্জুন]] উলুপীকেও ভার্যার সন্মানসম্মান দেন। পরে [[অর্জুন]] তার মিত্র [[কৃষ্ণ]] এর সাহায্যে [[কৃষ্ণ]] ও [[বলরাম]] এর একমাত্র বোন [[সুভদ্রা|সুভদ্রাকে]] বিয়ে করেন। অগ্নিদেবের হিতার্থে খাণ্ডব অরণ্য যাতে [[কৃষ্ণ]] ও [[অর্জুন]] দহনে করতে পারেন,তারজন্য বরুণদেব অর্জুনকে একটি রথ আর সেই সঙ্গে বিখ্যাত গাণ্ডীবধনু দিয়েছিলেন। এই অস্ত্র পেয়ে অর্জুন বিশেষভাবে বলশালী হন।<ref>কৃষ্ণচরিত্র - প্রথম খণ্ড</ref>
==দ্যূতক্রীড়া==
দ্যূতক্রীড়ায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা যখন বনবাসে গিয়েছিলেন, তখন যুধিষ্ঠিরের আদেশে দিব্যাস্ত্রলাভের জন্য [[অর্জুন]] ইন্দ্রলোকে যান। [[ইন্দ্র]] তাঁকে মহাদেবের আরাধনা করতে বলেন। আর তাই [[অর্জুন]] মহাদেবের কাছ থেকে তার পাশুপত অস্ত্র লাভ করেন। এরপর [[ইন্দ্র]] নিজেও অর্জুনকে নানাবিধ দিব্যাস্ত্রে শিক্ষা দেন। ইন্দ্রের নির্দেশে ইন্দ্রসখা চিত্রসেন অর্জুনকে গীত ও নৃত্যে পারদর্শী করেন। সেইখানে নৃত্যরতা অপ্সরাদের মধ্যে উর্বশীর দিকে অর্জুন বারংবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করছেন দেখে, ইন্দ্র উর্বশীকে অর্জুনের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। অর্জুন কামনা বসে তার দিকে তাকান নি, উর্বশীকে পুরু বংশের জননী হিসেবে দেখছিলেন। কিন্তু অর্জুন তাকে প্রত্যাখ্যান করায় উর্বশী অপমানিত হয়ে অর্জুনকে অভিশাপ দিলেন যে, অর্জুনকে নর্তকরূপে স্ত্রীলোকদের মধ্যে নপুংশক হয়ে থাকবেন। উর্বশীর এই অভিশাপ পাণ্ডবরা যখন বিরাটরাজের সভায় অজ্ঞাতবাস করছিলেন,তখন খুব কাজে লেগেছিল। সেখানে অর্জুন বৃহন্নলা সেজে বিরাটরাজের কন্যাকে নৃত্য, গীত ইত্যাদি শিক্ষা দিয়েছেন। <ref>দ্যূতক্রীড়া</ref>